আমি আমার অলস ভাবনাগুলো লেখার চেষ্টা করি। অগ্নিদব্ধ গার্মেন্টস কারখানাটিতে সব ধরনের সুযোগসুবিধা ছিল যতটা একটি সর্বাধুনিক কারখানা তে থাকতে হয়। গত দুদিনে দুবার সতর্ক সংকেত দিয়েছিল Fire Alarm কিন্তু সেটা ছিল False. দালানের একদম উপরের তলায় চলছিলো আরেকটি তলার কাজ। কিন্তু সেই তলাটিতে কোন পোড়া শরীর পাওয়া যায়নি। বের হওয়ার সময় শ্রমিক রা নাকি একটি গেটের তালা বন্ধ পেয়েছিল।
একজন নারী শ্রমিক বলেছে তারা যখন অন্য একটি গেট দিয়ে বের হতে চেয়েছিল তখন তাদেরকে ধমক দেয়া হয়েছিল, কিছু হয়নি কাজে যাও। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় লাফ দিতে হবে না হলে যে পরিবার লাশও পাবেনা। সে বেচে আছে। ওই কারখানার মালিককে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। শয়তান ওই মালিকের নাকি ব্যাংক এ কিছু দায় আছে।
কতটা দায় আছে শিগ্রই জানতে পারবেন। কারখানার বেতন বকেয়া ছিল তিন মাসের। কাজ তেমন ছিল না কিন্তু ঘটনার দিন আগে থেকে বলা হয়েছিল আজ রাত নয়টা পর্যন্ত কাজ চলবে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় Fire Alarm বাজলে বের হওয়ার জন্য অনেকে গেট এর কাছে আসলে ব্যাবস্থাপনার একজন বলেছে কিছু হয়নি। পরবর্তীতে সবাই যখন নিশ্চিত হল যে আগুন সত্যি লেগেছে তখন বের হতে যেয়ে দেখে গেট এ তালা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।