শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড কিন্তু শিক্ষিত লোকই জাতির মেরুদণ্ড নহে বাংলাদেশের শিল্প কারখানার পরিবেশ এবং অবকাঠামো নিয়ে অনেক দেশী ও বিদেশী সুশীলদের মূল্যবান(!) কিন্তু মাগনা উপদেশ পাওয়া যায়। কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই তৃতীয় বিশ্বের অন্নুনত দেশের তকমা লাগানো হয়। কিন্তু শিল্প কারখানায় অগ্নিকান্ড, দুর্ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই হয় তা না। চীনের মত দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশেও এরকম দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া বলছে, এই আগুনের সূত্রপাত সোমবার সকালে।
এসময় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণেরও শব্দ পাওয়া যায়।
খবর বলা হচ্ছে, কসাইখানাটিতে আগুন নিভিয়ে ফেলার পর এখন ভেতর থেকে মৃতদেহ বের করে আনা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করা জানা যায়নি। কিন্তু স্থানীয় দমকল বহিনীর সূত্রগুলো বলছে, কারখানাটির ভেতরে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে থাকতে পারে, যার ফলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আবার কোনো কোনো সূত্র থেকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কথাও বলা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ভেতরে কতো লোক কাজ করছিলো সেটাও জানা যায়নি। জানা যাচ্ছে না, কতোজন নিখোঁজ।
তবে সরকারের একজন কর্মকর্তা, যিনি নাম বলতে চাননি, তিনি বলছেন যে নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে।
একজন শ্রমিক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলছেন, আগুন লাগার সাথে সাথে কারখানাটির ভেতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা তখন বাইরে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।
রাজধানী বেইজিং থেকে ৫০০ মাইল দূরে এই কারাখানাটিতে ১২০০র মতো শ্রমিক কাজ করতো বলে জানা গেছে।
প্রতিবছর এখান থেকে ৬৭০০০ টন মুরগির মাংস প্রক্রিয়াজাত করার পর বাজারে ছাড়া হতো।
চীনে কারখানার নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিয়ে আগেও বহু প্রশ্ন উঠেছে। এবং প্রায়শই বড়ো বড়ো কারখানা ও খনিতে এধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।
আর এজন্যে দুর্নীতি, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও নিরাপদ ভবন সংক্রান্ত বিধিমালার দুর্বল প্রয়োগকেই দায়ী করা হয়ে থাকে।
বিবিসি
তবে এখন দেখার বিষয় হল বাংলাদেশে এরকম দূরঘটনা ঘটার পর পশ্চিমা অনেক দোকানেই বাংলাদেশের কোন পণ্য নেই এই মার্কা পোস্টার ছাপিয়েছিল। পারলে তারা এবার চীনের কোন পণ্য নেই এই লেখা তাদের দোকানের সামনে টাঙাক। আমেরিকান রাষ্ট্রদূত তো বাংলাদেশ সরকারের কি কি করা উচিৎ এটা নিয়ে বিস্তর বয়ান দেয়। আর তাদের সাথে কিছু চীনা বাদাম সুশীলও গলা মেলায়। চীনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত চীন সরকারকে কি বয়ান দিবে এটাই এখন দেখার বিষয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।