~~~When I look deep into my soul, I see something I once called heart, something that now is ripping me apart, it changed, from warm and bright to dark and cold which will never melt~~~ পর্ব এক
একোরিয়ামের শেষের দিকে এসে দেখি একটা কৃত্রিম রেইন ফরেস্ট। ইনডোরে রেইন ফরেস্ট বানানোর আইডিয়া আমার একটুও পছন্দ হলো না। রেইন ফরেস্টে কি আছে সেটা খুঁজে পেতেও আমাকে একটু বেগ পেতে হলো। কেন যে প্রাকৃতিক বিশালতাকে মানুষ আবদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করে... আসলে এই পর্যায়ে এসে মনে হলো এরকম একটা মিউজিয়াম না বানালেই পারতো। শুধু শুধু এই জীবন্ত প্রাণী গুলোকে তাদের স্বাধীন জীবন থেকে ধরে এনে আমরা সামান্য সময়ের জন্য আনন্দ নিচ্ছি।
এমন সময় হঠাৎ কানে এনাউন্সমেন্ট ভেসে আসলো, ডলফিন শো শুরু হবে নাকি একটু পর। ইন্টারেস্টিং মনে হলো। ডলফিন যে সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে স্মার্ট সেটা আমার আগে থেকেই জানা ছিলো। তবে এদের শো দেখার পর মনে হলো আসলে এরা একটু বেশীই স্মার্ট। বিশেষ করে এদের কমিউনিকেইট করার ক্ষমতা।
সত্যিই প্রশংসনীয়! এদের প্রত্যেকটা দর্শনীয় মুভমেন্ট ভিন্ন ভিন্ন অর্থবহন করে। এদের মধ্যে বেশ কিছু মুভমেন্ট এদের আয়ত্ব করানো হয় স্পেশাল ট্রেনিং দিয়ে। পুরা ব্যাপারটাই আসলে সাইকোলজী। ট্রেইনার দের কার্যকলাপ দেখে বেশ মজা পেলাম। মনে মনে ভাবলাম এনিমল/মরিন (marine) সাইকোলজিস্ট হলে কেমন হয়.. যদিও সাঁতার পারিনা.. তাও যা দেখি সব কিছুই হতে মন চায়
সময় হয়ে এলো বের হবার.. যাওয়ার আগে দ্রুত চেক করে নিলাম অবিরাম আকৃতি পরিবর্তনশীল জেলীফিশ গুলো
একোরিয়াম থেকে বের হয়ে আরো কিছুদূর হাঁটার পরেই দেখলাম ট্যাক্সি বোট।
এই বোটে করে খুব সহজেই বল্টিমোরের বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্থানে চলে যাওয়া যায়। গাড়ী নিয়ে এসব জায়গায় ঘুরতে হলে সবচেয়ে বিরক্তিকর যে ঝামেলা পোহাতে হয় সেটা হলো পার্কিং। সিটিতে ট্যুরিস্টের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে একটু বেশী হওয়ায় সব জায়গায় পার্কিং পাওয়া যায় না। আর পাবলিক পার্কিং গুলাও রিলেটিভলি অনেক এক্সপেন্সিভ.. অল্টারনেটিভ হিসেবে মুনিমিটারে টাকা দিয়ে পার্ক করাও ঝামেলা কারণ কয়েক ঘণ্টা পর পর এসে কয়েন ফেলে টাইম লিমিট বাড়িয়ে নিতে হয়.. পুরাই PIA
সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম ট্যক্সি বোটিং করে এলাকা ঘুরে দেখবো.. যেই এলাকা থেকে বোটে উঠতে হয় সেখানে গিয়ে দেখি বাচ্চাদের জন্য হাজার হাজার হাঁস মার্কা বোট সাজানো আছে.. যদিও দেখতে খুব একটা খারাপ লাগছিলো না সেগুলো.. যদিও এসব খেলনা টাইপ বোটের পাশেই সাজানো ছিলো আগের আমলের অনেক গুলো জাহাজ.. এইসব এন্টিক জাহাজ এখন আর চলবে কিনা যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে আমার..
আরো মজা পেলাম এসব আগের যুগের জাহাজের সাথে মর্ডান সব দামী দামী Yacht দেখে..
আস্তে আস্তে দূরে চলে এলাম তীর থেকে.. অসাধারণ লাগছিলো বল্টিমোর শহরের ভিউ নদীর মাঝখান থেকে..
বিশাল বিশাল স্ট্রাকচার ছাড়াও চোখে পড়লো অনেক গুলো বিখ্যাত ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পানীর সেন্ট্রাল ফ্যক্টরী
ম্যরিয়টের ইন্ডিভিজুয়্যল ছবি দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না
প্রায় দেড় ঘণ্টা বোটিং এর শেষের দিকে
বোট একবার ঘুরে আমাদের রেখে আসলো প্রায় ইউরোপীয়ান লুকিং ফেলস পয়েন্টে
বোটে করে ঘুরে দেখতে দেখতে এদিকে সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা। এজন্য আসলে শীতকালে ট্যুরিং একটু বিরক্ত লাগে, এত ছোটো দিন যে মনমত কিছুই করা যায় না।
এখনও বাকেট লিস্টে বাকি ছিলো, সায়েন্স সেন্টার.. সেন্টার বন্ধ হবার অল্প আগে ঢুকে ভিতরে একটু চোখ বুলিয়ে বের হয়ে গেলাম.. এবং ততক্ষনে বুঝতে বাকি রইলো না যে ইনার হারবরের এই সায়েন্স সেন্টার সময় থাকলে বেশ ইনফোরমেটিভ একটা ট্যুর হতে পারতো
চলবে.. নেক্সট এপিসোড ডিসি, তারপরে আসছে ফিলি.. অনেক ছবি থাকায় কিছু মার্জ করা লাগলো.. :rolleyes:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।