সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আর শুনে আসছি । কোন জিনিস অপচয় , অবহেলা বা অবঞ্জা করলেই লোকে বলে 'এইডা কি সরকারী জিনস পাইছ?'! । বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, পরিবার, চারপাশের সবার কাছ থেকে শুনতে শুনতে আমার কাছে এখন সরকারী জিনিস মানেই কোন সস্তা মূল্যহীন জিনিস মনে হয় । যা কিনা খুব সহজেই অবমূল্যায়ন করা যায় । মনে হয় যেন সরকারের ছোয়ায় জিনিসগুলো দূষিত হয়ে যায় আর মূল্যহীন হয়ে পরে ।
দেশকে যেন ধীরে ধীরে দূষিত করে ফেলছে সরকার। আমাদের সমাজ ও পরিবেশ যেন ভরে উঠেছে সরকারী আবর্জনায়। দূর্নীতিতে ভরপুর থানা,সরকারী হাসপাতাল,রেল. . . . সবকিছুই কেমন নোংরা মনে হয়। সরকারকে কখনই আমার আপন মনে হয় না।
ধীরে ধীরে যেন আমার দেশের কিছুকেই যেন অধিকার করে নিচ্ছে সরকার ।
আমার দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস সবকিছু যেন চলে গেছে সরকারের অধিকারে । স্বাধীন দেশ হিসাবে আমাদের আছে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত যার অবমূল্যায়ন দেখে মনে হয়; কোন সরকারী গান বাজছে আর সরকারী পতাকা উড়ছে । ওগুলো আমাদের না সরকারী জিনিস!! স্বাধীনতার চার দশক পরেও আমাদের নেই স্বাধীতার সুনির্দিষ্ট ইতিহাস। যা কিনা সরকার তার সরকারী ছোয়ায় ৫ বছর পর পর বদলে দেয় সেই সুমহান ইতিহাস। আমার দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমুজুর যারা কেউ দুর্নীতি করছে না ।
বরং তারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার দেশ কে। দেশকে যতটা পিছিয়ে নেবার তা নিচ্ছে সরকার। সরকারী পিয়ন থেকে শুরু করে ডাক্টার , ইন্জিনিয়ার , প্রশাসন ......... অধিকাংশ আমলার নীতিই হচ্ছে দূর্নীতি । সরকারী প্রতিষ্ঠান যেন ভরে উঠেছে দূর্নীতিতে। আসলে সরকার কোন দূষিত বা অবমূল্যায়ন করার মত জিনিস নয় ।
সরকারের ছোয়ায় নয়, আসলে সরকার গঠনকারী রাজনৈতি দলের ছোয়ায় দূষিত হয় সরকার আর দূষিত সরকারের ছোয়ায় দূষিত হচ্ছে আমার দেশ । আমার জন্মের পর থেকেই দুটি রাজনৈতিক দল ধারাবাহিকভাবে দূষিত করে আসছে এদেশের সরকার তথা দেশকে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম, ধর্ম এগুলোকেও অপবিত্র আর সস্তা করে ফেলেছে এদেশের সরকার ও বিরোধীদল তথা বড় বড় রানৈতিক দলগুলো। সন্ত্রাস, চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক ব্যবসা . . . এগুলোও এখন সরকারী হয়ে উঠেছে । শুধু ৫ বছর পর পর সরকার গঠনকারী রাজনৈতিক দলের সরকারী নেতা আর সন্ত্রাসীদের দখলে থাকে পেশাগুলো ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।