আর কটা দিন সবুর করো মরিচ বুনেছি.. রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যাচ্ছে, তার প্রতি মানুষের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকে। রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় কার্যত রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বারা, কিন্তু কলুষিত রাজনীতি বা নেতৃত্ব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের পরিবর্তে মানুষের ভাগ্যে অবধারিত দুর্যোগ বয়ে আনে। এমন রাজনীতি কারোরই কাম্য নয়, কাঙিক্ষতও নয়; এমন রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করাও গুরুতর অন্যায়।
চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে ‘চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছিল গত ৯ জানুয়ারি। ১২ মার্চের কর্মসূচির সরকারের অবস্থা হয়েছে এমন-পুলিশ দেখলে চোরের অবস্থা যা হয়।
মাথায় গ্যাস উঠে গেল সরকারের। কি করবে না বলবে ঠিক করতে মুশকিল হয়ে পড়ল। প্রধানমন্ত্রী ওয়াসারবিহীন নলকূপ চাপতে লাগলেন। প্রধানমন্ত্রীর কষ্ট উপলব্ধি করে শরিক হলেন তার অধীনরাও, বাড়ির দারোয়ানের ন্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো কঠোর হস্তে দমন করার হুমকি দিচ্ছেনই। মনে হচ্ছে যে, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, তিনি হলেন বিরোধী দল দমনমন্ত্রী।
জীবনে প্রথম এবং দিনের শেষ বেলায় এসে মন্ত্রিত্ব পেয়ে তালে নারিকেল মিলাতে লাগলেন সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। ছাগলের তৃতীয় ছানার ন্যায় নাচতে লাগলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। তাদের সঙ্গে আবার রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু প্রমুখ বামপন্থীরাও কণ্ঠ মিলানোর চেষ্টা করছেন। তাদের সাথে মাঝে-মধ্যে উড়ে এসে জুড়ে বসেন কমরেড দিলীপ বড়ুয়াও।
‘ঠোঁটে প্রতিহত আর মুখে গণতন্ত্র'।
সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন- ১২ মার্চে বিরোধী দলের কর্মসূচির পাল্টা কোন কর্মসূচি থাকবে না। তবে তাদের কর্মীরা রাজধানীর প্রতিটি পয়েন্টে অবস্থান নিবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি উদ্দেশ্য আপনার মহাসচিবের? উদ্দেশ্য যদি ফাইনাল খেলা হয় তাহলে প্রশাসনকে দর্শকের গ্যালারিতে বসান, দেখুন ফলাফল কি হয়। আবার ১৪ দলের বৈঠক থেকে বলা হয় ১২ মার্চ নয় ১১ই মার্চে তারা রাজধানীতে অবস্থান নিবে। সু-মধুর কণ্ঠস্বরের অধিকারী আইন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন-১২ই মার্চ আমরা রাজপথ দখলে রাখব।
কারণ রাজপথ কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। তার এই কথা দ্বারা দু'টি অর্থ বুঝায়। এক. সর্বদা রাজপথ বিরোধীদলের দখলে থাকে। ১২ মার্চের জন্য তারা দখলে নিবে। দুই. রাজপথ তারা সম্পূর্ণ ক্রয় করে নিয়েছে।
এ কারণে সেদিন তারা এমন কর্মসূচিই দিবেন যার ফলে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতা-কর্মী ঢাকায় প্রবেশই করতে পারবে না। তাদের সকল চিন্তা একসাথ করলে মনে হয় না যে এসব কোন সুস্থ মস্তিষ্কের চিন্তা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।