বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মোহামেডানের গোলটা লেখা থাকবে স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলির নামে। তবে এর কৃতিত্ব বুরকিনা ফাসোর মিডফিল্ডার ওসেসেনি জঙ্গোর।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের ব্যাকপাস থেকে বুরকিনা ফাসোর মিডফিল্ডার ওসেসেনি জঙ্গোর চমৎকার শট শেষ মুহূর্তে এমিলির বুকে লেগে জালে জড়ায় বল।
অবশ্য গোলটি হয়েছে মূলত আবাহনী অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার মোহাম্মেদ সুজনের ভুলে। তিনি রুখতে না পারায় মোহামেডান মিডফিল্ডার হেমন্ত বল নিয়ে আবাহনীর বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়েছিলেন।
অবশ্য এই গোলটির আগ পর্যন্ত আবাহনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল ম্যাচটি। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরিও করে তারা। কিন্তু মোহামেডানের দুই ডিফেন্ডার নাইজেরীয়ার উবম হ্যানরি ও ক্যামেরুনের বাইবেককে ফাঁকি দেয়া যায়নি। আর ২২তম মিনিটে ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশুর ক্রসে মিডফিল্ডার প্রাণোতোষ কুমারের হেড ক্রসবার ঘেষে বাইরে চলে যায়।
এক গোলে এগিয়ে যাওয়া মোহামেডান দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভূমিকায় চলে যায়।
এই জন্য তারা কিছুটা চাপেও পড়ে। আবাহনী তখন একের পর এক আক্রমণ চালায়।
৫০ মিনিটে ঘানার ফরোয়ার্ড আউডু ইব্রাহিমের ক্রসে তার স্বদেশী স্ট্রাইকার ওসই মরিসন বক্সের মধ্যে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে আবাহনীর দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট হয়। বল বিপদমুক্ত করেন মোহামেডান ডিফেন্ডার বাইবেক। ১২ মিনিট পর পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড সুয়ারেসের চমৎকার শট সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়।
এই ম্যাচে হারের কারণে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয় আবাহনী কোচ ও খেলোয়াড়দের। খেলা শেষ হওয়ার পর আবাহনী খেলোয়াড়রা বেশ কিছুক্ষণ মাঠে বসে থাকেন। তবে দলটির ইরানি কোন আলী আকবর পোরমুসলিমি পুলিশের পাহারায় মিডিয়া গেইট দিয়ে বের হয়ে যান।
আবাহনী কোচ আলী আকবর এই হারের জন্য খেলোয়াড়দের দুষছেন।
“ম্যাচে আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে জয় পাওয়ার তাড়না কম ছিল।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রক্ষণভাগ খুব সতর্ক ছিল না। যার মাশুল দিতে হয়েছে হেরে। ”
মোহামেডানের পর্তুগিজ কোচ রুই জোসে ক্যাপেলা বাতিস্তা দলের এই জয়ে দারুণ খুশি।
“আমাদের রক্ষণভাগ অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়েছে এদিন। মিডফিল্ডারও তাদের কাজটা ঠিকভাবে করেছে।
বিশেষ করে হেমন্ত অসাধারণ খেলেছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।