মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন।
রহস্যঘেরা এক অভিযানের পর অবশেষে কেরানীগঞ্জের শিশু পরাগ অপহরণের মূল হোতা মুক্তার হোসেন আমিরের 'সন্ধান' দিয়েছে ডিবি। তাদের ভাষ্য, গতকালই ভোর রাতে টঙ্গীতে বন্দুকযুদ্ধে আহত হওয়ার পর আমিরকে গ্রেফতার করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ আমির এখনও বেঁচে আছে। সেখানেই সে সাংবাদিকদের বলেছে_ 'ভাই আপনারা আমাকে ছেড়ে যাবেন না।
আমাকে চোখ বেঁধে গুলি করেছে। ওরা আমাকে ক্রসফায়ারে দেবে। ' মামলা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমিরকে বাঁচিয়ে রাখা গেলে পরাগ ঘটনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতদিয়া থেকে আমিরকে আটকের খবর সমকালসহ একাধিক জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়। এরপর থেকে বারবারই সেটা অস্বীকার করে আসছিল ডিবি।
এক্ষেত্রে গতকালের 'টঙ্গী কাহিনী' নতুন করে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
ডিবি সূত্র জানায়, গতকাল ভোর রাতে 'বন্দুকযুদ্ধে'র পর টঙ্গীর টিলাগাতির ভাড়া বাসার
মেঝেতে পড়ে ছিল পরাগ অপহরণের মূল হোতা মুক্তার হোসেন আমিরের 'নিথর' দেহ। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। গুলিবিদ্ধ আমিরের শরীর থেকে টপটপ করে ঝরছিল রক্ত। 'লাশ' হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ডাকা হয় স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের।
এক সময় মৃতভেবে আমিরের লাশ টঙ্গী পঞ্চাশ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে হঠাৎ নড়েচড়ে ওঠে তার হাত-পা। এরপর কথা বলতে শুরু করে আমির। নিজের মুখের রক্ত নিজেই পরিষ্কার করতে থাকে। 'মৃত' মানুষের এমন আচরণ দেখে আঁতকে ওঠেন পুলিশ সদস্যরা।
বন্দুকযুদ্ধে আমিরের নিহত হওয়ার খবর শুনে সেখানে হাজির হন সংবাদকর্মী ও স্থানীয় লোকজন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ডিবির পরিদর্শক মো. সায়েদুর রহমান ফোনে সমকালকে জানান, ডিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' আমির আলী নিহত হয়। তবে এর অল্প সময় পরই ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, আমির নিহত হয়নি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে টঙ্গী হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অভিযান থেকে শুরু করে আমির বেঁচে থাকা সবকিছু নিয়েই সৃষ্টি হয় চরম নাটকীয়তা, অনেক রহস্য। যে এলাকা থেকে আমির আলীকে আটক করা হয় বলে গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, সেখানের লোকজনও আমিরের পরিচয় পেয়ে অবাক।
আমিরকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে পরাগ উদ্ধারে মুক্তিপণ বিতর্কেরও অবসান হয়নি। ডিবির ডিসি (দক্ষিণ) মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, মুক্তিপণ নেওয়ার আগেই বিভিন্ন শর্ত দিয়ে 'হোস্টেজ নেগোসিয়েশনের' মাধ্যমে পরাগকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীরা এক পর্যায়ে মুক্তিপণের আশা ছেড়ে দিয়ে আত্মরক্ষার জন্য পরাগকে ছেড়ে দেয়।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা মুক্তিপণ নিয়েছিল এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি।
তবে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান সমকালকে জানান, মুক্তিপণ দেওয়ার দালিলিক প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। যে কোনো সময় ওই প্রমাণ তারা উপস্থাপন করতে পারবেন। এর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আমির আলী গ্রেফতার হলে মুক্তিপণ রহস্যের অবসান হবে। পরাগের বাবা বিমল মণ্ডলও বলেন, মুক্তিপণ দিয়ে পরাগকে উদ্ধার করা হয়নি।
ডিবির সিনিয়র সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন জানান, পরাগ ম ল অপহরণের 'মূল হোতা' মুক্তার হোসেন আমিরকে গ্রেফতারে টঙ্গীর মুদাফা টিলাগাতি এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি। সেখানে পুলিশের ওপর গুলি করলে তাকেও পাল্টা গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর নতুন রহস্যের জন্ম হয়েছে। যদিও গত মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল ও স্থানীয় পুলিশ জানায়, আমির ও তার সহযোগীকে মঙ্গলবার রাতেই দৌলতদিয়া থেকে আটক করে ডিবি।
