জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই প্রথমে একটা স্ক্রিপ্ট, শুটিং স্ক্রিপ্ট এবং সেটার শুটিং প্লান শেয়ার করি। তারপর বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাব। নতুনরা আমার এই লেখা থেকে শিখবে। অভিজ্ঞদের কাছ থেকে আমি শিখব। সবার খোলামেলা মন্তব্য আশা করি।
এটি আমার লেখা ‘বীরাঙ্গনা’ নামের একটি টিভি নাটকের স্ক্রিপ্ট থেকে নেয়া :
দৃশ্য – ০২
স্থান : একটি গ্রাম্য নির্জন রাস্তা
সময় : দুপুর
চরিত্র : নাজমা, সালমা, ৩ মাস্তান
ঘটনা : ৩ জন মাস্তান নাজমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সালমা ঘটনাটি দেখে ফেলে। তাদের দু’জনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সালমাকে ক্ষুর মেরে পালিয়ে যায় মাস্তানরা।
(একটা বাশ ঝাড়ের পাশে গ্রাম্য নির্জন রাস্তায় তিন মাস্তান আড্ডা দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পর দেখা যায় দূরে খোলা ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে রাস্তা ধরে এগিয়ে আসছে নাজমা।
তার পরনে কলেজের ইউনিফর্ম। স্কুলের তিন মাস্তান পরস্পর শলাপরামর্শ করে। তারা নাজমাকে দেখতে থাকে। নাজমা এগিয়ে আসে। নাজমার পথ রোধ করে দাঁড়ায় একজন।
নাজমা তাদের এড়িয়ে যেতে চায়। পারে না। )
মাস্তান – ১ : আমার প্রস্তাবটায় কী ভাবলা ?
(নাজমা কথা বলে না, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আবারও ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায় মাস্তানটি। চরম বিরক্ত হয় নাজমা।
)
মাস্তান – ১ : রাজরানী কইরা রাখুম।
নাজমা : আমি পড়াশোনা করতে চাই।
মাস্তান – ১ : ( তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে) এইডা কি কইলা ? তোমার কি চাকরি কইরা খাওয়ান লাগব জামাইরে ? আমার বাপের কি কম আছে নাকি ?
নাজমা : আমি বাড়ি যামু।
মাস্তান -১ : যাইবা। তার আগে উত্তরটা দাও।
নাজমা : ্ আমার বাবারে আপনে চিনেন না । বাবারে কইলে আপনেরে জুতায়া দিব।
মাস্তান – ১ : বাবারে চিনলে কি আর তোমারে পামু ? (খপ করে নাজমার হাত ধরে। নাজমা ছাড়িয়ে নিয়ে যায়, পারে না। ) চল, ছেমড়ি, দেখি তর বাপে কী করতে পারে।
(নাজমাকে টেনে বাশ বাগানের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। নাজমা চিৎকার করতে থাকে। রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসছে সালমা। সে দূর থেকে নাজমার চিৎকার শুনতে পায়। সে শব্দের উৎস খুঁজতে থাকে।
হঠাৎ সে দেখতে পায় দূরে নাজমাকে বাঁশ বাগানের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ৩ মাস্তান। সে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে থাকে। সালমাকে দেখে ফেলে নাজমা। সে চিৎকার করে সালমার সাহায্য চায়। )
