আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) কোন কথা নয় কাজে লেগে পড়ি।
যা যা লাগবে:
১।
কাঠাল পাতা কুচি : ১কাপ পরিমান
২। চালের গুড়া : ১কাপ পরিমান হাতের কাছে রাখবেন (অতটা লাগবেনা)
৩। লবন + কাঁচা মরিচ: পরিমান মত
৪। হলুদ: সামান্য
৫। তেল: ভাজার জন্যে
যেভাবে করতে হবে:
কাঠাল পাতা ধুয়ে কুচিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
এবার একটি পাত্রে পাতা গুলো নিয়ে তাতে লবন মচির আর সামান্য হলুদ গুড়া মেশান। তার পর আস্তে আস্তে চালের গুতা মিশিয়ে চটকে নিন। চালের গুড়াটা আস্তে আস্তে দিবেন ওটা বাইন্ডিংয়ের কাজ করবে। যখন মনে হবে পাতা চপের আকারে গড়া যাচ্ছে তখন আর চালের গুরা দিবেন না।
এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে পাতা গুলো চপের আকারে গড়ে ভেজে তুলুন।
ব্যাস হয়ে গেলো কাঠাল পাতার বড়া।
এবার আসেন একটু প্যাচালপারি:
কি ভাবছেন নীলুর মাথা কি জষ্ট হয়ে গেলো! নাকি খআবারে আকাল পড়লো যে কাঠাল পাতার বড়া খেতে হবে! আরে না না কোনটিই হয়নি। শুনুন তাহলে কাহিনী। শুক্রবার বিকেলে টিভি খুলেছি। দেখি চ্যানেল নাইন এ রান্নার একটা অনুষ্ঠান দেখাচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকার রান্না দেখায় ওখানে (আমি বেশীর ভাগ পাহাড়ী/ উপজাতীদের রান্নাই দেখাতে দেখি)। তো ঐদিন মনে হয় ৩টি রান্না দেখিয়েছে। তার মাঝে একটি ছিলো এই কাঠাল পাতার বড়া। দেখে অবাক হয়েছি যে আল্লাহ'র দুনিয়ার কত কি-ই না খাওয়া যায় আর মানুষ খায়।
বিশ্বাস করেন আমার মনে হয়েছে একদম বাজে একটা খাবার হবে।
বড়াটা একদম পুড়ে গিয়েছিলো, যেটাকে আমরা বলি ছ্যাচড়া পোড়া। তবে উপস্থাপিকা মহিলা একদম উমম.... করে খেয়েছে!! দারুন মজা নাকি হয়েছে! অবশ্য রান্নার অনুষ্ঠানে এরকমই। করলা ভেজে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সবজী রান্না করলেও সেটা উমমমমম....মার্কা মজাই হবে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।