রাশিয়াতে বাস করি, রাস্ট্রিীয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। কারণ এখানে স্বভাবতই রুশ অনুষ্ঠান, পালাপরবনের
দিনেই ছুটি ঘোষণা হয়ে থাকে।
৮০ জনের মত বাংলাদেশ বংশোদ্ভুতের বাস এ শহরে। তারপর ও এখানে ২ থেকে আড়াইটা সংগঠন।
একটা এন জি ও - গবেষণা , বাংলা পাঠাগার, উভয় সরকারের সাথেই কাজ করে বাংলাদেশ কেন্দ্র, একটি বহুল পরিচিত সংগঠন, যাকে কিনা প্রায়ই রুশ প্রচার সংগঠনে দেখা যায়।
১৬ই ডিসেম্বরে কাজ ছিল, ফোনে ফোনেই স্বদেশিদের সাথে কথা বলা। এক শহরে বাস করেও দেখা হয় বছরে এক- দুইবার। আর আজ ১৭ তারিখ
এমনই একটা দিন ছিল। কোন মতে ব্যক্তিগত কাজ সেরে দিলাম দৌড়- বাংলাদেশের বিজয় দিবসের ভোজ সভায়।
পাতাল রেলে যাবার সময় ভাবলাম, আমি এক সময় ছিলাম আশাবাদী, এখন নিরাশাবাদী।
১৯৮৮ সালে আমার বয়স কম ছিল, কিন্তু বাংলাদেশ বিষয়ে যে বিশ্লেষন করেছিলাম, ২০১২ সালেও দেখলাম আমিই ঠিক, ডাহা ঠিক, এবং এ ও জানি ২০৫০ সালেও আমার ধারণাই ঠিক থাকবে। যে কারণে আজ বিভু্যে বাস করি, বি-ভাষায় কথা কই। যাই হোক, একটা কথা কখনও শুনলাম না, যা কিনা হঠাৎ মাথায় এলো।
সেটা হলো, আমাদের দক্ষিন এশিয়ায় যে দেশগুলো আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অনন্য। বাংলাদশের বাংগালীরা অন্যরকম আসামি, শিখ, নেপালি, তামিল, সিন্ধ, বার্মিজ, কর্নাটকি, পান্জাবী, লাহোরীদের থেকে।
তা হলো, আমরাই একমাত্র দেশ, যারা কিনা একটা নিজস্ব দেশ পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেছে। প্রান দিয়ে একটা দেশ প্রতিস্ঠা করেছে -যা কিনা আর কেউ করেনি। শুধু তাই নয়, নিজের রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে বিশ্ব-সভায় স্হান দিয়েছে।
ভারত-পাকিস্হান ভাগ করা হয়েছে। ব্রিটিশদের সাথে আন্দোলন করে তা করা হয়ছে, যুদ্ধ করে নয়।
নেপাল-ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ -এরাও যুদ্ধ করেনি নিজের দেশ বানানোর জন্যে -যেমনটা করেছে বাংলার মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের দিয়ে গেল এই স্বাধীনতা, আজ বি। এন। পি। , আওয়ামী লীগ, জামায়াত নামধারী দল গুলো কি করছে -এই স্বাধীনতা নিয়ে? এই ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে জানি না।
তাই গড়ে তুলছি ছোট একটা বাংলাদেশ রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরে।
দেশে থাকলে আমি দেশের জন্য কিছুই করতে পারতাম না, যা কিনা এখান থেকে করতে পারছি, দেশের থাকলে আমাকে, আমাদের বাধা দেওয়া হতও। এখানেও বাংলাদেশের রাষট্দূত চেস্টা করেছে আমাদের দু'ভাগে ভাগ করতে, পারেনি।
আমাদের এখানে নেই আওয়ামী লীগ, বি। এন।
পি। এখানে আছে বংগবন্ধু প্রেমী, সতি্যকার অর্থে জিয়ার আদরশের সম্মানকারীরা -যা বিষয়ে আজও বাংলাদেশের বাংগালীরা বোঝে না। বাংলাদেশে শ্রী চিন্ময়ের নামও কেউ জানে না, জানে খুব কম লোকেরা, কিন্তু সারা বিশ্ব তাকে জানে। জাতিসংঘ ভবন একটা তলা তার জন্য বরাদ্দ করেছে।
একটু বকলাম।
অনেকদিন বকিনি। পড়ুন, ভালোবাসুন মাটির সোদা গন্ধটাকে, যা কিনা শুধু ঐখানেই আছে রে! (এবার দেশে এলে মাটি প্যাকেটে করে নিয়ে আসবো। )
ভালোবাসা!!
আমদের ওয়েব সাইট http://banglarussia.narod.ru/
http://thebsa.narod.ru/
http://brcon.narod.ru/
ফেইসবুকে আমি: https://www.facebook.com/zahidmurad ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।