অনেক সুন্দর একটা লিখা পরলাম। । আমার এক কাছের বন্ধু শাহনেওয়াজ পলাশ ,লিখা টা তার .।
ঘড়িতে সময় ১২টা ৪৫ মিনিট। আজিজ সাহেবের ঘুম আসছে না।
এ সমস্যা যে আজই প্রথম তা না। বেশ কিছুদিন ধরেই রাতে ঘুমানোর জন্য তাকে ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে। আজ ওষুধ আনা হয়নি। কাজের চাপে কিছুই মনে থাকে না তার। দরজায় কে যেন করা নারছে।
-কে ?
-একটু বিপদি পরছি। দড়জা টা খুলুন।
আজিজ সাহেব দড়জা খুলে দেখলো ৩ জন লোক। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজন তার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দিল। এক চিৎকার দিয়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পরল।
আরেকজন চাপাতি দিয়ে দেহ থেকে মাথা থেকে দেহ আলাদা করে ফেললো। কাজ শেষ। দ্রুত তারা বাসা থেকে বের হয়ে গেল। মাথা কাটার দায়িত্ব টা যার ছিল তার নাম নিজাম। বয়স ৪৫ এর মত হবে।
কাল, কপালে একটা কাটার দাগ আছে। টাকার বিনিময়ে মানুয হত্যা করাই তার পেষা। আজিজ সাহেবের সাথে পূর্বপরিচয় ছিল না। এই হত্যার বিনিময়ে সে পাবে ৫০ হাজার টাকা। গতকার সে অ্যাডান্স এর ২৫ হাজার পেয়েছে।
কাল আরো বাকি ২৫ হাজার পাবে। এটা ভেবে তার মন এখন ফুরফুরে। একটা সিগারেট লাগিয়ে সে বাড়ির দিকে রওনা হল। বাড়িতে গিয়েই সে গোসল করল। গোসল সেরে তার বউকে বলল।
-বউ খাওন দাও। খিদা লাগচে।
-রাত বিরাইত কই থাকেন ?
-কাম আছিলো।
-মাইয়াডার যে জ্বর, সেই খবর রাখেন ?
মেয়ের জ্বরের কথা শুনে নিজাম যেন বড় একটা ধাক্কা খেল। রাতে সে খাবার খেল না।
সারা রাত মেয়ের পাশে বসে থাকলো। মেয়ের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললো
-খুব কষ্ট হইতাছেরে মা ?
-হ বাজান। খুব মাথা ব্যাথা।
বলেই তার মেয়ে কেদে ফেললো। মেয়ের কষ্ট দেখে নিজামের চোখে পানি চলে এসেছে।
আহ কি মায়া, কি ভালবাসা । এই ভালবাসা মানুষ হত্যা করার সময় বেলায় কোথায় থাকে ? আজিজ সাহেব কি জানত তার এই ঘাতক টা এই ভাবে মানুষকে ভালবাসতে পারে ? নিজামের মেয়ে কি জানে তার বাবার যে হাত তাকে পরম মমতায় আদর দিচ্ছে সেই হাত দিয়েই তিনি হেসে খেলে নির্মম ভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে ? একই মানুষের কত রূপ। মানুষের মনের চেয়ে আজব জিনিস পৃথিবী তে আর কিছুই নেই। আমার ধারনা পৃথিবীর বাইরেও নেই।
শাহ্নেওয়াজ পলাশ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।