বিভিন্ন বেসরকারি টিভি টকশো বা আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রায়ই যে কথাটি বলে থাকেন, যা বোঝাতে চেষ্টা করেন তার মোদ্দাকথা হচ্ছে, বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্প্রতিষ্ঠার যে দাবি তাদের এর জন্য যে আন্দোলন তাঁরা করছেন তা ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের দাবি এবং আন্দোলনেরই নতুন সংস্করণ মাত্র। সেসময় আওয়ামী লীগ উক্ত দাবি আদায় করতে শতাধিক হরতাল করেছিল, রাস্তাঘাট উত্তপ্ত করেছিল, এমনকি সংসদ থেকে পদত্যাগও করেছিল। সুতরাং, তখন আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে যৌক্তিকতা তুলে ধরেছিল এখন বিরোধী দল হিসেবে তাদেরও একই দাবি যৌক্তিকতা রয়েছে, এর সমাধান তখন রাজপথে হয়েছে বলে কেউ কেউ বলে থাকেন। একইভাবে ২০০৬-০৭ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, এলডিপি, বিকল্প ধারা মিলিয়ে একটি বড় ধরনের ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে হরতাল, অবরোধসহ সংঘাতপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে পেরেছিল। ফলে ১৯৯৪-৯৬ এবং ২০০৬-০৭ সালে বিরোধী জোট আন্দোলনে সফল হয়েছে, বিএনপি এবং এর মিত্র জোট বাধ্য হয়েছিল বিরোধী জোটের আন্দোলনের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে।
শুধু বিএনপির নেতৃবৃন্দই নয়, টকশোগুলোতে অংশ নেয়া কোন কোন আলোচক এই আন্দোলনগুলোকে প্রায় কাছাকাছি বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন বলে মনে হচ্ছে। অথবা হরতাল, অবরোধ নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে কিছু কথা বলা হয়। সব কিছু মিলিয়ে আলোচনাগুলো খুব বেশি গভীরে যায় বলে মনে হয় না। ফলে নতুন প্রজন্মের দর্শক শ্রোতারা রাজনৈতিক এ সব আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যসমূহ যে সব মিল বা অমিল রয়েছে তা খুব একটা ধরতে পারে না। আবার সেই সব আন্দোলনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক চাপা পড়তে পড়তে বিস্মৃত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
আমাদের দেশে রাজনীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রচুর লেখালেখি হয় যার বেশিরভাগই বিশ্লেষণাত্মক নয়, আবার বেতার-টিভির টকশোতেও প্রচুর বলাবলি হয় তাতেও রাজনৈতিক বিশ্লেষণের প্রচ- অভাব থাকে, বেশিরভাগই তর্ক-বিতর্ক এবং দলীয় অবস্থানকে বাক্য ব্যয়ে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানের কসরত মাত্র। রাজনীতির বিশ্লেষণের জন্যে যে ধরনের গবেষণামূলক অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও পরিচয় থাকা আবশ্যকীয়Ñতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত থাকে। একইভাবে উন্মুক্ত আলোচনাতেও যে সব যুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে রাজনৈতিক নানা ধরনের মতাদর্শের নিরিখে দেখতে হয়Ñ তেমনটি খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেশের সমসাময়িক ঘটনাবলীকে ব্যক্তিগত বিশ্বাস, সরলীকরণকৃত মতামত, ভারসাম্যমূলক নেতি কথা দিয়ে উপস্থাপন করার প্রবণতা চোখে পড়ে। এ সব সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের রাজনীতির ঘটনা প্রবাহকে সমৃদ্ধ ধারণার উপলব্ধিতে খুব একটা উপস্থাপন করা যাচ্ছে না।
আলোচ্য রাজনৈতিক ঘটনাবলীকেও রাজনীতিবিদ এবং আলোচক ও কলাম লেখক পর্যায়ে ঐতিহাসিক বাস্তবতায় তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। যদি তা করা যেত তাহলে দেশের রাজনীতির গতিধারা, চরিত্র ইত্যাদি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা সৃষ্টির বিষয়টি অনেক বেশি সফল হতো। এখনও দেশের বেশিরভাগ জ্ঞানতাত্ত্বিক আলোচনা ও ধারণা অর্জন ব্যক্তি বিশেষের আগ্রহ এবং পড়াশোনার ওপরই নির্ভর করছে। গণমাধ্যমকেন্দ্রিক বুদ্ধিবিভাসার সাফল্য তুলনামূলকভাবে কম। শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও খুব একটা উল্লেখ করার পর্যায়ে নেই।
পশ্চিমা উন্নত দেশে কিংবা নিকটবর্তী ভারতে এসব ক্ষেত্রে যতখানি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের প্রসার ও গুরুত্ব দৃশ্যমান হচ্ছে বাংলাদেশে সেই তুলনায় তা এখনও কোন পর্যায়েই যায় নি। যদিও অনুসরণ ও অনুকরণটি আমরা তাদেরই বেশি করছি। এর থেকে বের হয়ে আসা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। ১৯৯৪-৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যুগপৎভাবে জামায়াতের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল তা শুধু মাগুরার একটি উপনির্বাচনে ভোট ডাকাতির কারণেই ঘটেনি।
