অন্য সবার মত আমারও সপ্ন ছিল ইন্জিনিয়ার হবার। বিশেষ করে কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার হবার। সপ্ন দেখা বারন ছিল না তাই সপ্ন দেখতাম একসময় গেম বানাবো ১৯৭১ নিয়ে। কিন্তু হয় নি তাতে কি আজ আমি গর্ব করে বলতে বাংলাদেশের চারটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটার আরবান প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের একজন শিহ্মার্থী। কিন্তু আমার দুঃখ একটা জায়গায় বাংলাদেশের বেশীর ভাগই মানুষের নগর ও অন্চল পরিকল্পনা এই সাবজেক্ট সম্পর্কে একেবারেই ধারনা নাই।
এমনকি আমার সহপাঠি দেরও। অন্য ডিপার্টমেন্টের আমার বন্ধুরা আমাকে প্রায় প্রশ্ন করে দোস্ত তোদের কাজটা আসলে কি? অনেক সিনিয়র ভাই চাচারা যখন জিজ্ঞাসা করে কোন সাবজেক্টে পড়? বলি ইউআরপি । বলে কি? আমি বলি আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং আবার বলে কি? আমি তখন বাংলায় বলি নগর ও অন্চল পরিকল্পনা । তখন বিজ্ঞের মত মাথা নাড়ে অনেকেই যদিও আমিও জানি তারা তেমন কিছুই বোঝে নি । যদিও বাংলা নাম শুনলে কিছুটা অনুমান করা যায়।
আমি এখন পর্যন্ত অনেক মানুষকে বুঝিয়েছি আমার সল্প জ্ঞান দিয়ে । সত্যি কথা বলতে আমার জ্ঞান এখনো পর্যন্ত খুবই সামন্য কারন প্রথমত আমি এখন প্রথম বর্ষের একজন শিহ্মার্থী দ্বিতীয়ত এই সাবজেক্টে পড়তে আসার আগে সাবজেক্ট সর্ম্পকে ধারনাই ছিল না। যতটুকু জেনেছি নেট ঘেটে আর বড় ভাইদের কাছ থেকে । আমরা যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রেহ্মাপট না চিন্তা করে উন্নত দেশ দিয়ে বিবেচনা করি তাহলে হয়তবা ব্যাপারটা বোঝা কিছুটা সহজ হবে। আমাদের দেশ তো খুবই আনপ্ল্যানড।
উন্নত দেশ গুলাতে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলা থেকে শুরু করে যত বড় কাজ হোক সব কিছুই একটা পরিকল্পিত পরিকল্পনার ভিতর দিয়ে করতে হয়। যদিও আমাদের দেশের যা অবস্হা তাতে পরিকল্পনা করাটা আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিল। আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে আমাদের দেশের প্রধান দুইটা সিটি বা শহর ঢাকা আর চট্টগ্রামের জন্য দুইটা মাস্টার প্ল্যান ছিল যা বাস্তবায়িত হয় নি। আর হয় নি বলেই আজ ঢাকা চট্টগ্রামের এই বেহাল অবস্হা। অথচ আজ যদি বাস্তবায়িত হত ভাবুন তো এই দুটো শহর কতটা সুন্দর হতে পারত।
দুঃখ হল না। আর এই প্ল্যান করাই হচ্ছে আমাদের কাজ মানে প্ল্যানারদের কাজ। বাংলাদেশে আর বান প্ল্যানিং এর প্রয়োজনিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে আর দেশের ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ এই সাবজেক্ট পড়ানো হচ্ছে অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হবে বলে শুনেছি। আর সবার মনে একটা প্রশ্ন স্বভাবতই জাগে এই সাবজেক্ট পড়ে চাকরী কি? দেশের বাইরে এই সাবজেক্টের প্রচুর চাহিদা আছে বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া জার্মানির দিকে। আর দেশে সিটি কর্পোরেশন গুলা রাজউক কেডিএ[খুলনা ডেভোলপমেন্ট অথরিটি] সিডিএ[চট্টগ্রাম] আরডিএ[রাজশাহী] তে প্রচুর জব আছে।
এছাড়া দেশের সবগুলা পৌরসভা গুলাতে প্ল্যানার রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইদিন আমি আমার এলাকার পৌরসভায় গিয়েছিলাম সেখানে এক আরবান প্ল্যানারের সাথে আমার কথা হয়। তিনি আমরা অনেক স্ট্রাগল করছি আস্তে আস্তে এর পথ প্রসস্ত হচ্ছে। আর তাই আরবান প্ল্যানিং পড়তে ভাগ্যবান মনে করছি যদি আমি দেশের কিছুটা পরিকল্পিত করতে পারি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।