আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্ট্রেলিয়ান বন্ধুর বক্তব্যেও কাটছে না মূসা বিতর্ক

এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠেননি মূসা। মিথ্যাচার করে কৃতিত্ব নিয়েছেন। এমনকি পর্বত শিখরে ওঠার প্রমাণ হিসেবে তিনি তার যে অস্ট্রেলিয়ান বন্ধুর ভিডিও হাজির করেছেন তাতেও প্রমাণ হয় না তিনি এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন। এমন অভিযোগ বাংলাদেশের একাধিক পর্বতারোহীর।

গতকাল বৃহস্পতিবার একাত্তর টেলিভিশনে এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় নিয়ে মূসা ইব্রাহিম মিথ্যাচার করেছেন। এমনটাই অভিযোগ পর্বতারোহীদের।

পর্বতারোহীরা জানান, মূসার নাম নেপাল পর্বত নামের প্রকাশনায় নেই। এ কারণে মূসা তার বিবৃতিতে প্রথম নারী পর্বতারোহী জাপানের জুনকো তাবেইর নাম ‘নেপাল পর্বত’ নামে প্রকাশনায় নেই বলে ভুল তথ্য দিয়েছেন। গত ৫ এপ্রিল এক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মূসা দাবি করেন, নেপাল পর্বত প্রকাশনায় নাম থাকা এভারেস্ট জয়ের প্রমাণ নয়।

যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, নেপাল পর্বত-এ বিশ্বের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী জুনকো তাবেইর নাম নেই। অথচ, ১৯৭৫ সালের ১৬ মে নেপাল দিয়ে এভারেস্ট জয় করা জুনকো তাবেইর নাম প্রকাশনাটির ২৭ পৃষ্ঠায় রয়েছে। এমনকি প্রকাশনাটির ৩২ পৃষ্ঠায় ‘ক্রিয়েটর অব দ্য হিস্ট্রি’ শিরোনামে জুনকো তাবেইর নামে বিশেষ নিবন্ধ ছাপা আছে।

অভিযোগে বলা হয়, মূসা তার এভারেস্টে আরোহণের সাক্ষ্য হিসেবে তার অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু ব্রান্ডেনের যে ভিডিওটিকে সাক্ষ্য হিসেবে হাজির করেছেন তাতেও পরিষ্কার হয় না তিনি মূসাকে এভারেস্টের চূড়ায় দেখেছেন।

এ ব্যাপারে পর্বতারোহণ সংগঠক শাহজাহান মৃধা বেনু বলেন, ব্রান্ডেনের বক্তব্য আমরা শুনেছি।

তার বক্তব্যের শ্রুতিলেখন করেছি যাতে কোনো ফাঁক না থাকে। সেখানে উনি কোথাও বলেননি যে, তিনি এভারেস্টে মূসাকে দেখেছেন এবং এভারেস্টের কোনো ছবি বা প্রমাণ তার কাছে আছে।

মূসার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী পর্বতারোহী অনু তারেক বলেন, একজন আরোহী বলুক যে, আমি মূসা ইব্রাহিমকে এভারেস্ট শিখরে দেখেছি। কেউ বলেনি। ব্রান্ডন বলেছেন, আমার বিশ্বাস মূসা শিখরে উঠেছে।

তিনি বলেননি তিনি মূসাকে এভারেস্টে দেখেছেন।

এদিকে নেপাল পর্বত নামে প্রকাশনায় দেশের প্রথম এভারেস্ট জয়ী হিসেবে মূসার নাম না থাকা ও অন্য তিন এভারেস্ট জয়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান প্রেসিডেন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে মূসা দাবি করেন, চায়না তিব্বতের দিক দিয়ে যারা এভারেস্টে ওঠেন তাদের নামের তালিকা নেপাল পর্বতে রাখা হয় না।

তবে দেখা গেছে, চায়না তিব্বতের দিক দিয়ে এভারেস্টে ওঠা অন্তত পাঁচজনের নাম রয়েছে স্মরণিকাটিতে। দ্বিতীয় এভারেস্ট জয়ী নারী চীনের ফ্যানতগও উঠেছেন তিব্বত দিয়ে।

অন্যদিকে হিমালয়ান ডাটাবেজে ৪টা ৫০ মিনিটে মূসা শৃঙ্গে উঠেছেন বলে উল্লেখ থাকলেও তার সার্টিফিকেটে লেখা আছে, ৬টা ৫০ মিনিট।

পর্বতারোহীদের দাবি, মূসার এভারেস্ট জয়ের কোনো দালিলিক প্রমাণ যেমন নেই তেমনি তিনি যেসব প্রমাণ হাজির করেছেন তারও কোনো ভিত্তি নেই।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.