আরও যে সব উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন তখন দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে সরকার ও প্রশাসন নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল, নির্বাচন কমিশন সরকারের অনুগত প্রতিষ্ঠানের বেশি কিছু দেখতে পারেনি। অথচ ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রে উত্তরণের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি আন্দোলনের সাফল্য ছিল। গোটা আশির দশকে সামরিক এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ইস্যুই ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিন জোটের আন্দোলনের কাছে এরশাদ সরকার নতিস্বীকার করে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়, তিন জোটের প্রস্তাব মোতাবেক সংবিধানকে উপেক্ষা করেই প্রধান বিচারপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে একটি নির্বাচনের আয়োজন করেন। নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছিল।
এটিকে একটি বিশেষ পরিস্থিতির সরকার হিসেবেই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের পর নতুন সরকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার খারাপ অভ্যাসটি ত্যাগ না করে বরং আঁকড়ে ধরেছিল। তা থেকেই ১৯৯০-৯১-এর আদলে তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব নতুনভাবে উপলব্ধিতে আসে। মাগুরার উপ-নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়কের ধারণাটি ব্যাপক মানুষের কাছে একই রকম মনে হতে থাকে। অথচ তখন যদি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করাসহ যাবতীয় অপরিহার্য উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসত তাহলে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন ধারণা হয়ত উদ্ভব হতো না।
তখন মৌলিক এই সব জায়গায় কেউ কাজ করার বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক ধারণা নিয়ে সংসদ ও বাইরে সোচ্চার হতে থাকে, জামায়াতও সংসদ এবং রাজপথে নেমে আসে। বিএনপি এই দাবি যেমন মানতে চায়নি, নির্বাচন কমিশন নিয়েও কোন উদ্যোগ নেয়নি। ফলে আন্দোলন জোরদার হতে থাকে, হরতাল, সভা-সমাবেশে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। বিরোধী দল এক পর্যায়ে সংসদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেয়।
সরকার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণ এককভাবে একটি নির্বাচনের আয়োজন করে যা জনগণ বর্জন করে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিহত করে। এরপর অসহযোগ আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। মনে রাখতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উক্ত আন্দোলনে আওয়ামী লীগের হরতালসহ সকল কর্মসূচীর প্রতি মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রহণ ক্রমাগত বেড়েছে, আন্দোলনটি দলের কর্মসূচীতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, জনগণের সমর্থন ও অংশগ্রহণে বেগবান হয়েছিল। সে কারণেই বিএনপি সরকার বাধ্য হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্র্ভুক্ত করে সরকার থেকে বিদায় নিতে, প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। এই আন্দোলনটির উদ্যোগ রাজনৈতিক দল নিলেও সফল করার ক্ষেত্রে জনগণের ভূমিকাই মুখ্য হয়ে উঠেছিল।
কোন আন্দোলনই জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হতে পারে না। ফলে ১৯৯৪-৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে হরতাল, ধর্মঘট ইত্যাদি দীর্ঘ সময় নিয়ে হলেও তা ছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সফল। সেই সময়ের হরতালে পিকেটিং, মিছিল ও সমাবেশ হলেও এখনকার মতো ভাংচুর, পোড়াপুড়ি ছিল না। হরতালে জনদুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ছিল। তারপরও হরতালকে সহ্য করার মানসিকতা কমবেশি ছিল।
অন্যদিকে ২০০৬ সালে নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলন তৎকালীন সরকারের নানা কূটকৌশল অবলম্বনের কারণে যৌক্তিকতা পেতে থাকে। অথচ ২০০১ সালে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে ভিন্নতর কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ফলে বিরোধী দল বা জোটের কোন আন্দোলনের প্রয়োজন পড়েনি। ২০০৬ সালে ঘটেছিল অপ্রত্যাশিত সব কর্মকা-। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি আস্থাহীনতা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়, উক্ত সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকা- নিয়ে আওয়ামী লীগের আন্দোলন ব্যাপকভাবে জনসমর্থন লাভ করতে থাকে।
