মমমমমম
আজ প্রথম আলোতে স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখটি পড়ে ভাল লাগল। তার লেখার শিরোনাম
“তোমরা যারা শিবির কর” স্যার আপনি নিঃসন্দেহে অনেক বড় মাপের একজন মানুষ। আপনার অনেক জ্ঞান, আপনার অভিজ্ঞতা অনেক ,আপনার জীবন দর্শন অনেক বেশি। তার থেকে বড় কথা আপনার বাবা শহীদ বুদ্ধিজীবী। কিন্তু আপনি কি ? আপনার সমালোচনা করা আমার ঠিক কিনা জানি না তারপর ও করব আজ কারন সমালোচনা করা আমার অধিকার কারন আমিও আপনার মত বাংলাদেশের একজন নাগরিক।
আমি বলে নিতে চাই যে পাঠকরা আমাকে শিবির বা জামাত বা বিনপি এর কোন লোক মনে করবেন না। আমি কেবল আপনাদের চিন্তার উদ্রেক ঘটাতে চাই। আমাদের সমাজে চিন্তাশীল মানুষের খুবই অভাব এর থেকে বেশী অভাব সেই সব মানুষের যারা পরিবর্তন ঘটাতে পারে? একসময় আমি নিজে জাফর ইকবালের খুবই ভক্ত ছিলাম তাকে অন্ধের মত অনুসরন করতাম ভাবতাম আহারে মানুষটা কি না করছে বাংলার যুব সমাজকে জাগ্রত করতে। কিন্তু হিসবের খাতায় আসলে সব ই শুন্য। একজন প্রথিতযশা মানুষ হিসাবে তার অবদান খুবই কম।
কেবল গণিত উৎসব করে বেড়ালে আর কিছু আজে বাজে কল্পকাহিনী লিখে সমাজের প্রতি দায় এড়ান যায় না। তিনি কি করেছেন কিছু বই লিখেছেন। তিনি যতটা না নিজের কাজের জন্য তার থেকে বেশি তার অগ্রজ স্যার হুমায়ুন আহম্মদের জন্য বেশি পরিচিত। হুমায়ুন আহমেদ বাংলা চলচিত্রকে ব্দলে দিয়েছেন, পাঠক শ্রেণী তৈরি করেছেন, বাংলার সব মানুষের হৃদয়ের স্থান নিয়েছে তার সৃষ্টিশীলতার জন্য। আপনার কোন যোগ্যতা নেই কেবল বড় বড় বউলি কপচানো ছাড়া আর লীগের দালালী করা ছাড়া।
আপনি মহা প্রগতিশীল ভদ্রলোক,নারী স্বাধীনতার বাহক, জ্ঞান বিজ্ঞানের রাজা । আপনার জ্ঞান আপনার কল্মে রাখলে ভালো হয় কারন আপনি সমাজের উন্নতি তথা দেশ ও জাতির কল্যানে কোন কাজ করেন নি। আপনার থেকে অনেক ক্ষুদ্র মানুষ আছে যারা নিজের জীবন দেশের জন্য ব্যয় করে যাছে। পাঠকগন দয়া করে আমাকে বকা দেবার আগে লেখাটি সম্পূর্ণ করুন তারপর যদি মনে হয় আমি কোন দলের হয়ে বলতেছি তাহলে যা খুশি বলবেন। আজ জাফর ইকবাল লিখেছেন “তোমরা যারা শিবির কর” এই লেখায় তিনি অনেক উপাদেয় কথার সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
তিনি বোঝতে চেয়েছেন যে শিবির করা খারাপ। আসলে কি তাই? তিনি তো নির্ধারণ করে দিতে পারেন না যে কে কি করবে। তিনি বলছেন যে ছাত্র দুটির দেওয়া উপহার তিনি গ্রহন করেন নি । এতে কি হল শিবির হোক আর যা হোক তারা তো ছাত্র, তিনি উপহার ফিরিয়ে দিয়ে তাদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিলেন। তিনি মহানুভবতার পরিচয় দিতে ব্যার্থ হলেন।
তিনি উপহার গ্রহন করলে তার উপর ছেলে দুটির কিছু না হোক শ্রদ্ধাবোধের জন্ম নিত। তিনি সেই শ্রদ্ধার চারা গাছটিকে মেরে ফেললেন।
দেশে হাজারো সমস্যা এর ভিতর গোদের উপর বিষফোঁড়া হইয়ে আছে যুদ্ধাপরাধী বিচার ইস্যু। হয়ত কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিছু যুদ্ধাপরাধীর ফাসি হবে।
যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের ফাঁসি চাই বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষ এটাও চাই যে সকল পাপীর বিচার হোক। একাত্তর একাত্তর একাত্তর একাত্তর করে বুদ্ধিজিবিরা মুখে ফেনা তুলে অজ্ঞন হয়ে চলেছেন। আমাদের এই সব জ্ঞানপাপীরাই আমাদের দেশের সব থেকে বড় বাঁধা। এদের এই সমাজে বাস করার কোন অধিকার নেই।
সবাই আছে কোন না কোন দলের লেজুড় বৃত্তি নিয়ে। সাহসী কোন কথা বলতে তো দুরের কথা এরা চিন্তা ভাবনা ও করে না। আমরা কথা হল কেবল যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলেই কি দেশের সকল সমস্যার সমাধান হইয়ে যাবে।
হবে না কারন হাজার বড় বড় সমস্যাকে আড়াল করে রাখার ঢাল হচ্ছে এই বিচার প্রক্রিয়া। আমাদের কানে খাটো বুদ্ধিজীবীরা এটা বুঝেও বুঝবে না কারন রাতের আঁধারে কলা মুলো তাদের কাছে ঠিক ই চলে যায়।
