আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রাথমিক পর্বের ছদ্মবেশে বাছাইপর্ব খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের ফরম্যাটও থাকবে এবারের মতো। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল খেলবে মূল পর্বে, পূর্ণ সদস্য দুই দেশকে প্রাথমিক পর্বে খেলতে হবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা ছয় দলের সঙ্গে। র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল নির্বাচনের চূড়ান্ত সময়সীমা আগামী ৩০ এপ্রিল। এই সময়ে বাংলাদেশের আর কোনো খেলা নেই, র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বর থেকে উত্তরণের উপায়ও নেই।


দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হয়েছে এই ফরম্যাট। নেওয়া হয়েছে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত, যেগুলোর বেশির ভাগই আগের সভাগুলোর আলোচনার ধারাবাহিকতা। চার বছর অন্তর আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ আয়োজনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে বোর্ড। যাতে র‌্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থাকা টেস্ট দলের সঙ্গে লড়বে আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের চ্যাম্পিয়ন দল। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতির দুটি পাঁচ দিনের ম্যাচের সিরিজে জিতলে সহযোগী দেশ পরবর্তী চার বছরের জন্য টেস্ট মর্যাদা পাবে।

পূর্ণ সদস্য দলটি সহযোগী দলের কাছে হেরে গেলে তাদের ভাগ্যে কী ঘটবে, সেটির উল্লেখ নেই আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। খানিকটা ফাঁক এখানে তাই রয়েই গেছে। তবে আগের সভা শেষে বলা হয়েছিল, পূর্ণ সদস্য দলটি হেরে গেলে তাদের অবনমন হবে না, আইসিসির লভ্যাংশ থেকে কিছু অংশ কম পাবে, এই যা।
প্রথম আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ হবে ২০১৮ সালে। র্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বর নির্ধারণের ডেটলাইন ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭।

আগামী ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চলবে ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। ২০২২ সালের আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জের জন্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ হবে ২০১৯ থেকে ২০২১। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন এটিকে বলছেন সহযোগী দলগুলোর টেস্ট দরজা, ‘আইসিসি টেস্ট চ্যালেঞ্জ সহযোগী সদস্যদের জন্য টেস্ট ক্রিকেটের দরজা খুলে দিচ্ছে এবং আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এখন আরও বেশি অর্থবহ হচ্ছে। ’
বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে আইসিসি। আয়োজনের জন্য এমন প্রশংসা বাংলাদেশ বরাবরই পেয়ে আসছে।

তবে এবার টুর্নামেন্টকে ঘিরে এত অনিশ্চয়তার মেঘ ছিল যে, এই প্রশংসা বাংলাদেশের সবার জন্যই বাড়তি তৃপ্তি। তবে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাছাইপর্ব খেলতে হওয়ার অস্বস্তি ঠিকই কাঁটা হয়ে বিঁধছে। যথারীতি বাংলাদেশের মতো জিম্বাবুয়েকেও খেলতে হবে প্রাথমিক পর্ব। বাকি ছয়টি দল আসবে কোয়ালিফাইং খেলে। আগামী বছর জুলাই-আগস্টে আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে ১৪ দলকে নিয়ে হবে বাছাইপর্ব।


গত ৮ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর সভায় পাস হওয়া আইসিসির সাংগঠনিক ও আর্থিক কাঠামো পরিবর্তনবিষয়ক প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে আরও কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ব্যাপারে একমত হয়েছে আইসিসি বোর্ড। যাতে কোনো সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবগুলোও অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড, চূড়ান্তভাবে পাস হওয়ার জন্য যা উপস্থাপন করা হবে আগামী জুনে মেলবোর্নে অনুষ্ঠেয় আইসিসির বোর্ড সভায়।
এ ছাড়া আইসিসি ক্রিকেট কমিটিতে জাতীয় কোচদের প্রতিনিধি কোটায় গ্যারি কারস্টেনের জায়গায় আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া কোচ ড্যারেন লেম্যান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ওটিস গিবসনকে।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.