হরতাল ও অবরোধে সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করতে থাকে। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে গণরোষ তৈরি হতে থাকে। আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা, এলডিপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই কারচুপির নির্বাচন এবং ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে, জনগণও এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ৪ দলীয় জোট তৎকালীন ইয়াজউদ্দিনের পুতুল সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছিল। ফলে জনবিস্ফোরণ ঘটেছিল।
আন্দোলনের এসব বৈশিষ্ট্যকে বাদ দিয়ে তখন আওয়ামী লীগ হরতাল করেছিল বলে যে সব যুক্তি দেয়া হয় তা ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে খ-িতভাবেই দেখার প্রবণতা তুলে ধরে। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এখন ১৮ দল আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তবে এর সঙ্গে জামায়াতের দলীয় নেতাদের দাবিটি ১৮ দলের সভা সমাবেশে স্থান করে নিয়েছে, ১৮ দলীয় জোট সমাবেশে জামায়াতের দলীয় দাবিকে অনুমতি দিচ্ছে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সমর্থনও জানিয়ে থাকে। ফলে ১৮ দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিটি ১৯৯৪-৯৬ সালের মতো সাড়া ফেলতে পারেনি। এতদিনে রাজনীতিতে মানুষের অভিজ্ঞতা বেড়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি নিরঙ্কুশ আস্থা স্থাপনের বাস্তবতা এখন আর দেখা যাচ্ছে না। নানা সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা এই পদ্ধতিতে দেখা দিচ্ছে। অধিকন্তু নির্বাচন কমিশন নব্বইয়ের দশকের জায়গায় এখন আর নেই। ফলে বিএনপি-জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশে হরতাল ও অবরোধ ডেকে ব্যাপক গাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর এবং পোড়াপুড়ি করার মাধ্যমে কর্মসূচীগুলোকে যে রূপ দান করছে তাতে জনমনে ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ডিসেম্বর মাসে যে কটি হরতাল এবং অবরোধ তাদের উদ্যোগে ডাকা হয়েছে তাতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বাড়লেও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও সমর্থন খুব একটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
কর্মসূচীগুলোকে কেন্দ্র করে যে ধরনের সহিংসতা, সংঘর্ষ ও ভাংচুর, জ্বালাও পোড়ায়ের মতো উগ্র মনোভাব প্রদর্শন করা হয়েছে তার ফলে জনগণের অংশগ্রহণ প্রায় অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছে। ১৮ দল সংখ্যার দিক থেকে এখনও কম হরতাল ও অবরোধ ডাকলেও তা-ব সৃষ্টির অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা, পোড়াপুড়ি ও ভাংচুরের বিষয়টি যথেষ্ট, এতে দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অধিকন্তু ১৮ দলীয় জোটের প্রধান দুই দলের তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের হাত থেকে রক্ষার সঙ্গে একাকার হয়ে উঠেছে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার বিষয়টি ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার কারণে বিএনপির অবস্থান নিয়ে সচেতন মহলে বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ফলে ১৮ দলীয় জোটের বর্তমান আন্দোলনের মূল ইস্যু নিয়েই জনমনে নানা সন্দেহ ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, জনগণ সে কারণে এসব দাবিতে রাস্তায় নামার পর্যায়ে যায়নি। অধিকন্তু হরতাল ও অবরোধে ১৮ দলীয় জোটের আগ্রাসী, ধ্বংসাত্মক মনোভাব এই আন্দোলনের তরী শেষ পর্যন্ত কোন ঘাটে গিয়ে ভিড়বে তা নিয়েও বড় ধরনের সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের আন্দোলনের প্রতি জনগণের আস্থাকে এ পর্যন্ত কোন পর্যায়েই নিতে পারেনি। অদূর ভবিষ্যতে পারবে কি-না তা এ মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এই আন্দোলন কতটা সফল হবে তা নিশ্চিত নয়। ১৮ দল তাদের বর্তমান আন্দোলনকে গণভিত্তির চরিত্রদানের চাইতে জোটের নেতা-কর্মীতেই এখনও আটকে রেখেছে। এই সীমাবদ্ধতা জোট কাটাতে পারবে কিনা তা দেখার বিষয়।
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারীর লেখা থেকে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।