আমাদের ব্লগের বিশিষ্ট সৃষ্টিবাদী, বিবর্তনবাদীদের দুঃস্বপ্ন, নাস্তিকদের জানি দুশমন ডারউইনের বস্ত্রহরণকারী, রিচার্ড ডকিনসের চেয়ারহরণকারী স্টিফেন হকিংয়ের বাকহরণকারী,রায়হান ভাই কিছুক্ষণ আগে বিবর্তনবাদীদের চ্যালেন্জ দিয়েছিলেন বিতর্কের।
তিনি এজন্য তিনটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন। যেমন, তার সাথে তর্ক করতে হলে পিএইচডি থাকতে হবে, ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে পাবলিকেশন থাকতে হবে, ইত্যাদি। একজন তাকে প্রশ্ন করলেন, আপনার কী এসব
যোগ্যতা আছে? সোজাকথায় উত্তর না দিয়ে জবাবে তিনি তার বিখ্যাত পিছলামি প্রতিভার প্রমাণ দিলেন যে, আমার এইসব না থাকলে কী আর আমি এইসব চাইতাম, ইত্যাদি।
বিজ্ঞান এবং বিবর্তনে বিশ্বাসী হলেও তার সাথে কেউ বিতর্কে যায় না যদিও একজন, সম্ভবতঃ নতুন ব্লগার, তাকে কিছুক্ষণ তর্কে জড়ালেন।
রায়হান ভাইয়ের অবশ্য এসবে থোড়াই পরওয়া। যারা তার স্টাইল সম্পর্কে জানেন তারা তার সাথে তর্কে যান না কারণ তা ভষ্মে ঘী ঢালার মতই। তাতে কী! রায়হান ভাই নিজে নিজেই একা একা যুদ্ধ করেন ডন কীহোটের মত ছায়ার সঙ্গে।
আমিও তার সাথে তর্কে যাই না। তার কারণ হলো যে রায়হানের সাথে বিবর্তন নিয়ে তর্ক করা আর আপনার কম্পিউটার নষ্ট হলে তা পাড়ার লন্ড্রিতে ঠিক করতে নিয়ে যাওয়া একই কথা।
এ প্রসঙ্গে আমার আরেক বন্ধুর কথা মনে পড়লো। তিনি বলেন যে রায়হানের সাথে বিতর্কে যাওয়া আর মোরগের সাথে দাবা খেলা একই কথা। মোরগ প্রথমেই আপনার দাবার বোর্ডে উঠে সব গুটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেবে, বোর্ডের মধ্যে ল্যাদাবে, তারপর বেড়ার উপর লাফিয়ে উঠে কোঁকর কোঁ ডেকে ঘোষণা দেবে যে বিবর্তনের পরাজয় হয়েছে। কিছু কিছু জিনিস থেকে দূরে
থাকাই ভালো।
বিজ্ঞান আর বিবর্তনবাদ নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রতিদিন এগিয়ে যাবে আর সৃষ্টিবাদ তার সৃষ্টিতত্বের ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে স্বপ্ন দেখবে জাযিমের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।