নাজমা : আমারে বাঁচান।
ওরা আমারে মাইরা ফালাইব।
(সালমা কোন কিছু না ভেবেই ওদের দিকে দৌড়ে যায়। ওদেরকে আটকায়। )
সালমা : ছাড়, ছাড়। ওরে ছাড়।
(সালমা গিয়ে ওদের সাথে মারামারি শুরু করে। ওরা খানিকটা ভড়কে যায়। দলের একজন হঠাৎ করে ক্ষুর বের করে। পোচ দেয় সালমাকে। সালমা চিৎকার দিয়ে পড়ে যায়।
ওরা সালমার পড়ে যাওয়া দেখে ভড়কে যায়। ভয় পেয়ে নাজমাকে ছেড়ে দৌড় দেয়। নাজমা সালমাকে গিয়ে ধরে। )
কাট।
এবার একই দৃশ্যের শুটিং স্ক্রিপ্ট :
দৃশ্য – ০২
স্থান : একটি গ্রাম্য নির্জন রাস্তা
সময় : দুপুর
চরিত্র : নাজমা, সালমা, ৩ মাস্তান
ঘটনা : ৩ জন মাস্তান নাজমার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
সালমা ঘটনাটি দেখে ফেলে। তাদের দু’জনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সালমাকে ক্ষুর মেরে পালিয়ে যায় মাস্তানরা।
শট -০১ : মাস্টার (জিম আর্মের শট) বাশ ঝাড় থেকে শট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে ক্যামেরা নিচে নেমে আসবে। মাস্তানরা যেখানে বসে আছে ক্যামেরা সেখানে এসে থামবে।
একটা বাশ ঝাড়ের পাশে গ্রাম্য নির্জন রাস্তায় তিন মাস্তান আড্ডা দিচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর দেখা যায় দূরে খোলা ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে রাস্তা ধরে এগিয়ে আসছে নাজমা। তার পরনে কলেজের ইউনিফর্ম।
শট-০২ : সিঙ্গেল শট নাজমা ফ্রন্টাল/ ট্রলি শট। ট্রলি ব্যাক।
নাজমা এগিয়ে আসছে।
শট-০৩ : মিড শট। গ্রুপ।
মাস্তানরা নাজমার আসা দেখছে।
শট-০৪ : সিঙ্গেল শট ট্রলি নাজমাকে ফলো করে পাশ থেকে ।
নাজমা এগিয়ে আসছে।
শট -০৫ : জিব আর্ম মাস্টার শটে ফিরে গেছে জিব আর্ম। মাস্তানদের ফলো করে জিব আর্ম ধীরে উপরে ওঠে।
তিন মাস্তান পরস্পর শলাপরামর্শ করে। তারা নাজমাকে দেখতে থাকে। নাজমা এগিয়ে আসে।
নাজমার পথ রোধ করে দাঁড়ায় একজন। নাজমা তাদের এড়িয়ে যেতে চায়। পারে না।
শট -০৬ জিব আর্ম কোজ আপ (একটা জিব আর্মের জার্ক থাকবে অস্থিরতা বোঝানোর জন্য। )
মাস্তান – ১ : আমার প্রস্তাবটায় কী ভাবলা ?
শর্ট -০৭ : কোজ আপ।
রিএকশন শট। জিব আর্ম (একটা জিব আর্মের জার্ক থাকবে অস্থিরতা বোঝানোর জন্য। )
(নাজমা কথা বলে না, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আবারও ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায় মাস্তানটি। চরম বিরক্ত হয় নাজমা।
)
শর্ট -০৮ বিগ কোজ আপ
মাস্তান – ১ : রাজরানী কইরা রাখুম।
শট -০৯ বিগ কোজ আপ
নাজমা : আমি পড়াশোনা করতে চাই।
শট -১০ কোজ আপ
মাস্তান – ১ : ( তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে) এইডা কি কইলা ? তোমার কি চাকরি কইরা খাওয়ান লাগব জামাইরে ? আমার বাপের কি কম আছে নাকি ?
