আগামী বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ রাখা না হলে ৩০ জুনের পর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন তারা।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ এশারত আলী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রায় সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর অপেক্ষায় আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে এক লাখের মতো শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
“আগামী বাজেটে এসব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর জন্য বরাদ্দ রাখা না হলে আমরা ৩০ জুনের পর কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করব। ”
এমপিওর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা এসব শিক্ষক গত ১৮ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আশ্বাসে লাগাতার অনশনসহ সব ধরনের কর্মসূচি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
এ প্রসঙ্গের উল্লেখ করে এশারত বলেন, “আমরা আশা করবো মন্ত্রী তার কথা রাখবেন। ”
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর গত জানুয়ারিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, “তাদের সঙ্গে আমরা সব বিষয়ে কথা বলেছি। তারাও আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা তিন মাস পরে আবার বসবো এবং বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবো। ”
এমপিওভুক্তির দাবিতে জানুয়ারির শুরু থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও অনশন কর্মসূচির শিক্ষামন্ত্রীর ওই আশ্বাস পান শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এর আগে গত বছরের মে মাসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বৈঠক হয়। পরে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা। ১ সেপ্টেম্বর তাদের আন্দোলনে কর্মসূচিতে লাঠিপেটা করে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলে আশ্বাস দেয়ার পর কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষকরা। যদিও ওই বৈঠক পরে স্থগিত করা হয়।
এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন শিক্ষকরা। এর মধ্যে দাবি আদায় না হওয়ায় গত ৭ জানুয়ারি থেকে ফের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
বাজেটে এমপিওর জন্য বরাদ্দ না রাখা হলে তৃতীয় দফা আন্দোলনের হুমকি দিলেন তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।