তারা আছেন তাদের নিয়ে মাঝে মাঝে প্রথম আলোয় দুটো করে কলাম লিখে কিছু পয়সা পাতি হলেই খুশি। কি দেস আমাদের কি আমাদের সমাজ। ৭১ এর বুদ্ধিজীবি এর এখনকার বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে হাজার হাজার দূরত্ব। ৭১ এ তারা চিন্তা করেছে সমগ্র দেশ জাতি নিয়ে এখন জ্ঞানপাপীরা করে দল নিয়ে। তা না হলে কি করে ইউনুস সাহেবের পক্ষে বুদ্ধিজীবিরা কথা বলল না ।
কারন দলীয় লেজুড় বৃত্তি করতে করতে তাদের জ্ঞান বুদ্ধি দিনে দিনে জাফর ইকাবাল স্যারের নিনিশ স্কেলে ০ হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে এবিএম মুসা এর মত প্রবীন প্রথিতযশা সাংবাদিক কে শুনতে হয় তিনি কি চুরি করে টাকা আনবেন কিনা। অন্য সভ্য রাষ্ট্রে হলে নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীরা সমালোচানার ঝড় তুলত আর আমাদের জ্ঞানপাপীরে মুখে কুলুপ এটে ছিলেন কেন কারন আমরা সবাই জানি। তারা রাতের শোতে ছাত্রদের লেজুড় বৃত্তির রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসার কথা বলতে, আর নিজেরা ভিন্ন ভিন্ন দলের লেজ ধরে হেটে চলেছেন। তাই বুদ্ধি ব্যবসায়ীদের উচিত আগে নিজেররা ভাল পথে চলা তারপর অন্যকে বলা।
কি আর বলব বলেন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা দেখেও দেখেন না শুনেও শোনেন না তারা কেবল নিজেদের মত লিখে চলেছেন ও বলেছেন। এখন পর্যন্ত কোন বুদ্ধিজীবীদের লিখতে বা বলতে শুনলাম না যে কেন পদ্মা সেতু হবে না। কেন সরকার দুর্নীতির কথা জনসন্মুখে প্রকাশ করবে না। দেশে কি আর কোন সমস্যা নেই , সরকার ও তার চামচা গোছের বুদ্ধিজীবিদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় আমরা রাম রাজত্বে আছি। কেউ কি দেখেছেন যে কোন ব্যক্তি বলছে কেন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বর্তমান সময়ে ছাত্রলীগের দ্বারা সংঘটিত হত্যাকান্ড গুলোর বিচার হবে না? ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র –ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলব হয়েছে কি স্যার এফ রহমান হলের বরকতের হত্যা কান্ডের বিচার ? পেয়েছি কি তার মা ছেলে হত্যার বিচার? তখন কেন চুপ করে ছিলেন আজকের এই সব কথা বলা বুদ্ধিজীবী।
তারা যদি সেদিন কথা বলত তাহলে জাহাঙ্গীর নগরে কেউ মারা পড়ত না। এই সব বুদ্ধিজীবীদের ব্যার্থতার জন্য আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি।
পদ্মা সেতু নিছক সময়ের ব্যাপার, জ্ঞানপাপীরা কোন কথা বললেন না যখন আমাদের শেয়ার বাজার কেন দিন কে দিন ক্ষতির দিকে যাচ্ছে, যখন আমাদের তেল-গ্যাস নিয়ে আনু মোহাম্মদ স্যার রাস্তায় মার খান তখন কোন বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় আসেন না তারা মজা দেখেন কি হয়। আমাদের সীমান্তে যখন পাখির মত মানুষ মারা যায় তখন ও এদের কিবেক কথা বলে না, দ্রব্য মুল্য কেন প্রতিদিন বাড়বে তার কোন উত্তর তারা লেখেন না। তারা তখন ও চুপ থাকেন যখন বিদ্যুতের দাম নিয়মিত বাড়ে।
তাহলে কি হবে আমাদের এই সকল জ্ঞানপাপীদের দিয়ে। প্রাথম-আলো মাঝে মাঝে লিখে সবার নজরে আনার জন্য এর মাধ্যমে তারা দায় সারে। যা হোক এরা যে দায় সারে তাই অনেক বেশী।
একজন বুদ্ধিজীবী কি কেবল তার নিজের কথাই লিখবেন? তাদের উচিত দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে লেখা এতে দেশ ও জাতি উপকার পাবে। শ্রদ্ধের জাফর ইকবাল স্যার কি কখন ও ইন্টারনেট এর দাম কমানোর বিষয়ে? আমাদের মত নিন্ম আয়ের দেশে কেন ইন্টারনেট কেন এত উচ্চ দামে পেতে হবে ? এখন অটোমোশনের যুগ স্যার কি কখনো কাজ করেছেন সবকিছু কে কিভাবে অটোমোশনে নিয়ে আসা যায় তার উপর।
স্যারের মত মানুষদের উচিত আমাদের দেশে কি করে কম্পিউটারের প্রডাকশন দেওয়া তার উপর কাজ করা । কিন্তু সেই কাজটি তারা করবেন না কারন এতে তাদের কোন লাভ নেই। স্যার আজকে আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগল কিন্তু দুখের বিষয় আপনি একতরফা বলে গেছেন। আপনি সহ আওয়ামী ঘরনার বুদ্ধিজীবীদের চোখে আসলে অন্য কিছু পরে না। পাঠকগন আপনারা কি বলতে পারেন কেন তারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কথা লেখেন না? ভরা ক্যাম্পাসে ছাত্রলিগ মানুষ পর্যন্ত খুন করছে আর আপনারা মুখে তালা এটে বসে আছেন।
কেন বসে আছেন আপনারা? কেন?
