আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪র্থ ব্লগ ডে উপলক্ষে সামু মিটআপ মালয়েশিয়ায় ও আমার অভিজ্ঞতা।

আল্লাহ্ প্রদত্ত সৃস্টি কে ভালবাসি গতকাল সকালে সত্যচারী ভাই আমাকে মোবাইলে না পেয়ে এসএমএস করে জানান আজকে ওনারা বসছেন। বিকেলে আমি ফোনে রিপ্লাই করে শিওর করলাম আমিও আসছি। সকাল ১০ টায় পৌঁছে ১২ টার মধ্যে নিজের ব্যাক্তিগত কাজ সারলাম। বসার কথা ছিল ১২টায় উদ্দেশ্য দুপুরের খাবার একসাথে খাওয়া। যাক সোয়া ১২টায় কল দিলাম সত্যচারী ভাইকে।

অনেক বার ট্রাই করার পর পেলাম। বললেন আমাকে অপেক্ষা করার জন্য পেভিলিয়নের সামনে। কি আর করা অপেক্ষা ছাড়া। বসে বসে আংগুল না চুষে ক্লিক ক্লিক শুরু করলাম এদিক ওদিক। আরও ছবি তুলতাম কিন্তু চারদিকে হাফ প্যান্ট পরা মাইয়ারা ঘুরাঘুরি করতাসে।

তাদের ছবি সামুতে দিলে আবার লুল পড়া শুরু হবে তাই দিলামনা। আজকে আবার এখানে ছুটির দিন। তাই হয়তো ভীড় একটু বেশী। যাক বেলা ১টার দিকে আসলেন সত্যচারী (জুলফিকার) ভাই। তুললেন গাড়িতে।

কুশল বিনিময় করলাম। খুবই অমায়িক ব্যবহার ওনার। আমার খুব ভালো লেগেছে ওনাকে। শুধু ওনাকে না আসলে সবাইকে ভালো লেগেছে। এরপরে রেসটুরেন্টে গেলাম।

নাম জাফরান রেসটুরেন্ট। নতুন চালু হয়েছে। বাংগালী খাবার পাওয়া যায় খুবই ভাল মানের রেসটুরেন্ট। আমরা দুজন ছাড়া তখনও কেউ আসেনি। আবারো অপেক্ষা... এদিকে আমার খিদা লাগছে।

কি যে করি তখন। আমরা দুজনে জুসের অর্ডার দিতে যাচ্ছি অমনি কল আসলো ই এইচ মানিক ভাইকে আনতে হবে। ছুটলাম, ওনাকে রিসিভ করার পর বসলাম আবারো। অপেক্ষার পালা বাকীদের জন্য। মেজাজ পুরাই চরমে হায়রে খামু কখন।

এই ফাঁকে মানিক ভাই বলতেসেন যোহর পড়বেন। কি আর করা গেলাম ওনার সাথে নামায পড়ে আসলাম। এসে দেখি আরো তিনজন মানে ব্লগার নাবিল ভাই, এম ইয়াকুব এবং ১১ স্টার এসে ঘেছে। ফিরে গেলাম আবার সেই রেসটুরেন্টে। বসেই পরিচয় পর্ব শুরু।

একে একে সবাই। মনে মনে বললাম এবার মনে হয় খাবার আসবো। কিন্তু কপাল মন্দ সত্যচারী ভাই বললেন অপেক্ষা করতে হবে আরো একজনের জন্য। যাক আমরা কথা বলতেসি। কিছুক্ষন পর আসলেন জাহিদ ফারুকী ভাই।

খুবই হাস্যোজ্জল একজন মানুষ। সবসময় হাসি লেগেই আছে মুখে। ওর হাসি দেখে খিদার কথাই ভুলে গেছিলাম। আবারো পরিচিত হলাম সবাই। ব্লগার এম ইয়াকুব ব্লগার জাহিদ ফারুকী এই সেই ব্লগার ১১ স্টার ( আরিফ) যার কমেন্টের ওজন পোস্টের চেয়েও ভারী।

সাথে নাবিল ভাই। ব্লগার সত্যচারী (জুলফিকার) ব্লগার পাগলমন ২০১১ ব্লগার ই এইচ মানিক ভাইয়ের নিষেধ থাকায় ওনার ছবি দিতে পারিনি। এবার খাবারের অর্ডার দিলাম সবাই। ড্রিংকসের অর্ডার ও দিলাম। আমার ড্রিংকস একটু ভিন্ন ছিল।

