তাশফী মাহমুদ
বলিউডের উঠতি এই অভিনেত্রী কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। কে তাঁকে শেষ দেখেছেন তা জানার জন্য এখন মুম্বাই পুলিশ জিয়ার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও সহকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তাঁরা জিয়া খানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
আত্মহত্যা করেছেন বলিউডের উঠতি অভিনেত্রী জিয়া খান। সোমবার ৩ জুন রাতে মুম্বাইয়ের জুহু বিচ সংলগ্ন এলাকার বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে এক খবরে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এদিকে জিয়া খানের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে জিয়া মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন। তবে তিনি খুব শিগগিরই সমস্যা কাটিয়ে বলিউডে ফেরার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ীও ছিলেন। এজন্য বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে নতুন ছবি নিয়ে কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে তাঁর।
২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী জিয়া খানের বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যে। সম্প্রতি মা রাবেয়া আমিনের সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে মুম্বাইতে চলে আসেন।
থাকতেন মুম্বাইয়ের জুহু বিচ সংলগ্ন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে।
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভের বিপরীতে ২০০৭ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘নিঃশব্দ’ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় জিয়া খানের। প্রথম ছবিতেই বিতর্কের জন্ম দিয়ে আলোচনায় চলে আসেন জিয়া খান। শুধু তাই নয়, প্রথম ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা নবাগত হিসেবে মনোনয়নও পেয়ে যান বলিউডের নবাগত এই অভিনেত্রী।
তবে জিয়া খানের জীবনে সবচেয়ে সেরা কাজ বলিউড পারফেকশনিস্ট আমির খানের সঙ্গে ‘গজনি’ ছবিতে।
ছবিটি দুর্দান্ত ব্যবসা করে। এর পরপরই জিয়াকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয় বলিউডে।
২০১০ সালে সবশেষ সাজিদ খানের ‘হাউসফুল’ ছবিতেও অভিনয় করেন জিয়া খান। এটিই জিয়া অভিনীত শেষ ছবি।
এদিকে জিয়া খানের হঠাৎ মৃত্যুর খবর অবাক করেছে তাঁর প্রথম ছবির সহশিল্পী অমিতাভ বচ্চন এবং বন্ধুসহ অনেককেই।
অমিতাভ বচ্চন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে জিয়া খানের মৃত্যুকে ‘অবিশ্বাস্য!!!’ উল্লেখ্য করেছেন। জিয়া খানের বন্ধু তনুজ গার্গ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় আমরা একে অপরকে চিনতাম। সে ছিল সদালাপী, মিষ্টভাষী। তাঁর মৃত্যুর খবরটা সত্যিই আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।