আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"চোরের মার বড় গলা" ও "বাংলার চোর পুজা" (একটি নাংটা দিবসের উপহার)

আমার "কত অজানা রে" সিরিজের সব গুলো পোষ্ট সংগ্রহে থাকা বই, গুগোল মামা ও বিভিন্ন সাইট থেকে অনুবাদ করা, তবে কোন ভাবেই কপি-পেষ্ট নয়। জানার জন্য পড়ন, ভুল হলে সঠিকটি বলার দায়িত্ব আপনাদের। আনন্দের সাথে পড়ুন। আমার ব্লগ কেচাল মুক্ত। (আষাড়ে আমাশয় জাতীয় চটি পোষ্ট , বাস্তব দুনিয়ার সাথে মিলে গেলে লেখককে দায়ী করা চলবে না, কেও মিল খুজে পেলে বুঝে নিবেন পুরোটাই কাক-তাল-তলা মাএ,এতে আমার কোনই হাত নাই , সবই উপরওয়ালার খেল ) অনেক অনেক অনেক দিন আগে এক দেশে এক রাজা আছিলো ।

সেই রাজার ছিল একটা মাএ রানী, নাম আছিলো দুয়োরানী আর আছিলো দুইটা সুপুএ,তনুপুএ ও কনুপুএ। দুয়োরানী আছিলো বেজায় সুন্দৌয্য। দুধে-আলতা গায়ের রং আছিলো তাহার, তাইতো লোকে তারে বলতো দুয়োরানী। তার ভ্রু-হীন ঐ দুই কাজল রাঙ্গানো চোখে অনেক আ'বাল' বৃদ্ধ , বার-বনিতা রা যৌবন হারাইয়াছিল। রাজা তাহার প্রজাদিগকে বড়ই ভালবাসিতেন, প্রজাদের সুখ লইয়া তিনি সর্বদাই কিনচিৎ চিনতাননিত থাকিতেন।

ভালমানুষ হিসাবে রাজার বড়ই নাম-ডাক ছড়িয়া পরিল দেশে দেশে। কিন্তু কথায় আছে,"ভাল মানুষের শএুর অভাব হয় না'। রাজার শএুরা তালে তালে থাকিত রাজার প্রান বধ করিবার জন্য। এবং তাহারা অচিরেই সুযোগও পাইয়া গেল। রাজা গিয়াছিল পাহাড়ি হরিন শিকারে,শএুরা চামে দিয়া সুযোগ পাইয়া ঠা ঠা করিয়া রাজার প্রান বধ করিল।

দুয়োরানী বিধবা হইয়াগেলেন। প্রজারা সবাই বুক ভাসাইয়া কাদিঁল। এদিকে নতুন রাজা আসিয়া দুয়োরানী ও পুএদ্বয়কে প্রসাদ হইতে একটি ভাঙ্গা সুটকেস ও ছেড়া গেন্জি সহকারে বিতারিত করিলো। রানী প্রাসাদ হইতে রাস্তায় সংসার পাতিল। কিন্তু রাজ শরীরে ধুলা লাগিয়া চর্মরোগের উদ্ভব ঘটিল রানীর শরীরে।

রানী উপায় না দেখিয়া নতুন রাজার কাছে ছুটিলেন, রাজার হাতে ধরিলেল, পায়ে ধরিলেন,মুখে কহিলেন,"রাজা মশাই , আমাদের থাকিবার জায়গা নাই, পরিবার কাপড় নাই, আমরা বাচিব কিভাবে? এই বিধবার দিকে দয়ার দৃষ্টি পতিত করেন"। নতুন রাজা দুয়োরানীর কষ্ট দেখিয়া বেজায় মর্মাহত হইলেন, হাজার হোক রাজায় রাজায় ভাই ভাই,দুয়োরানী হইলো তাহার ভাবী। নতুন রাজা কহিলেন, "ভাবী আজ হইতে আপনার আর কোন কষ্ট থাকিবে না"। নতুন রাজা দুয়োরানীকে এক স্বণমুদ্রা ভাড়ায় ২০-২৫ কামারার ছোট্ট একটি কুটিড় ভাড়া দিলেন। দুয়োরানী তাহার সুপুএ দিগকে লইয়া নতুন গৃহে প্রবেশ করিলেন।

তারপর বহু পরিষ্কার পানি ঘোলা হইলো, বুড়িগঙ্গার পানি তেলে-ময়লায় কালো রং ধারন করিল, সেই পানি ভায়া মেঘনা হইয়া বঙ্গো-পো-সাগরে মিশিলো। নতুন রাজা সিংহাসনচুত্যো হইলো । প্রজারা কহিল, দুয়োরানীই আমাদিগকে পথ দেখাইবেন"। দুয়োরাণী স্বামীর গদিতে আরহোন করিলেন। এদিকে পুরান রাজার সুপুএদ্বয় নিজ নিজ গুনে গুনাননিত হইয়া পাঠশালা হইতে অর্ধচন্দ্রের সহিত বহিষ্কৃত হইয়াছে।

