শিক্ষিত সমাজে পয়লা মে যে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস তা অজানা না থাকলেও নিম্ন শ্রেণীর শ্রমিকদের মধ্যে খুব কম সংখ্যাকই জানে দিনটিকে। তবে টিভি সাংবাদিকদের কারণে এখন সেই অজানাটিও জেনে গেছেন অনেক কুলি-মজুর।
দিনটি আসলেই প্রতিটি চ্যানেলেই (যে সব চ্যানেলে সংবাদ প্রচারিত হয়) ঘটা করে প্রচারিত হয় একটি স্পেশাল সংবাদ। মে দিবস কি, কেন পালন করা হয়, কোথায় ও কখন এর উৎপত্তি, কাদের দ্রোহের ফসল এটি? আজ জানা এতটা সহজ হয়েছে এই টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্যই। কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পালায় এই যন্ত্রবাক্সটি প্রায় প্রতিটি ঘরেই দেখা যায়।
কিন্তু আজ আমার লেখা মে দিবসের ইতিহাস চরণের জন্য নয়। লেখাটা সেই সব টিভি সাংবাদিকদের জন্য যারা এই ম্যাসেজাটা সমাজের আপামর জন সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে, জনগণকে সচেতন করেছে দিবসটি সম্পর্কে, অধিকার আদায়ের জন্য__তারা নিজেরা কতটুকু সে অধিকার পাচ্ছে?
ব্যাংক, অফিস-আদালত, পত্রিকা এই দিনে সরকারীভাবে বন্ধ থাকলেও টেলিভিশনতো আর বন্ধ রাখা যায়না। তাতে এই পরিশ্রমী সাংবাদিকদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের কাজ করতে কোন কষ্ট নেই। কিন্তু আক্ষেপ এক জায়গাতেই_যখন তারা এই কষ্টের কোন মূল্য না পায়।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান কোনদিন তাদের মুখের ভাষাতে ধন্যবাদও দেন না আবার ছুটির দিনে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিকও দেন। তাহলে কিসে সন্তুষ্ট থাকবেন তারা। খুব কম সংখ্যাক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আছে যারা ছুটির দিনে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক বা পরে কোন এক সময়ে মিলিয়ে দেন। তবে বেশীর ভাগ মিডিয়ায় স্বেচ্ছাচারিতার ভিত্তিতে খাটিয়ে যাচ্ছেন এই বার্তা বিভাগ ও অনুষ্ঠান বিভাগকে।
অন্যের বিপদে, অন্যের অধিকার আদায়ে রিপোর্ট করে জনমত বা জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেও নিজেদের এই অভিযোগ তুলে ধরার মত কোন মিডিয়া তাদের নেই।
এই নিয়ে উচ্চবাচ্য করলে চাকরী হারানোয় ভয়তো আছেই।
শ্রমিক দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়তে পারেন__এই খানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।