উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কৃমিনাল ট্রইবুনাল এ অভিযোগে আটককৃত অপরাধীদের বিচার চলছে। এটা ভাল আরও বহু পূর্বে এটা শুরু হওয়া উচিত ছিল। তবুও হচ্ছে তাতেই কিন্তু অনেক।
প্রত্যেকটি বিচারের প্রকৃয়া গুলো যতটুকু সম্ভব সচ্ছ হওয়া উচিত। বাংলাদেশে অনেক বিচারই স্বচ্ছ হচ্ছেনা এটা একজন পরিচিত ম্যজিস্ট্রেট এর সহকারীই আমাকে কথায় কথায় জানিয়েছিলেন, কোন সরকারী বক্তব্য নয় এটা, চায়ের কাপে আলোচনা।
চট্টগ্রামে পারিবারিক কাজে তার কাছে চট্টগ্রামে আদালতে যেতে হয়েছিল, গিয়েছিলাম প্রায় বিকাল তিনটায়। বসে আছি এজলাস থেকে তিনি বেরুবেন, তার সহকারী জানালেন। তখনও দেখলাম পার্শবর্তী আদালত হাজতে বিচারাধীন বা বিচার হয়ে গেছে (পুলিশ পৃযন ভ্যানে আনা) প্রায় বিশ থেকে পচিশ এরকম ছেলে যুবক হাজতি কক্ষে। কক্ষটি ২০' বাই ৩০' হবে, তার মাঝে কোন বসার বেঞ্চিও নেই। পেশাবের গন্ধে ভরা হাজতি কক্ষটি।
এটা কেন জিজ্ঞেস করাতে ম্যাজিঃ সহকারী বললেন, বিচার কাজ এর আগে ও পরে জেলে না পাঠানো পর্যন্ত তাদের বাইরের বাথরুমে যেতে দেয়া হয় না। হাজতি কক্ষটির বাথরুম এত গুলো বিচারাধীন এই ছেলে ঢ়ুবকের জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানলাম।
তিনি আরও জানালেন যে, বাচ্চা বয়সের ছেলেগুলো পুলিশ ধরে নিয়ে আসে, তারা সাধরনতঃ টোকাই। কিজন্য তাদের ধরা হয়েছে তারা তাই সাধারনতঃ জানে না। আর যেই টোকাই কোন অপরাধ করেনি, সে যদি জেলে বিনা অপরাধে কয়েক বছর থেকে বড় হয়, সহকারী জানালেন, এই টোকাই ই পরে আইনের ফাঁক ফোকর বুঝে যায় এবং বড় হয়ে বড় সনত্রাসী হয়ে ওঠে, আর আইনের লোকদের তোয়াক্কা না করার প্রবনতা তার মাঝে জেগে ওঠে।
যাক শুরু করে ছিলাম, "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও তখনকার পতৃকা" এই শিরোনাম দিয়ে। আমার স্পষ্ট মনে পড়ে ঐ সময় মামলার পরদিন বিচার কাজে ধারা বিবরনী পতৃকাতে আসত। ইত্তেফাক ই সম্ভবত এর জন্য বিখ্যাত ছিল। ঐ ধারা বিবরনী পরে সাধারন জনগন, (অন্ততঃ আমার মনে হয় ) বুঝতে পারতেন, বিচারের বিজ্ঞ উকিলগন তাদের স্বাক্ষ - প্রমান, যুক্তি ইত্যাদিতে কে কত জোড়ালো বক্তব্য ও যুক্তি দিয়েছিলেন বা খন্ডন করেছিলেন তা ছিল পড়ুয়াদের চা টেবিলে আলোচনার বিষয়।
কিন্তু বর্তমান আন্তর্জাতিক কৃমিনাল ট্রইবুনাল এর বিচারের ধারা বিবরনী আমার মনে হয় কোন পতৃকাতে আসছে না।
যদি আসত তা'হলে আমরা সহ সকলে বিশেষভাবে উপকৃত হতাম ও চায়ের কাপে একটি ভিন্ন ধরনের আলোচনা হোত।
আপনাদের কি মতামত? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।