গাজরের সাথে দুধের সংমিশ্রন (কেরট মিল্ক) মালে ভাষায় কেরেত চুচু। দেখি ১১ স্টার ভাই সত্যচারী ভাইয়ের ভাইয়ের সাথে কানাঘুসা করতেছিলেন। আর হাসতেছিলেন। আর ওনারা অরেন্জ জুস এবং ম্যাংগো জুস নিলেন কেউ কেউ। খাবার আসার ফাঁকে চলছে সামু নিয়ে আলাপচারিতা।

আলাপের এক পর্যায়ে খাবার আসলো কাচ্চি বিরিয়ানি। খাওয়া শুরু......খাওয়ার ফাঁকেও চলল আলাপ। স্টার ভাই পাইপ দিয়ে মাংসের হাড়ের ভেতরের অংশ বের করতেছেন। আর জুলফিকার ভাই দেখতেছেন মজা। স্টার ভাই বলেন, ভেতরের জিনিস সব সময়ই মজার।

খাওয়া শেষে মূল আলোচনা শুর হল। আলোচ্য বিষয় ছিল সামুর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কের জগতে বাংলা ব্লগ কতটুকু শক্তিশালী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, দেশের কল্যানে আমাদের করনীয়। একে একে সবাই যার যার মত প্রদান করলেন। তারপর সবাই বললেন কার কি চাওয়া সামুতে।

নাবিল ভাইয়ের চাওয়া সব ব্লগার রা যেন ঝগড়াঝাটি না করে ফ্রেন্ডলী ভাবে ব্লগিং করে। সত্যচারী ভাই+ ১১ স্টার ভাইয়ের চাওয়া সামুতে যেন বিভাগ থাকে। ব্লগার রা যাতে নিজ নিজ পছন্দ মত বিভাগে যেয়ে ভালো লেখাগুলো খুঁজে পায়। ইয়াকুব ভাই মত দিলেন সামু যাতে কপি পেস্ট লেখা গুলোকে নির্বাচিত না করে এবং লিংক যোগ করা লেখাও যাতে নির্বাচিত না হ্য়। ফারুকী ভাই বললেন ক্যাচাল মুক্ত সামু চাই।

মানিক ভাইয়ের চাওয়া হল, ধর্ম বিদ্বেষী লেখা থেকে সবাই যাতে বিরত থাকে। ধর্মীয় পোস্ট করা যাবে। তবে আক্রমনাত্মক মন্তব্য যাতে কেউ না করে। আর আমি সবাইকে সমর্থন করে গেলাম। চলছে আলোচনা...... এইভাবে চলল আরো অনেকক্ষন।

এবার চা খওয়ার পালা। সবাই লেমন চা খেলাম। খুবই টক। টকের ঠেলায় ১১ স্টার ভাই জিহবা দিয়ে আওয়াজ শুরু করে দিলেন। এবার খাবারের বিল আসলো।

জুলফিকার ভাই একাই বিল দিয়ে দিলেন লজ্জায়। লজ্জার কারন ওয়েটার এসে বিলটা ওনার হাতেই ধরায়া দিলেন। মনে মনে বললাম যাক বাঁচলাম, ফাউ খাইলাম। কিছুক্ষনপর মানিক ভাই প্রস্তাব করলেন যে, সবাই যার যার বিল দিবে। কি আর করা নগদে পকেটে হাত দিয়া বাইর কইরা দিলাম।

সাথে ৩ রিংগিত করে বেশি দিতে হইল। কারন ভাংতি নাই কারো পকেটে। পরে অবশ্য চাএর বিলটা উনিই দিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় সামহোয়ারইন ব্লগাররা আলাপচারিতা একপর্যায়ে শেষ হয়ে আসলো। সবাই মত পোষন করলেন যে, এইভাবে সবাই আরো আড্ডা দিবেন।

দেশের জাতীয় দিবস গুলোতেও। আমরা আবারো বসছি ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে। যারা আসতে পারেন নি। তাদের আগাম দাওয়াত রইল পরবর্তী মিটআপে। অনেক ভাল লাগলো একসাথে সবাইকে পেয়ে।

ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে ব্যানার এর ব্যপারে। আমরা ব্যানার করতে পারিনি সবার ব্যস্ততার কারনে। বিশেষ করে জানা আপু, অরিল্ড ভাই, মডু সমাজ ও সব ব্লগারদের প্রতি আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল। আশা করি সবাইকে পাশে পাবো। এ ব্যাপারে জানা আপু আমাদের উৎসাহ দান করবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে। শুভরাত্রি। অঃটঃ এখানে ছবির রেজুলেশন কম। ভালো রেজুলেশনের ছবি পাবেন ফেসবুকে এখানে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।