শট -১১ মিড শট । সংলাপের সঙ্গে সঙ্গে মাস্তানদের রিএকশন ।
নাজমা : আমি বাড়ি যামু।
শট -১২ মিড শট
মাস্তান -১ : যাইবা। তার আগে উত্তরটা দাও।
শট – ১৩ বিগ কোজ আপ
নাজমা : ্ আমার বাবারে আপনে চিনেন না । বাবারে কইলে আপনেরে জুতায়া দিব।
শট – ১৪ মিড শট টু মাস্টার / মাস্তানকে ফলো করবে জিব আর্ম ।
মাস্তান – ১ : বাবারে চিনলে কি আর তোমারে পামু ? (খপ করে নাজমার হাত ধরে। নাজমা ছাড়িয়ে নিয়ে যায়, পারে না। ) চল, ছেমড়ি, দেখি তর বাপে কী করতে পারে।
শট-১৫ ট্রলি শট / মিড শট। ট্রলি নাজমাকে ফলো করবে ।
(নাজমাকে টেনে বাশ বাগানের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। নাজমা চিৎকার করতে থাকে।
শট -১৬ লং শট। জুম টু কোজ আপ।
রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসছে সালমা।
সে দূর থেকে নাজমার চিৎকার শুনতে পায়। সে শব্দের উৎস খুঁজতে থাকে।
শট -১৭ পয়েন্ট অব ভিউ অব সালমা। লং শট। ট্রলি।
হঠাৎ সে দেখতে পায় দূরে নাজমাকে বাঁশ বাগানের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ৩ মাস্তান।
শট-১৮ রিএকশন শট। বিগ কোজ আপ ।
সে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে থাকে।
শট -১৯ কোজ আপ।
প্যান + টিল্ট। ক্যামেরা নাজমাকে ফলো করবে। পয়েন্ট অব ভিউ অব সালমা।
সালমাকে দেখে ফেলে নাজমা। সে চিৎকার করে সালমার সাহায্য চায়।
)
নাজমা : আমারে বাঁচান। ওরা আমারে মাইরা ফালাইব।
শট-২০ জিব আর্ম / টপ শট।
(সালমা কোন কিছু না ভেবেই ওদের দিকে দৌড়ে যায়। ওদেরকে আটকায়।
)
শট -২১ মিড শট।
সালমা : ছাড়, ছাড়। ওরে ছাড়।
(সালমা গিয়ে ওদের সাথে মারামারি শুরু করে। ওরা খানিকটা ভড়কে যায়।
শট- ২২ কোজ শট। ক্ষুর দিয়ে পোচ দেয়ার দৃশ্য।
দলের একজন হঠাৎ করে ক্ষুর বের করে। পোচ দেয় সালমাকে।
শট -২৩ মিড শট।
সালমা চিৎকার দিয়ে পড়ে যায়।
শট -২৪ মাস্টার/ লং শট।
ওরা সালমার পড়ে যাওয়া দেখে ভড়কে যায়। ভয় পেয়ে নাজমাকে ছেড়ে দৌড় দেয়।
শট -২৫ টপ শট/ জিব আর্ম
নাজমা সালমাকে গিয়ে ধরে।
)
কাট।
শুটিং স্ক্রিপ্ট লেখার কৌশল :
শুটিং স্ক্রিপ্ট মূলত মূল স্ক্রিপ্টকে শটে ভাগ করার স্ক্রিপ্ট। একজন পরিচালক কিভাবে স্ক্রিপ্টে থাকা শটগুলোকে কল্পনার চোখে দেখছেন, তার আলোকে শুটিং স্ক্রিপ্ট করে থাকেন। প্রথমেই বলে রাখি, দু’ধরনের পয়েন্ট অব ভিউ শট মাথায় রেখে শুটিং স্ক্রিপ্ট করতে হয়। একটা হল অডিয়েন্স /ডিরেক্টরস পয়েন্ট অব ভিউ এবং অন্যটি হল ক্যারেক্টারস পয়েন্ট অব ভিউ।
ক্যারেক্টারস পয়েন্ট অব ভিউ শট বাদে বাকি সব শটই অডিয়েন্স/ডিরেক্টরস পয়েন্ট অব ভিউ শট। পয়েন্ট অব ভিউ শট বা পিওভি শট বলতে আমরা ক্যারেক্টারস পয়েন্ট অব ভিউ শটকেই বুঝি।
শুটিং স্ক্রিপ্ট লেখার অপর নাম শট ডিভিশন। অনেক পরিচালক শুটিং স্ক্রিপ্ট না করে মূল স্ক্রিপ্টে আঁকাআঁকি করে শট ডিভিশন করে থাকেন।
এই শুটিং স্ক্রিপ্ট বা শট ডিভিশনের আলোকেই স্টোরিবোর্ড তৈরি করা হয়।
স্টোরিবোর্ড হল শটগুলোতে পর পর এঁকে একটা সিরিজ অব শট তৈরি করা । এর মাধ্যমে শুটিং করার আগেই শটগুলো চোখের সামনে দেখাতে পাওয়া যায়।
কোন শট কখন ?
