সতর্ক করন " জামাত শিবির , যে কোন রকমের মৌলবাদী, ধর্ম ব্যাবসাই ও বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত সকল জানয়ারের প্রবেশ নিষেধ" গোলাম আযম বাংলাদেশে বসবাসরত একজন পাকিস্তানী নাগরিক এবং স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামীর সাবেক আমির। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিলো। তিনি একজন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে পরিচিত এবং এই অভিযোগে তার বিচার চলছে। মুক্তিযুদ্ধে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন এবং শান্তি কমিটি ও রাজাকার-আলবদর বাহিনী গঠন করেন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে পাকিস্তান চলে যান।
স্বাধীনতার পরও তিনি 'বাংলাদেশ না মঞ্জুর' (বাংলাদেশ মানি না) নামে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়েছেন বিদেশের মাটিতে বসে। তাই তাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হয়। নীচের তথ্যগুলো যুদ্ধাপরাধ বিচার বিষয়ক আদালতের সেফ হোমে গোলামকে জেরা করার সময় প্রকাশ পায়:
গোলাম আযম ১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর (বাংলা ১৩২৯ সালের ৫ই অগ্রহায়ন) ঢাকা শহরের লক্ষ্মীবাজারে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গোলাম আযমের পিতার নাম মাওলানা গোলাম কবির। মাতার নাম সাইয়েদা আশরাফুন্নিসা।
মাওলানা গোলাম কবির শ্বশুরবাড়ীতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। নিজের পরিবারের সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো না। গোলাম আযম জানান তার শারীরিক গড়নের কারণে তার পূর্বপুরুষদের সম্পর্কে তার কৌতুহুল জন্মায়। এই আগ্রহ আরও উস্কে দেন কলেজের এ কে সেন নামে তার এক অধ্যাপক। তিনি নৃতাত্বিক বিষয়ে আলাপের সময় বলেন তোমার শরীরে ৭৫ ভাগ আর্য (আরিয়ান) এবং ২৫ ভাগ দ্রাবিড় রক্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে গোলাম আযম তার দাদার কাছে জিজ্ঞাস করে জানতে পারেন যে তার পূর্বপুরুষরা ইউরোপিয়ান ইহুদি ।
সে সময় এই দেশের মুসলমানদের পূর্বপুরুষরা হিন্দুই ছিলো। তেমনি গোলামের পূর্বপুরুষ ছিলো বিমল চন্দ্র দাস নামে একজন নিম্নবর্ণের হিন্দু। বাংলাদেশের বর্তমান ভৈরব অঞ্চলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রেলবিভাগে ইংরেজদের পিয়ন হিসেবে কাজ করতেন। তিন সন্তানের জনক বিমল সংসার জীবনে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতেন।
কাজের সুবাদে রেলওয়ের ইহুদি ধর্মাবলম্বী ইংরেজ অফিসার রবার্ট গোল্ডস্টোনের বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতে হতো বিমলেকে। রবার্টের এক অল্প বয়সী বিধবা বোন ছিলো। তার নাম মার্গারেট। স্বামী মারা যাবার পর ভাইয়ের সংসারে এসে উঠেন তিনি। বিমল চন্দ্র দাস রবার্টের বাসায় আসা যাওয়ার সুবাদে আটকা পড়েন সদ্য বিধবা মার্গারেটের মাদকতাপুর্ণ যৌবনের ফাঁদে।
তাদের অবৈধ সম্পর্কের ফলশ্রুতিতে মার্গারেট গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাওয়ায় মার্গারেটের পক্ষে গর্ভপাত করা সম্ভব হয়নি। ফলশ্রুতিতে এই সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যায়। বোনের এই অধঃপতন মেনে নিতে পারেননি রবার্ট। তবে তার সব রাগ গিয়ে পড়ে বিমলের উপর।
এ কারনে কিছুদিন জেলও খাটতে হয় বিমলকে। কিন্তু মার্গারেটের একরোখা জেদের কারনে শেষ পর্যন্ত রবার্ট রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হন। তখনকার কট্টরপন্থী হিন্দু সমাজে ধর্মান্তরিত হওয়া ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহের কোন উপায় ছিলো না বলেই বিমল ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। বিখ্যাত মুসলিম বীর বখতিয়ার উদ্দিন খিলজীর নামানুসারে তিনি নাম নেন শেখ বখতিয়ার। প্রেমিকের পথ ধরে মার্গারেটও মুসলমান হন, তার নাম রাখা হয় বেগম রাহেলা খাতুন।
অবশেষে তাদের গর্ভের সন্তান পৃথিবীতে আসে যার নাম রাখা হয় শেখ সাহাবুদ্দিন। তারই ঔরসে জন্ম নেয় গোলাম আযমের দাদা মাওলানা আবদুস সোবহান। জিজ্ঞাসাবাদে গোলাম আযম জানান এসব কিছুই তার দাদার মুখ থেকে শোনা। তবে এ বিষয় জানাজানি হলে সেটা তার রাজনৈতিক প্রভাব নষ্ট করতে পারে বলে আত্মজীবনীতে নিজেকে শেখ বংশ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন তার পূর্বপুরুষ শেখ তকি যিনি বীরগাওয়ে এসে বসবাস শুরু করেন।
উল্লেখ্য আত্মজীবনীতে নিজেকে শেখ বংশ বলে দাবি করায় শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কোনো আত্মীয়তা আছে কিনা জানতে জেরার সূত্রেই গোলাম আযম এইসব তথ্য জানান।
এই তথ্য মানুষকে জানার সুযোগ করে দিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।