আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বজিৎ মরছে কি তো হইছে? ঝিকে মেরে বৌকে তো শেখানো গেলো?

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল (এই তরূণটি গত রাতেও বেচে ছিল। কোন দুঃস্বপ্নেও কি সে ভেবেছিল যে, আজ রাতটা তাকে মৃত হয়ে হীমঘরে কাটাতে হবে?) গতকালের ১৮ দলিয় জোটের ডাকা অবরোধ ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামি লিগে পোষা জঙ্গি সন্ত্রাসি লিগ মাঠে নেমেছিল। কিন্ত নাচতে নেমে ঘোমটা দিলে কি চলে? সন্ত্রাসিদের কাজই হলো সন্ত্রাস করা। এ ব্যাপারে তারা যে একান্ত দ্বায়িতশীল, সেটা মিডিয়ার কল্যাণে নিশ্চই সরকার অবগত আছেন? তাই প্রকৃতির অশেষ কৃপায় এর যোগ্য প্রতিদান তারা অবশ্যই পাবেন। গোপালগঞ্জিয় পুলিশদের যোগ্য হর্তাকর্তারা ছবি-ভিডিও দেখার পরেও যখন "তদন্ত" করে দেখা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তখন সন্ত্রাসিদের ভয়ের কিছুই নেই।

কেননা আমাদের দেশে তদন্ত এবং প্রতিশ্রুতি এসবই কাজির গরু, কেতাবে আছে গোয়ালে নেই। এর পরেও যদি কোনদিন লজ্জা শরম না থাকা আওয়ামি লিগের নেতা কর্মিদের দৈব দুর্ঘটনাক্রমে লজ্জা গজিয়ে দোষিদের ধরাও হয়, আওয়ামি বিচারালয় থেকে সাজাও হয়, শেষ বিচারের মালিক (বাংলাদেশে) ম-হামান্য ঘাটের মরা, যমের অরুচি রাস্ট্রপতি নামক উদ্ভট অপদার্থের কল্যাণে সে সাজা মাফ পেতে কতক্ষণ? আর সন্ত্রাসি লিগের দোষই বা কি? রাস্ট্রদ্রোহি-দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী-৩৯ লাখ টাকার মুলধন এক লাফে ৪০০ কোটি টাকা বানানো স্বরাস্ট্রমন্ত্রির প্রত্যক্ষ হুকুমেই তো সন্ত্রাসি লীগ মাঠে নামলো। নইলে কার দায় পড়েছে যে, ক্ষমতায় আর মাত্র একবছর টিকে থাকা জন-গণ ধিকৃত সরকারের পাপের বোঝা নিজের কাধে নেবে? অবশ্য বিশ্বজিতের মরার দরকার ছিল। সে না মরলে, সন্ত্রাসি লীগ যে আসলেও সন্ত্রাসি তার টাটকা প্রমান কোথায় পাওয়া যেতো? অন্য সময় ফুলের টোকা পড়লে কিংবা গুজবের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক রাস্ট্র, এসো ভারত আমাদের উদ্ধার করো বলে হিন্দু-বৌদ্ধ-ক্রিষ্টান ঐক্য পরিসদের (আসলে হিন্দুত্ববাদি পরিসদ) ম্যাৎকারে দেশ বিদেশের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যেতো। কিন্তু আওয়ামি লিগকে দেব দেবি মানা সেই পরিসদ এখন মুখ লুকিয়ে পালিয়ে আছে।

র‍্যাব কর্তৃক সন্ত্রাসি মরলে যাদের মনে মানবাধিকার লংঘনের বেদনা চাগাড় দিয়ে উঠে, সেই সুশিল সমাজও মুখে কুলুপ এটে দিয়েছে। কি জানি? সন্ত্রাসি চটিয়ে, পাছে ফুলার রোডের কচি ঘাস খাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে ! তাও ভাগ্য ভালো কেউ বলেনি (এখন পর্যন্ত) যে বিশ্বজিৎ হত্যার চিত্রটি ক্যামেরা ট্রিক্স, অথবা ফটোসপের কারসাজি। যেমনটি এর আগে গাদ্দার চৌধুরি বলেছিল। কথায় কথায় রিট দায়ের করা রিট সম্রাট মুরশিদ বাবাকেও মনে হয় কুষ্ঠ রোগে পেয়েছে। নইলে বাদরের মত নিত্যদিন লাফ ঝাপ করা ইনি হঠাৎ বসে পড়লেন কেন? আচ্ছা এমন কি হতে পারে যে আসলে বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে, শিবির থেকে ছাত্রলিগে যোগদান করা ক্যাডাররা? হতেও পারে।

শেখ হাসিনা না কে যেন গত বছরই মনে হয় এই ধরণের কিছু একটা বলেছিলেন যে শিবির থেকে দলে দলে ক্যাডাররা ছাত্রলিগে যোগ দিয়ে নৈরাজ্য সৃস্টি করেছে। তিনি তো কোনদিন মিথ্যা বলেন না ( জিল্লুর কর্তৃক সত্যায়িত) তাই এই সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ ছাত্রলিগ তারাই করে যারা এখনো মায়ের বুকে শুয়ে ফিডার খায়। তাদের পক্ষ্যে এই কাজ করা কোনদিনও কি সম্ভব? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো আওয়ামি লিগের রাজনীতি করার একমাত্র ট্রাম্পকার্ড। বিলেতের একটি সাময়িকি এবং দেশের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের কারণে সেই ট্রাম্প কার্ডও হাতছাড়া হবার যোগাড় ! আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস প্রতিটা বাংলাদেশি মনের সবচেয়ে আবেগে স্থান করে আছে।

চুরি -বাটপারি - প্রতারণা- সন্ত্রাস- দুঃশাসন এবং দাদাদের প্রভু জ্ঞান করে দেশের স্বার্থের বিপক্ষ্যে থাকলেও সেই আবেগকে শ্রদ্ধা জানাতেই জনগণ এতদিন মুখ বুজে তা সহ্য করেছে। থলের বেড়াল বের হয়ে আওয়ামি দুরভিসন্ধি সামনে আসাতে মানুষের ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গেছে। আর সেটা রুখে দিতেই বিশ্বজিতের মত এক অবলা মায়ের সন্তানকে বলি দিয়ে আওয়ামি লীগ বুঝাতে চাইছে যে, তাদের অপশাসনের বিরোধীতা করলেই ওই রকম পরিণতি ভোগ করতে হবে। অনেকটা ঝি কে মেরে বৌকে শেখানোর মতই। জারজ শুয়োর ইয়াহিয়ার বুলেট যে জাতিকে স্তব্ধ করতে পারেনি, কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃস্টি করে বাংলাদেশিদের কংকালশার বানিয়ে, হত্যা করে, নির্যাতন করে যেখানে আওয়ামি লিগও সেদিন পার পায়নি, বর্তমানের আওয়ামি লিগেরও কোন সাধ্য নেই বর্তমান জনরোষ থেকে বাচতে পারার।

এখন পিঠ বাচাতে অনেকেই অনেক রকম ফন্দি ফিকির করছে। জাহাজ ডুবে যাবার আগে সবচেয়ে প্রথম যেমন ইদূর পালায়, সে রকম লক্ষণ কিন্ত হাতের কাছেই আছে। যারা নিতান্তই লম্বকর্নের মত বেহায়া এবং অন্ধ তারা অবশ্য এখনো সেই আওয়ামি বন্দনা করেই যাচ্ছে। নির্লজ্জ গো-পালের দল সব।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।