এমন ম্যাচ কমই দেখা যায়, যে ম্যাচের হার নিয়ে গ্লানি বা খেদ নেই কারও। গতকাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদ-বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ম্যাচে তা-ই ঘটেছে। রিয়ালের বেলায় যা ঘটেছে—একপিঠে পরাজয় তো আরেক পিঠে জয়। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ডর্টমুন্ডেরও নেই কোনো আফসোস।
ম্যাচে স্কোরলাইন অনুযায়ী ২-০ ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল।
কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দলই। ম্যাচ শেষে দুই দলের কোচের মুখেই চওড়া হাসি। ডর্টমুন্ড খুশি ম্যাচ জিতে, আর রিয়াল খুশি দুই লেগের সমীকরণে এগিয়ে সেমিফাইনালে উঠে।
বিশ্লেষকেরা অবশ্য বলবেন, বড় বাঁচা বেঁচেছে রিয়াল মাদ্রিদ! গত রাতে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে রীতিমতো ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটেছে রিয়ালের। আনচেলত্তি নিশ্চয় মনে মনে ভেবেছেন, ‘ভাগ্যিস প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিলাম, নইলে কপালে শনিই ছিল!’ রিয়ালের ডর্টমুন্ড-অভিজ্ঞতা অবশ্য সুখকর নয়।
গতবার এক লেভানডফস্কিতেই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল রিয়াল। ডর্টমুন্ডের পোলিশ স্ট্রাইকারের চার গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগেই এক রকম ছিটকে পড়েছিল রিয়াল। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। প্রথম লেগে বার্নাব্যুতে ৩-০ ব্যবধানে জিতে মানসিকভাবে অনেকটা এগিয়েই ছিল আনচেলত্তির দল।
সেমিফাইনালে পা রাখতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রিয়াল কোচ।
এ ক্ষেত্রে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন আনচেলত্তি। বললেন, ‘এ পর্যায়ে সব খেলাই কঠিন। শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে যেতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি। সেমিতে যেতে পেরে ভীষণ খুশি। তবে আজ যেভাবে ভুগেছি, তাতে মোটেও খুশি নয়।
বিশেষ করে প্রথমার্ধের খেলায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভালো খেলেছি। অ্যাওয়ে ম্যাচ বলে তাদের হাতে কিছু উপহার তুলে দিয়েছি। অনেক ভুল করেছি। আমাদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল।
এ কারণেই ভুগেছি। ’
ম্যাচে ইকার ক্যাসিয়াসের দারুণ পারফরম্যান্সে বড় ধরনের বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছে রিয়াল। রিয়াল কোচও মানছেন এটি। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাসিয়াস দারুণ কয়েকটি সেভ করেছে। ওর পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।
’
রিয়ালের বিপক্ষে জিতে খুশি ইয়ুর্গেন ক্লপও। তবে প্রথম লেগে হারার জন্য ডর্টমুন্ড কোচের এখন আফসোস হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। যদি বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে একটি গোলও করত ডর্টমুন্ড, তবে সমীকরণটা হয়তো অন্য রকম হতে পারত। ক্লপ বললেন, ‘এটাই চ্যাম্পিয়নস লিগ। আজ রাতে (গত রাতে) আমরাই শক্তিশালী ছিলাম।
কিন্তু গত সপ্তাহে আমাদের গোল করা উচিত ছিল। ’ গতবারের মতো এবার সেমিফাইনালে না উঠতে পারলেও ডর্টমুন্ডের চেষ্টার কমতি ছিল না, তা-ই জানালেন ক্লপ। বললেন, ‘আমাদের খেলা ছিল অসাধারণ। ফলে সেমিফাইনালে না ওঠায় কেউ আমাদের দোষ দিতে পারবে না। ম্যাচের আবহ ছিল দুর্দান্ত।
নিজেদের উন্নতি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। অসাধারণ পারফরম্যান্সে সেটি করতেও পেরেছি। ’ ওয়েবসাইট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।