তাহারা কহিলেন, "বড়লোক হইতে বিদ্যা লাগে না, হাওয়া লাগে"। সকলে বলিল , "মধু মধু , রাজপুএ বড়ই বিচক্ষন , মধুবচন কহিয়াছেন"। রাজ পুএদ্বয় হাওয়া হইতে স্বর্নমুদ্রা কুড়াইতে লাগিলেন। ভাঙ্গা সুটকেস ফালাইয়া দিয়া সুইসব্যাংকে একাউন্ট খুলিলেন। প্রজারা দেখিয়া চমৎকৃত হইলো।

সকলে একবাক্যে কহিল,"দেশ যথার্থই আগাইয়াছে"। ভাঙ্গা গৃহের টাট্টিখানায় ৪০'' এলইডি বসাইলেন, প্রজারা কহিলেন,"সাধু সাধু , দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিতেছে"। ছেড়া গেন্জি খানা কেহ খুজিয়া পাইলো না। সকলে কহিল, "উহা দুষ্ট লোকের বিষবচন,উহা বিশ্বাষ করিতে নাই"। প্রজারা কহিল,"সত্যবচনে কর্নে চিৎত"।

প্রজারা সবই ভুলিয়া গেল। ভাগ্যদেবী দুয়োরানীরে লইয়া আবারও খেল দেখাইল। বর্গিরা দেশ দখল করিল। প্রজারা বড়ই খেপিল। ফল হইলো দেখিবার মত।

বর্গিরা দেশছাড়া হইলো। দুয়োরানী আবার স্বামীয়াসনে বসিলেন। প্রজারা মহাখুসি হইল। রানী ফিরিয়া আসিয়াছে। এদিকে এতোদিনে বড় রাজপুএের বাল পাকিয়াছে, রানী ভাবিলেন সময় সমাগত, তিনি বড়রাজপুএকে উজির হিসাবে ঘোষনা দিলেন।

সকলে কহিল,"যথার্থই বিচার", রাজ সভার কেহ কেহ মনে মনে নাখুশ হইলো, মুখে কিছু কহিল না,মনে মনে কহিল,"সময় আসিবে"। বাল পাকনা রাজপুএ দেখিল তাহার প্রজার বড়ই বোকা, সে বাল ছিড়িয়া পকেটে ভরিতে লাগিলেন। সভাসদরা তাহাকে লইয়া কবিতা লিখিলেন। হাওয়ায় বসিয়া চার-ছক্কা মারিলেন,খেলায় ইচ্ছা করিয়া নিজে হারিয়া রাজপুএকে জিতিতে দিলেন। রাজপুএ ভাবিলেন তিনি বড়ই ভাল খেলেন, তাহার জাতীয় টিমে খেলা উচিত।

প্রজার কহিল,"বীরপিতার বীরপুএ"। খেলিতে নামিয়া সব গুমর ফাস হইয়া গেল, বীরপুএ ঘেটুপুএ হইয়া মাঠ ছারিল। প্রজারা কহিল,"ইহা কি হইলো?" রাজপুএ কহিল,"বেয়াদপ প্রজা"। প্রজারা খেপিল। কহিল,"আমাদের গচ্ছিত সম্পদ ফিরিয়া দেও"।

দুয়োরানী বুঝিলেন পুএ বিপদে পরিয়াছে, পুএকে তিনি বিলাত পাঠাইয়া দিলেন,লোকে কাশিয়া কহিল,"পালাইয়া বাচিল"। এরপর ভাগ্যদেবী দুয়োরানীকে লইয়া আবার খেলা শুরু করিল। রানী স্বামীয়াসন ছাড়িয়া দিয়া এখানে সেখানে সভা করিয়া "আর একটি বার সুযোগ দেও, তোমাদের ভাগ্য পালটাইয়া দিব" বলিয়া প্রজাদের ফুসলাইতে লাগিলেন। প্রজারাও ঠকা খাইয়া চালাক হইয়াছে, কহিল, "সময় আসিলে জবাব পাইবে"। ইতোমধ্যে বড় রাজপুএের নেংটাদিবস আসিল,রানী কেক কাটিলেন,বড় মুখে কহিল,"রাজপুএ তাহার বড়ই সৎ পুএ আছিল, ঘোর ষড়যন্ত্র হইতেছে"।

প্রজারা মুখ টিপিয়া হাসিল। কহিল, "চোরের মার বড় গলা" । কি লজ্জা কি লজ্জা । ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.