নামটা মনে রাখবেন কলেজের ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল। বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। গার্ডে থাকা ম্যাডাম নিজেও বাংলার শিক্ষিকা। আমার বরাবর দাঁড়য়েছিলেন। প্রশ্নটা হাতে নিয়ে বলছিলেন, "এই যুগে আর চিঠিপত্র কে লেখে।
.. টাকা চেয়ে পিতার কাছে পুত্রের চিঠি, বন্ধুকে বোনের বিয়ের দাওয়াত দিয়ে চিঠি... এখন পরীক্ষায় লেখানো উচিৎ ইমেইল, ফেসবুক নোট.. এগুলো। "
তখন আমি লজ্জিত মুখে বল্লাম, "আমি চিঠি লিখি তো এম্নিতে। "
ম্যাডাম বল্লেন, "কার কাছে?"
ক্যামন নিঃসঙ্কোচেই বল্লাম, "গার্ল্ফ্রেন্ড!"
ম্যাডাম বল্লেন, "গুড! সে কিসে পড়ে?"
আমি বল্লাম, "আমার সমান ই। "
...
যাই হোক, এই চিঠি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে অনেক। প্রথম দিকে অনেক চিঠি লিখতাম।
কোচিং এ গিয়ে বিনিময় করতাম। পরে ফোনে যোগাযোগ এত বেড়ে গ্যালো, আবার সে চিঠি নিয়ে তার বাসায় ধরা পড়লো, তাই পরে আর লেখা হত না!"
ওর চিঠিগুলো আমার কাছে আছে। গত জানুয়ারির আগের জানুয়ারিতেও ওগুলো দেখে চোখের পানি ফেলতাম! এখন অবশ্য ফিলিংস নেই! সব শেষ তো!
আমার লেখা চিঠিগুলো ওর কাছে রয়ে গ্যাছে। বারবার চেয়েছি। ফেরত দেয়নি।
পেলে ভালো হত। (হয়তো আমার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হবে!!!)
ভালো লাগত লিখতে খুব।
#স্মৃতিচারণ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।