সমকালে সে খবর ছাপাও হয়। তবে বরাবরই ওই আটকের কথা অস্বীকার করে আসছে ডিবি।
ডিবির ভাষ্যে যেভাবে গ্রেফতার আমির : পরাগ অপহরণের মূল হোতা আমিরকে গ্রেফতারের পর গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির ডিসি (দক্ষিণ) মনিরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের পর আবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ডিবি ও ঢাকা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল টঙ্গীর টিলাগাতি-সিংবাড়ি এলাকায় অভিযান শুরু করে। গোপন খবর ছিল, কয়েকদিন আগেই ওই বাড়ি ভাড়া নেয় আমির।
রাত ৩টার দিকে টিম-২-এর সদস্যরা সিংবাড়ি এলাকার কনসেপ্ট গার্মেন্টস সংলগ্ন সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের বাড়ি ঘিরে ফেলে। ইতিমধ্যে টিম-২-এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পেঁৗছলে বাড়িওয়ালার সহায়তা নিয়ে আমিরের বাসার গেট খুলতে বলা হয়। আমির গেট খোলামাত্র পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করলে আমির গুলিবিদ্ধ হয়।
এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমিরের বাসায় প্রবেশ করে ৫ রাউন্ড গুলি এবং একটি কালো রঙের পিস্তলও উদ্ধার করেন। পুলিশ সেখান থেকে আমিরের স্ত্রী বিউটি বেগম, গৃহপরিচারিকা রুমীকে আটক করে। বিউটির কাছে একটি সিলভার রঙের বিদেশি পিস্তল ও ৮০ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। আহত আমিরকে টঙ্গী থানা পুলিশের সহায়তায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ডিবির ডিসি মনিরুল ইসলাম আরও জানান, ২২ নভেম্বর ডিবি ও ঢাকা জেলা পুলিশের যৌথ দল আমিনবাজার এলাকা থেকে আমিরের প্রধান সহযোগী আল-আমিনকে গ্রেফতার করে। পরাগকে তার মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে অস্ত্রের বাঁট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। অপহরণের পর পরাগকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয় আমিরের স্ত্রী বিউটি। শিশুটির খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করে গৃহপরিচারিকা রুমী। আমির ও তার ভাতিজা আকাশ আঁটিবাজারের রাস্তার পাশে পরাগকে ফেলে যায়।
আমির ও আল-আমিনকে আগেই আটক করা হয়েছে কি-না_ এমন প্রশ্নে মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের যেদিন গ্রেফতার করা হয়েছে, সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে লুকোচুরি করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিসের ডিসি মাসুদুর রহমান। আমির হোসেনের সহযোগী আল-আমিন ও শ্যালক মামুনকেও সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়। এছাড়াও ছিলেন পরাগ মণ্ডলের বাবা বিমল মণ্ডল।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমির আপাতত শঙ্কামুক্ত বলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
'আমি ছিলাম ফাঁপড়ে' : নিজেকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আল আমিন জানায়, 'আমাকে আমির ভাই ডাক দিলে তার সঙ্গে যাই। এরপর বাচ্চাটাকে কিডন্যাপ করা হয়। পেছন থেকে কয়েকটা গুলিও চালানো হয়। ' বাচ্চাকে অপহরণ করা হচ্ছে জেনে আপনি পুলিশকে খবর দিলেন না কেন_ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আল আমিনের দাবি, 'আমি একটা ফাঁপড়ে ছিলাম।
বইলা দিলে যদি আমারে মাইরা ফ্যালে। ' আমিরের শ্যালক মামুন দাবি করে, সে অপহরণের সঙ্গে জড়িত নয়। ডিবি পুলিশ তাকে ডাক দিয়ে নিয়ে গ্রেফতার করে। তার বোনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলেও ব্যবসায়িক কারণে দু'জনের যোগাযোগ রয়েছে বলে স্বীকার করে মামুন।
কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়ার বাসার সামনে থেকে ১১ নভেম্বর সকালে মা লিপি ম ল, বোন পিনাকী ম ল ও গাড়িচালক নজরুল ইসলামকে গুলি করে শিশু পরাগকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এর তিনদিন পর ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার এলাকায় মোটরসাইকেলে করে এনে প্রায় অচেতন অবস্থায় পরাগকে রেখে চলে যায় অপহরণকারীরা। রাজধানীর পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ নভেম্বর বিকেলে পরাগ সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরে। এ নিয়ে পরাগ অপহরণের ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ-র্যাব। তাদের মধ্যে অপরাধ স্বীকার করে তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আমিরের স্বজনদের বক্তব্য : আমাদের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, পরাগ অপহরণের পরিকল্পনাকারী আমির নিজেকে মুক্তার হোসেন দাবি করলেও তার স্বজনরা তা মানছেন না।
গতকাল শনিবার সকালে আমিরের শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ মোকামপাড়া এলাকায় গিয়ে পাওয়া যায় অনেক তথ্য। আমিরের শ্বশুর সালাউদ্দিন মিয়া ও শাশুড়ি চানবানু জানান, আমির সন্ত্রাসী ছিল, তা আমাদের জানা ছিল না। তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার বিউটিকে ৪ বছর আগে স্কুলে যাওয়ার পথে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করে। তাদের সংসারে আবির হোসেন নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বর্তমানে ওই ছেলে ডিবির হেফাজতে রয়েছে।
তার মেয়েকে বিয়ের আগে আমির আরও একটি বিয়ে করে। আমিরের নানাবাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ মাজার রোড এলাকায়। তার নানার নাম সুকুর হাওলাদার। আমিরের বাবা আব্বাস উদ্দিন হাসনাবাদ এলাকায় ইটভাটায় কাজ করতেন। সুকুর হাওলাদারের মেয়ে হাসি বেগমকে সে বিয়ে করে।
আমির আলী হাসনাবাদ এলাকায় নানা-নানির কাছে বড় হয়েছে। আমির ও তার বড় ভাই মনির সন্ত্রাসী হওয়ায় তার মা হাসি বেগম রাগ করে চলে যান। মনির তার নিজ গ্রুপের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়। আমিরের মামা তাজেল, নাদোন ওরফে নাদু ও দাদন এখনও হাসনাবাদে বসবাস করছেন। নাদোন ওরফে নাদু সমকালকে জানান, তার দুই ভাগ্নে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত।
তাদের কারণে অনেক অশান্তিতে থাকতে হয়েছে। তারা আমিরের বিচার দাবি করেন। আমিরের শ্বশুরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আক্কাস মিয়া জানান, আমির পুরো কেরানীগঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করত। সে বিভিন্ন বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়েছে।
আমির আলীর ফাইভস্টার বাহিনী : কেরানীগঞ্জবাসীর কাছে আতঙ্কের নাম আমির।
দীর্ঘদিন আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ায় সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরা পড়েনি। পরাগ মণ্ডল অপহরণের পর ফের আলোচনায় আসে আমির। ২০০১ সালে আমির আলী কেরানীগঞ্জে ফাইভস্টার বাহিনী গড়ে তোলে। এ বাহিনীর সদস্য ছিল আমির, পারগেন্ডারিয়ার টাক্কু রিপন, ইকুরিয়া এলাকার আনসার উদ্দিন, গোলাম বাজার এলাকার জলিল ও শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বাবা আনোয়ার। ফাইভস্টার বাহিনীর কাছে ২০০২ সালে ইকুরিয়া বিআরটি অফিসের সামনে রিপন নামে এক যুবককে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে।
এ সময় তাদের গুলিতে দুই পথচারী নিহত হন। এ ঘটনার ৮ মাস পরে পারগেন্ডারিয়া এলাকায় রানা, মার্বেল ও রুবেলকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে এ গ্রুপটি। কেরানীগঞ্জে পরপর দুটি ট্রিপল মার্ডার হওয়ায় প্রশাসনে টনক নড়ে। তাদের কাছে একে-৪৭ রাইফেল থাকায় এলাকার লোকজন সব সময় আতঙ্কে থাকত। পারগেন্ডারিয়া এলাকার বালু ব্যবসায়ী সামছুল হক ফাইভস্টার গ্রুপকে চাঁদা না দেওয়ায় তাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়।
২০০৪ সালের ২৭ নভেম্বর ইকুরিয়া বাজারে ব্যবসায়ী আলী আহমেদকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যার পর আনসারের ভাগ্নে আল আমিন, তার ছোট ভাই তৌফিক ওরফে তৌফা, আনসারের ভাই জাহিদ কসাই, আল ইসলাম, সিএনজিচালক করীম, নুরা ও সালাউদ্দিন লোকজনের সামনে একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে দৌড়ে চলে যায়। পরাগ মণ্ডল অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আল আমিন আটক হয়েছে। আমির বিভিন্ন সময় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করেছে।
সমকাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।