আমি একজন ছাএ সংসদে বিরোধী দলের প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত ইতিবাচক। বিরোধী দলের ফিরে আসা গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথে নতুন বাঁক। তারা সংসদে থেকে পরবর্তী সংসদের জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। সংসদে বিরোধী দলের ফিরে আসা ছাড়াও বাংলাদেশে এই প্রথম নারী স্পিকারেরও যাত্রা শুরু। সংসদ সদস্য হিসেবে তার অভিজ্ঞতা না থাকলেও তার যে মেধা ও প্রজ্ঞা রয়েছে সেটা দিয়ে এ সংকটময় সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন তিনি।
বিরোধী দলের প্রত্যাবর্তনে দেশবাসীর মাঝে একটা আশার সঞ্চার হয়েছিল যে এবার বুঝি বিরোধীদল সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাটি ও মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। দলীয় এজেন্ডা জনস্বার্থে তুলে ধরবেন। জনস্বার্থ নিয়ে কথা বলবেন। রাজনৈতিক ইস্যু ছাড়াও জাতীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। বিরোধীদল যেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সংসদকে প্রাণবন্ত করে তুলবেন।
খোলা মন নিয়ে আলোচনা করে অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের নিষ্পত্তি করবেন। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি। তারা দেশবাসীকে হতাশ করেছে। বরাবরের মত তারা এবারও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ওয়াকআউট-বয়কটের দিকেই গেলেন। তারা আবারো প্রমাণ করলেন যে আসলে তারা বেতন ভাতা এবং সদস্যপদ রক্ষার জন্যই সংসদে যোগ দিয়েছিলেন।
কারন আর সাত দিন অনুপস্থিত থাকলে তাদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যেতো। তাছাড়া বিরোধী দলের ওয়াকআউট করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেননা, তাদের বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া হয়নি। মাইকও বন্ধ করা হয়নি। তাহলে বিরোধীদলের এমন অসৌজন্যমূলক আচরনে আমরা কি আশা করতে পারি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।