বিভিন্ন শট ব্যবহার করে আমরা আসলে একটা গল্প তৈরি করি। মাথায় রাখতে হবে গল্পটি বলার সময় কোন ছবিটি আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে। সেই ছবিটি ক্যামেরা দিয়ে গ্রহণ করলে কোন শট ব্যবহার করতে হবে সেটাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
লেখক বর্ণনার মাধ্যমে যেভাবে গল্প বলেন, চলচ্চিত্র পরিচালক ক্যামেরার মাধ্যমে সেভাবেই গল্প বলেন।
গল্পটি হবে আবেগময়। আবেগময় না হলে আমরা কোন গল্প শুনি না। চরিত্রগুলো বা ঘটনাগুলো চরিত্রকে আবেগময় না বানাতে পারলে আমরা সেই গল্প আগ্রহ নিয়ে শুনি না। সুতরাং দরকার এমন একটা ঘটনা যেটা চরিত্রকে আবেগময় করে তুলবে।
সাধারণ কোন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ বা লড়াই – কোন চরিত্রকে আবেগময় করে তোলে। সুতরাং চলচ্চিত্রের ঘটনার মধ্যে সব সময় একটা সমস্যা, চ্যালেঞ্জ বা লড়াই সক্রিয় থাকতে হয়। চরিত্রের চলাফেরা দেখানোর জন্য লংশট এবং আবেগ দেখানোর জন্য কোজ আপ ব্যবহার করা হয়। আবেগ যত বেশি হয়, ক্যামেরা তত চরিত্রের কাছে যায়।
সংলাপ থাকলে সংলাপের মাঝখানে অপর চরিত্রের রিএকশন শট দেখাতে হয়।
সুতরাং সংলাপ শুট করার সময় অবশ্যই শ্রোতার রিএকশন শটও টেক করবেন। পরে সম্পাদনার সময় পাশাপাশি বসিয়ে আবেগময় দৃশ্য তৈরি করা যাবে।
এবার আলোচনা করা যাক শুটিং প্লান সম্পর্কে :
শুটিং এর সময় সময় বাঁচানোর জন্য ক্যামেরা পজিশন নির্ধারণ করা একটা বড় কাজ। সহজ হিসাব হল ক্যামেরা একটা পজিশনে বসানোর পর ওই দৃশ্যের জন্য ওই পজিশনে ক্যামেরা রেখে যতগুলো শট গ্রহণ করা সম্ভব, তার সবগুলো শট গ্রহণ করার পরই ক্যামেরা সেই পজিশন থেকে সরানো হয়। তাই ক্যামেরার একটা পজিশনে কতগুলো শট গ্রহণ করা যায়, তার হিসেব করে ফেলা দরকার।
যত কম পজিশন পরিবর্তন করে একটা দৃশ্যের সবগুলো শট গ্রহণ করতে পারবেন, তত দ্রুত শুটিং শেষ হবে।
ক্রেন, জিবআর্ম, ট্রলি, কারমাউন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে গ্রহণ করা শটগুলো সাধারণত মুভিং শট । এই শটগুলো লং শট হয়। চরিত্রের চলাফেরা দেখানোর জন্য এই যন্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়। সুতরাং প্রথমেই এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে চলাফেরার শটগুলো নিয়ে নেন।
ট্রাইপড দিয়ে সর্বপ্রথম গ্রহণ করা হয় মাস্টার শট। পুরো সেটটা যেই শটে একবারে রাখা হয় সেটাই মাস্টার শট। মাস্টার শট সাধারণত লং শট হয়। মাস্টার শটের পর মিড শট এবং কোজ আপ নেয়া হয়।