বুদ্ধিজীবীদের মত স্যারদের বলতে চাই যে তাদের কারনে আজ সরকার সব সম্যসা আড়াল করতে পারছে। কিছু থেকে কিছু হলেই আজ আমরা জামাত-শিবির? কেন আমারা কি আমাদের মত প্রকাশ করব না? আমরা আজ আমাদের মনের কথা লিখতে পারছি না, আমরা নিয়মিত নামাজ পড়লে আমরা হইয়ে যাচ্ছি গোড়া মুসলিম, কেন আমাদের এসব ভন্ডামির শিকার হতে হবে। আপনারা বলে থাকেন যে এখনকার শিবির পোলাপান নাকি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে এটা আপনাদের মনগড়া কথা কারন এখন কেউ যদি শিবিরে যোগ দেই তাহলে তার ব্যস হবে ১৮ আর সে কি করে যুদ্ধাপরাধীদের দলে হবে। আপনাদের কথা মত মুক্তি্যোদ্ধারা কেবল আমোলীগে আছে । মুক্তিযোদ্ধারা যেমন সব দলে আছে তেমন ভাবে রাজাকার কেবল জামায়াতে ইসলামীতে না সব দলেই আছে।
তাহলে কেন শুধু জামাত এর লোকের বিচার হবে আর যারা আমলীগে আছে তারা কি করে পীর সাহেব হয়ে গেল? জানি সে প্রশ্নের উত্তর আপনারা দিতে পারবেন না। কারন আপনাদের সে মুরোদ নেই কারন আপনারা কেউ লীগ কেউ বিএনপি। যদি গোলাম আজমের বিচার হয় তবে শেয়ার বাজারের দরবেশ এর ও বিচার হওয়া উচতি কারন সে ও রাজাকারদের মত লোকের সম্পদ লুট করে নিয়েছে। আপনারা তার উতছিশট ভোগী তাই তার বিরুদ্ধে কোন কথা লিখবেন না। সরকারের ব্যার্থতার জন্য দিন দিন শ্রম বাজার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার কোন বিষয় নিয়ে এরা কেউ লেখে না।
এরা পারে কেবল জামাত-শিবির নিয়ে লিখতে স্যার আর কতকাল আপনারা আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করবেন। আপনারা জাতিকে ৭১ এর গল্পে মোহিত করে ধর্ষন করে চলেছেন। দয়া করে আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করবেন না। যুদ্ধাপরাধী ইস্যুকে দিয়ে সবকিছু আড়াল করবেন না। জাফর স্যার বলেছেন শিবির কর্মীরা শিখছে কিভাবে পুলিশের উপর হামলা করা যায় ।
স্যারের চোখে সমস্যা আছে তা নাহলে কিভাবে ছাত্রলীগের গোলাবাজির দৃশ্য, পুলিশের সাথে দড়িয়ে গুলি চালান, দিনে দুপুরে মানুষ খুনের ও বিবিধ ঘটনা তার চোখ এডিয়ে গেল। কারন খুবই স্বাভাবিক কারন সে একটা জায়গায় আটকে আছে।
স্যার আপনারা পারলে রুশো হন ভলতেয়ার হন আমরা আপনাদের পাশে থাকব। আমি মনে করি আপনাদের উলটা পালটা লেখার জন্য ও কাজের জন্য বাংলাদেশের মানুষ দু ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। দয়া করে এই বিভক্তি আর বাড়াবেন না।
আর আমি মনে করি কিছি লিখতে গেলে সবার কথা বলা উচতি শুধু এক জনের উপর দোষ চাপানো ঠিক না।
আমি এখন আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।