আমি কেবলই আমার মতো বেশ কয়েক মাস আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। একটি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে আরো কয়েকজন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ আড্ডা দিচ্ছিলাম, বেশ জমেও উঠেছে। এমন সময়ে ওই বিভাগের একজন সাবেক ছাত্র বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে এলেন। ভিতরে প্রবেশ করে জানালেন যে, কী একটা কাজে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন; তাই পুরনো স্মৃতির টানে বিভাগে এসেছেন। স্যারও স্মৃতি হাতড়ে বেশ ভালোই রেসপন্স করলেন।
উল্লেখ্য যে, স্যার যোগ দিয়েছেন ২০০৯ সালে, এরমধ্যে একবার লিয়েনে অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও চলে গিয়ে আবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই ফিরে এসেছেন। ফলে বিভাগের কলেজের লেজুড়ে ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের না-ই চিনতে পারেন। সেটাও কোন সমস্যা নয়। স্যার আগত সাবেক ছাত্রটিকে বিভিন্ন কথার ফাঁকে কী করেন এটা জানতে চাওয়ায় ছাত্রটি এমনভাবে উত্তর দিল যে, স্যারসহ উপস্থিত অন্য কেউ-ই কিছুই বুঝতে পারেনি। কারন উনারা কেউ-ই এই নাম বা শব্দের সঙ্গে পরিচিত নন।
স্যার দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা করতে যাবেন এমন সময়ে আমি চোখ টিপে জিজ্ঞাসা না করার ইঙ্গিত দেওয়ায় কাজ হলো। ছাত্রটিকে এবার আমিই বললাম, আপনি 'দিগন্ত টিভি'তে কতদিন ধরে আছেন। এতে উপস্থিত সবার চোখ ছানাবড়া। এবার সাবেক ছাত্রটিও বুঝতে পেরেছেন যে, ভুল যায়গায় এসে পড়েছেন। তাঁর স্যারদের সঙ্গে টুকিটাকি কথা বলে চা-পানে বিদায় নিলেন।
এবার বলি আসল কথা। সাবেক এই ছাত্রটি সাংবাদিক। তিনি উত্তরে বলেছিলেন ডিটিভি'তে সাংবাদিকতা করেন। উপস্থিত সবাই বিটিভি ভেবেও কূল না-পেয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসা করতে চেয়েছিলেন। আমি ঠিকই বুঝে ফেলেছিলাম।
সেটা নিয়ে পরে অনেক হাসাহাসি হয়েছিল। কেউ বুঝতেই পারেনি যে, কেনো একজন মানুষ পরিচয় গোপন করতে চায়। ছাত্ররাজনীতি করার কারনে আমার বুঝতে বাকী থাকেনি যে কেনো ওই ছাত্রটি পরিচয় গোপন করেছিলেন এবং এখনো অনেকেই করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।