আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেল ট্রানজিট ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত

The most beautiful thing is to see a person smiling And even more beautiful is, knowing that you are the reason behind it!!!
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যে পণ্য সরবরাহের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক খানের সাথে সাক্ষাৎ করে এ প্রস্তাব করেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে এতে উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি ঘটবে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের অনুরোধের বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন মহল । তারা বলছেন, ভারত এককভাবে শুধু সুবিধা আদায় করতে চাইছে।

কিন্তু বাংলাদেশের ন্যায্য দাবির বিষয়ে কোন ছাড় দিতে রাজি নয়। তারা বলছেন, ভারত যদি উদার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতো তাহলে ভারতের সাথে এদেশের বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় অনেক আগেই সমাধান হয়ে যেত। তারা বলছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের রাষ্ট্রদূত বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কানেকটিভিটি, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার সহ বিভিন্ন প্রস্তাব করে আসছে। এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা মীর নাসির হোসেন বলেন, ভারতে এ দেশীয় পণ্য রপ্তানি করতে নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা হয়েছে। আমাদের দেশীয় পণ্যের ভারতে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তা রফতানি করা যাচ্ছে না ; শুধু তাদের অসহযোগিতামূলক আচরণের কারণে।

অথচ প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার পণ্য ভারত থেকে আমাদের দেশে আসছে। মীর নাসির হোসেন বলেন, ভারতের সাথে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় তারা যদি আরও সুবিধা চায় তা অত্যন্ত দুঃখজনক। উভয় পক্ষ লাভবান হবে এমন কোন অবস্থান থেকে ভারতীয় প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্ট্রাটেজির প্রধান নির্বাহী ডক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারতের সাথে আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা পারস্পরিক আত্মবিশ্বাসের অভাব।

তিনি বলেন,ভারতের আচরণ কখনোই আমাদের জনগণের পক্ষে ছিলো না। তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্র বন্দরের ক্ষমতা এতো কম যে, কিছু দিন আগে একটি লাইটার্স জাহাজ ডুবে গেলে আমাদের সমুদ্র বন্দরে অচলাবস্থা দেখা দেয়। নতুন করে ভারতের মতো বিশাল দেশকে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে দিলে তা কোনভাবেই এ বন্দরের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যদি চাপের মুখে ভারতকে কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করে তাহলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। তিনি আরো বলেন, ভারতে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে।

তারা যদি কোন কারণে ভারতীয় ট্রেন চলাচলের সময় তাতে হামলা করে তাহলে তার দায় দায়িত্ব আমাদের সরকারকেই নিতে হবে। নয়াদিগন্ত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ট্রানজিট কিংবা কানেকটিভিটি নামে যদি ভারতকে কোন সুবিধা দেয়া হয় তাহলে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক মতামতের ভিত্তিতে সরকারকে সিদ্বান্ত নিতে হবে। সুত্রঃ রেডিও তেহরান
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.