আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ৪র্থ পর্ব

I reclaim my life...

মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ১ম পর্ব মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ২য় পর্ব মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ৩য় পর্ব ................................................................ হাঁটতে হাঁটতে ওরা একেবারে শহরের এক প্রান্তে পৌঁছে গেল। পাহাড়ের প্রান্তে বিশাল একটি প্রাসাদ (Palacio Real de Madrid) ও তার পাশেই একটি ক্যাথিড্রাল। ক্যাথিড্রালটি একদমই নতুন তৈরী হয়েছে। ঠিক পাশেই শুরু হয়েছে খাড়া ঢাল। ওখানে পৌছে নিও বুঝতে পারল কেনো মাদ্রিদ এত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো! উঁচু পাহাড়ের উপর থেকে বহুদুর পর্যন্ত পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে! এখান থেকে শত্রুর অস্তিত্ব একদিন আগেই টের পাওয়ার কথা! পাহাড়ের প্রান্তে আমরা।

দূরে দিগন্ত! Palacio Real de Madrid স্পেনের রাজার সরকারী বাসা, কিন্তু এটি কেবল রাজকীয় উৎসবের সময়ই ব্যবহার করা হয়। কিং জুয়ান কার্লোস এবং রাজকীয় পরিবার এই প্রাসাদে বসবাস করেন না, ব্যস্ত এলাকা বলেই হয়ত। প্রাসাদের ছবি দেখে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে যে রাজা এখন বাসায় নাই!। দেখেনতো আপনারা ধরতে পারেন কিনা? ঠিক উল্টাপাশেই ক্যাথিড্রাল Santa María la Real de La Almudena Cathedral ক্যাথিড্রালের পাশে রেস্ট নেয়ার ফাঁকে শুরু হলো ইসাবেলার লেকচার। প্রাসাদ আর ক্যাথিড্রালের ইতিহাস।

মুসলিম সভ্যতার ইতিহাস, তার পতন ও খ্রীস্টীয়দের পত্তনের কাহিনী। রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিনান্ডের কাহিনী। মেজাজ গরম হলেও শুনে গেলো সে। কাহিনীর চেয়ে কাহিনীর চরিত্রগুলোর জন্য বেশী। তাদের প্রতারনা ও এপ্রিল ফুলের ইতিহাসের জন্য।

নিও অবাক হয়ে ভাবে যে কিভাবে আমরা এপ্রিল ফুলের ইতিহাস জানার পরও ফি বছর তা কত নির্লজ্জভাবে পালন করে যাই! যাই হোক মুল চত্বরে প্রচুর লোকের সমাগম। আজকে আবহাওয়াটা খুবই চমৎকার। সামার হওয়ায় ভালো রোদ উঠেছে, কিন্তু সীলেভেল হতে বেশ উচুঁতে হওয়ায় রোদের ঝাঁজ খুব একটা নেই। বলা যায় বেশ মিষ্টি রোদ। আমাদের ঠিক পাশেই আরেকটি গ্রুপ কিন্তু তাদের মধ্যে যুবকদের মধ্যে মনে হয় আমাদের গ্রুপের প্রতিই মনোযোগ বেশী! আমাদের মেয়েরা বেশ আগ্রহী হলেও বেশ ভাব বজায় রাখল! রাস্তা ক্রস করে ওরা বিশাল এক চত্বর কাম বাগানে (Palacio De Oriente) এসে উপস্হিত হলো।

চত্বরের একপাশের রাস্তায় এক সারি স্টাচ্যু। মেয়েগুলোর অনুরোধে এখানে ওদের কয়েকটা ছবি তুলে দিলো নিও। স্টাচ্যুগুলোর ব্রীফিং শেষ করে ইসাবেলা ঘোষনা করল যে ট্যুর আজকের মত এখানেই শেষ। কারও কোনো প্রশ্ন থাকলে জিগ্গেশ করতে পারে। অন্যথায় খুদাপেজ।

এখানকার ভালো মিউজিয়ামগুলো সম্পর্কে নিও কিছু প্রশ্ন করল। এখানে সবচেয়ে বিখ্যাত মিউজিয়াম হচ্ছে Prado Museum (Museo del Prado) এবং Thyssen-Bornemisza Museum (Museo Thyssen-Bornemisza)। এর মধ্যে Thyssen-Bornemisza Museum আসলে ব্যক্তিগত কালেকশন ও নিও'র কাছে পরবর্তীতে এই মিউজিয়ামটাই বেশী ভালো লেগেছিলো। সুন্দরীরা ইসাবেলাকে প্রশ্ন করল ধারে কাছে কোথাও কোনো ইয়োথ গেদারিং আছে কিনা! নাইট পার্টির জন্য কোথায় যাওয়া যায়? নিও'র এই ভেবে হাসি পেলো যে, ইংরেজি ভাষায় এত ফাকঁফোকর যে অনেক কিছু ইনডাইরেক্টলি জিগ্গেশ করা বা বলা যায়! এতে ভদ্রতাও রক্ষা হয় আবার প্রাইভেসিও রক্ষা পায়। যাকে বলে ইউফেমিজম।

বাংলায় এই সুবিধাটা কম। এবার বিদায়ের পালা। নিও'র সময় কম হওয়ায় সে এখনি রওয়ানা দিবে নেক্স্ট মাদ্রিদ এট্রাকশনের দিকে। মেয়েগুলো রওয়ানা দিলো একটি পাবের দিকে। নিও ইচ্ছে করলে পাবে ওদের সাথে জয়েন করতে পারে, কিন্তু বিদেশের এই ড্রিংক সংস্কৃতির সাথে ও এখনো নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে নাই।

কেউ হয়ত ব্যাকডেটেড বলে গালি দিতে পারে, কিন্তু ওর পক্ষে এখনো ড্রিংক করা সম্ভব হয় নাই!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.