There is only one person who could ever make you happy, and that person is you...
রিলায়েন্স বিশ্বকাপ (১৯৮৭)
ফাইনাল
ইডেন গার্ডেন, ভারত, ৮ নভেম্বর
অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড
টস: অস্ট্রেলিয়া
ফলাফল: ৭ রানে অস্ট্রেলিয়া জয়ী
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ: ডেভিড বুন
আগের পোস্টগুলোঃ
১ম বিশ্বকাপ ক্রিকেট (১৯৭৫): ফাইনাল ম্যাচ Review...
২য় বিশ্বকাপ ক্রিকেট (১৯৭৯): ফাইনাল ম্যাচ Review...
৩য় বিশ্বকাপ ক্রিকেট (১৯৮৩): ফাইনাল ম্যাচ Review...
বৈচিত্র্যের ছোঁয়া নিয়ে এলো ৪র্থ বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডের বেষ্টনী থেকে ৩য় বিশ্বে চলে এলো বিশ্বকাপ। যেমন মানুষকে উন্মাদনা দিলো, তেমনি উত্তেজনাকর টুর্নামেন্টের স্মৃতি রেখে গেলো।
৮ নভেম্বরে কোলকাতা ইডেন গার্ডেনে লক্ষ দর্শকের সামনে, ক্রিকেটের ঐতিহ্যের দেশ অস্ট্রেলিয়া শেষতক নিজেদের সুনাম প্রতিষ্ঠিত করলো, অথচ বোর্ডারের নেতৃত্বে অসি দল এসেছিল খালি হাতে। টস থেকেই বোর্ডারের সাফল্যের শুরু।
এর আগের তিন বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মাত্র দুইবার মুখোমুখি হয়ে জয়ের গৌরব দু’জনে ভাগ করে নিয়েছিল। এবারে পুরো টুর্নামেন্টে অঘটন ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার “লাক” প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।
বুন-মার্শের ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৫ রান...
২য় উইকেটে বুন-জোন্স যোগ করেন আরও ৭৬ রান...
এরপর ৫ম উইকেটে বোর্ডার-ভেলেটার ৮৬ রান অস্ট্রেলিয়াকে একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেয়।
বুন ম্যাচের সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন যা তাকে টুর্নামেন্টে তার ৩য় ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচ’-এর সম্মান এনে দেয়। ৫০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৫৪ রান।
জবাবে ইংল্যান্ডও বেশ দৃঢ়তা দেখায়। গুচ-অ্যাথে ২য় উইকেটে ৬৫ রান তোলে। এরপর মারমুখী অধিনায়ক গ্যাটিং, অ্যাথের সাথে মিলে রান নিয়ে যান ১৩৫-এ...
এসময় গ্যাটিং বিনা কারণে বোর্ডারের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। এই খামখেয়ালী শটটাই ফাইনালের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
তবুও ল্যাম্ব হাল ছাড়েন নি।
রান নিয়ে যান ২০০-তে...
কিন্তু ভাগ্য শিকে ছিঁড়লো না। শেষ ১৩ বলে ২০ রানের টার্গেট ছুঁতে পারলো না স্মল-ফস্টার। মাত্র ৭ রানে হেরে যায় ইংল্যান্ড।
নতুন প্রজন্মের একটা দল নিয়ে এসে বোর্ডার যে সাফল্য পেলেন তা তারুণ্যের জয়গানই ধ্বনিত করলো। পরিশ্রম ও পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে, সামর্থ্য ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে এরা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট পাগল মানুষের মনে আশার বাণী জ্বেলে দেয়।
অস্ট্রেলিয়া তাদের এই সাফল্যের জন্য ‘ফ্যান্টাস্টিক ফাইভ’-এর কাছে কৃতজ্ঞ। এরা হলেন বোর্ডার, ম্যাকডার্মট, বুন, মার্শ এবং ওয়াহ। এই পাঁচজন মিলে রিলায়েন্স কাপ উড়িয়ে নিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ায়।
ইউটিউব ভিডিওঃ
সৌজন্যেঃ খেলার ভুবন
পরের পোস্ট
৫ম বিশ্বকাপ ক্রিকেট (১৯৯২): ফাইনাল ম্যাচ Review... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।