উপরের দৃশ্যটি টেক করার জন্য নিচে নির্ধারিত কয়েকটি ক্যামেরা পজিশন।
শুটিং প্লান :
জিব আর্ম : পজিশন -০১ : শট-০১+০৫
পজিশন -০২ : শট -০৬+০৭
পজিশন -০৩ : শট -১৪+২০+২৫
ট্রলি : পজিশন -০১ : শট – ০২+০৪
পজিশন -০২ : শট-১৫+১৭
ট্রাইপড পজিশন -০১ : শট -০৩+০৮+১০+১২+১৬+১৮+২২+২৩
পজিশন -০২ : শট-০৯+১১+১৩
পজিশন -০৩ : শট -১৯+২১+২৪
এবার কিছু টিপস :
০১. শুট শুরু করার আগে অভিনয় শিল্পীদের শেষবারের মতো স্ক্রিপ্ট পড়তে দিন। তাদের সংলাপ বলা, দাঁড়ানো, বসা এবং চলাফেরা নির্ধারিত করে দিন। সাথে সিনেমাটোগ্রাফারকে বুঝিয়ে দিন কিভাবে ক্যামেরা চরিত্রগুলোকে অনুসরণ করবে।
০২. শট নেয়ার সময় আপনার সামনে থাকা মনিটরে বিশেষভাবে চোখ রাখুন। হেডরুম, লুক রুম বা লিড রুম মাপ মতো রাখুন।
রুল অব থার্ড ফলো করুন। কোন কারণ ছাড়া এই নিয়ম ভাঙ্গবেন না। তাছাড়া চরিত্রের পেছনের সেটে অবাঞ্চিত সব কিছু দূর করুন এবং আলো ছায়ার দিকেও মনোযোগ দিন।
০৩. ট্রাইপড ছাড়া অন্য কোন যন্ত্রপাতি যথা জিব আর্ম বা ট্রলি ব্যবহার করলে সেটাই প্রথমে ব্যবহার করুন। প্রথমে লং শটগুলো টেক করুন।
তারপর মিড শট। সবশেষে কোজ আপ।
০৪. সংলাপ বা আলাপচারিতার কোজ আপ শট দু’ভাবে গ্রহণ করা হয়। একটা হল পয়েন্ট অব ভিউ অব ক্যারেক্টার এবং অপরটি ওভার দ্যা সোল্ডার। দু’ভাবেই শট নিয়ে রাখুন।
তবে প্রতি বারই এক জোড়া করে শট নিয়ে রাখবেন এবং এই এক জোড়া শটের কম্পোজিশন একই রকম হবে। কেবল প্রথমজন ফ্রেমের বা দিকে থেকে ডান দিকে তাকিয়ে কথা বলবে এবং পরের জন ফ্রেমের ডান দিকে থেকে বা দিকে তাকিয়ে কথা বলবে। সম্পাদনার পর মনে হবে তারা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে কথা বলছে।
০৫. কন্টিনিউয়িটি কঠোরভাবে ফলো করেন। বিশেষত কন্টিনিউয়িটি অব একশন এবং কন্টিনিউয়িটি অব লুক – ঠিক রাখবেন।
১৮০ ডিগ্রি রুল অনুসরণ করুন।
০৬. চরিত্রের পিছনে সমতল ব্যাকগ্রাউন্ড রেখে শুট করবেন না। । বরং ত্রিমাত্রিক কোন ব্যাকগ্রাউন্ড রাখুন। আলো ছায়া বা বিভিন্ন আকৃতির বস্তু আগে পিছনে রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডকে ত্রিমাত্রিক করুন।
চরিত্রের মাথার কাছে কোন অবাঞ্চিত কিছু রাখবেন না।
আমার সামান্য অভিজ্ঞতা ও পড়াশোনার আলোকে এই লেখাটি। কোথাও কোন আপগ্রেড করার সুযোগ থাকলে অভিজ্ঞরা ধরিয়ে দেবেন আশা করি।
মূল লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে সিনেমা পিপলস এ :
http://cinemapeoples.com/shajahanshamim/2395 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।