পলাশের চারবোন মা বাবা (সর্বডানে বড়বোন পাশে দ্বিতীয় বোন পিছনে ছোট দুইবোন মা বাবার সাথে। পলাশ ক্যামেরায়)।
পূর্ব প্রকাশিতের পর
স্থান (টরন্টো)
সময়:বিকাল পাঁচটা
দুনিয়া তোর সঙ্গে নাইরে
মনটা রে কেমনে বুঝাই
একলা হাটরে মন একলা হাটরে।
মনরে মনরে তুই বড় বোকা
নিজের ভূল বুঝলিনা
খাইয়া গেলি ধোকা।
খুব হাহাকার নিয়ে আজকে সকালে ঘুম ভাঙ্গল তার।
কি এক যন্ত্রনা বোধ সবসময় তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। এত বিষন্নতা কবে থেকে জমেছে তার বুকের ভিতরে।
আপন পর আত্মীয় স্বজন সবার চোখে সে অদ্ভুত পিকিউলার। সাধারন নিয়মতান্ত্রিক সফল সুখী জীবনের সঙ্গে যেন তার আড়ি। বারবার দূঃখকে সে নিমন্ত্রন করে নিয়ে আসে নিজের জীবনে।
সে এক অস্বাভাবিক গোত্র ছাড়া মানুষ। তার ভিতরের মনটায় এক সন্যাসী বৈরাগীর বসবাস যেন। পার্থিব পৃথিবীর কোন কিছুতেই যেন তার কোন প্রয়োজন ছিলনা নেই কখনও। ভাল বাসা সুন্দর ঘর অলংকার কাপড় চোপড় জব স্ট্যাটাস কেন কেন কিছুই সে চায়না। সে কি চায় জীবনে? কার ও কার ও চোখে সে মানসিকভাবে ঠিক সুস্থ নয়।
তার বোন বড় ডাক্তার। কথা হলে তাকে নার্ভের ঔষধ প্রেসক্রাইব করে।
না আমি সুস্থ অনেকের চেয়ে বেশী সুস্থ। আমার লজিক অনেকের চেয়ে ভাল কাজ করে। আমার ইনটিউশান ভাল কাজ করে।
সে মনে মনে বলে।
বোন বলে তুমি অ্যান্টি ডিপ্রেশান এর ঔষধ খাও। এটাতে তুমি রিল্যাক্স বোধ করবে বেশী। ঘুম হবে ভাল।
ভাই বোন এর সবার তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা।
কেন এই বোনটা এত অস্বাভাবিক। কেন সে কিছু করেনা।
সে নিজে মাঝে মাঝে অনুতাপ বোধ করে অসহায় বোধ করে। কিন্তু মাঝে মাঝে এই নশ্বর পৃথিবীর সবকিছু বড় নশ্বর মনে হয়।
ফোনের রিং শুনে ফোন ধরল।
ওপাশ থেকে বাবার গলা। একথা সে কথার পর অবধারিত ভাবে বাবার জিজ্ঞাস্য
কিরে মা স্কুলে অ্যাপ্লাই করছিস? বি এড সার্টিফিকেট পাঠালাম ইকুয়েভেলেন্সি করছিস। তুই না স্কুলে জয়েন করবি বললি। তোর পড়াশোনার কি খবর ?
দেখছি বাবা মৃদূ স্বরে জবাব দেয়। বাবার সাথে কথা বলার সময় অসহায় বোধ করে।
এত পড়ালেখা করে কি লাভ হল তার যদি সে মাবাবার জন্য কিছু না করে দেশের জন্য কিছু না করে।
দীর্ঘনিশ্বাস বেরিয়ে এল তার বুকের ভিতর থেকে। কিছুক্ষনের মধ্যে আবার ফোন পরপর দুইবার তার প্রিয় ছোট দুইবোন।
বোপ্পি ফোন দাওনা কেন? আমাদের ভূলে গেছ। কলকলিয়ে উঠল।
এই বোনটি তার অসম্ভব প্রিয়। অনেকটা টা তার মেয়ের মত।
মনটা আস্তে আস্তে হালকা হতে শুরু করল বিষন্নতার বাষ্প উড়ে গিয়ে।
(পরবর্তীতে)
================================
(কিছু ব্যাক্তিগত ছবি সরবরাহ করা হলো গল্পের পাত্র পাত্রীকে পরিচিত করে দেওয়ার জন্য।
পলাশের সবচেয়ে ছোট বোন
পলাশ এবং স্ত্রী মুন্নী
তিন নম্বর বোন
নিশু আরিফ
দ্বিতীয় বোন লাইজু তার স্বামীর সাথে।
(পরবর্তীতে)।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।