বিরোধীদল সমর্থিত আইনজীবীরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক বলতে নারাজ। তারা বলে থাকেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দটি ছাড়া এখানে আন্তর্জাতিকতার কিছুই নেই। বিচারক থেকে শুরু করে প্রসিকিউটর সবাই এ দেশের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে তা ট্রাইব্যুনালের কারোরই নেই। অবশ্য আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিকও একাধিকার স্বীকার করেছেন এটি ‘ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল।
’
সরকার ও বিরোধীদল ট্রাইব্যুনালকে ‘আন্তর্জাতিক’ ট্রাইব্যুনাল বলতে অস্বীকার করলেও বিতর্কিত বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ সংলাপ ফাঁস হয়ে পড়ায় এ ট্রাইব্যুনাল এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালকে ‘আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বেলজিয়াম প্রবাসী আইনজীবী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের ভূমিকা সবার চেয়ে বেশি। তিনি ব্রাসেলসে বসে অনেক 'কষ্ট' করে মামলা চার্জ লিখে দেয়া থেকে শুরু করে কোন মামলার রায় আগে হবে, কোনটার রায় পরে হবে, কোন ট্রাইব্যুনালে কোন মামলায় কতজন সাক্ষী আসামিপক্ষকে আনতে দেয়া হবে, রায়ের কাঠামো কী হবে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি নিজামুলক হককে। একটি পত্রিকা আজ লিখেছে- "চার্জ গঠনের আদেশ আসে বেলজিয়াম থেকে; তদন্ত প্রতিবেদন গেছে ঢাকা থেকে। " ফলে এ ট্রাইব্যুনালকে কি ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল বলা যায়? এটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর হেড অফিস ব্রাসেলস। যেখানে বসে জিয়াউদ্দিন একের পর এক অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে গেছেন। সেজন্য এটিকে ‘আন্তর্জাতিক’ ‘অপরাধ’ ‘ট্রাইব্যুনাল’ বলাই যায়। কিন্তু একটা প্রশ্ন-এই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য কারা দায়ী? তাদের বিচার হবে কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।