শুক্রবার বিকেলে নগরীর মুসলিম হলে কর্মী সম্মেলন ছিল কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির। একই সময়ে মুসলিম হল সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয় এরশাদের অনুসারীরা।
বিকাল ৩টার দিকে কাজী জাফরের অনুসারীরা মুসলিম হলের সামনে জড়ো হলেও কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।
সাড়ে ৩টার দিকে এরশাদের অনুসারীরা মুসলিম হলের অদূরে রাইফেল ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরও বাধা দেয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম জানান, কাছাকাছি স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কায় কোনো পক্ষকেই অনুমতি দেয়া হয়নি।
কর্মী সম্মেলন করতে না পেরে বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কাজী জাফর।
তিনি বলেন, “এরশাদের জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী জাতীয় পার্টিতে পরিণত হয়েছে। এর মৃত্যুঘণ্টা ইতিমধ্যে বেজে উঠেছে। ”
সম্মেলন করতে না পারার জন্য পুলিশকে দায়ী করে তিনি বলেন, প্রথমে অনুমতি দেয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
“দেশে গণতন্ত্রের লেশ মাত্র নেই।
এরশাদের জাতীয় পার্টির মিছিল থেকে আমাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়া হয়েছে, তারা তেড়ে আসতে চেয়েছে। অথচ পুলিশ নির্বিকার। ”
সংবাদ সম্মেলনে আবু নাসের চৌধুরীকে সভাপতি ও কামাল উদ্দিন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর কমিটি এবং ফেরদৌস চৌধুরীকে সভাপতি ও মৃদুল গুহকে সাধারণ সম্পাদক করে দলের দক্ষিণ জেলা কমিটি ঘোষণা করেন কাজী জাফর।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে প্রেসক্লাবের বাইরে কাজী জাফরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন এরশাদের অনুসারীরা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, “এরশাদের অনুমতি ছাড়া চট্টগ্রামে কাউকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না।
এরশাদ ছাড়া বাংলাদেশে কোনো জাতীয় পার্টি হবে না। ”
কাজী জাফরের সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই নেতাকর্মীদের নিয়ে চলে যান সোলায়মান আলম শেঠ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।