আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতিতে অম্লান দেশপ্রেমিক বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিল আজ থেকে ২২ বছর আগে আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন। উনার সান্নিধ্যের দিনগুলোর স্মৃতি সেদিনের ঘটনা বলেই মনে হয়। উনি ১৯৭৩ সালে আমাকে বলেছিলেন ‘নেতা সবার শেষে বিশ্রাম গ্রহণ করে। ’ নির্দেশনা দিয়েছিলেন শত্রুকে আঘাত হেনে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবার। সে সময় আমি ছাত্রলীগ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।

১৯৮০ সালে আমার কাঁধে স্নেহের হাত রেখে বলেছিলেন ‘ কামাল , একজন সেনা কর্মকর্তা মেজর পদে উন্নীত হলেই নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে দেশ পরিচালনা করার যোগ্য বলে ভাবতে থাকে। সে কিন্তু এইচ এস সি পাশ করেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারে। তুমি দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন যুবক , তোমার মধ্যে কেন এ আত্মবিশ্বাস নাই যে তুমি এই দেশ চালাতে পারবে না। ’ তার এই কথা আমাকে উজ্জীবিত করেছিল। আমি সে সময় ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।

দেশের সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে যাচ্ছিল বন্ধুবেশী বাহিনী। তিনি বীর বিক্রমে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এবং এই লুন্ঠনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। পরিণতিতে তাকে ১৯৭১ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তারিখে তাঁকে বন্দী করা হয়। এই মহান বীর মুক্তিযোদ্ধাই বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী। ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে কারামুক্ত হবার পর তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েই রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ JSD এর তিনি ও স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আবদুর রব ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক। ১৯৭২ সালের ৩১শে অক্টোবর তারিখে এই দল গঠিত হয়। পাকিস্তানী বাহিনীর যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে , মেয়েদের অপমান করেছে , বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে তাদের বিচারের দাবীতে তিনি ছিলেন সোচ্চার। তাঁর লিখিত বই ‘সীমাহীন সমরে’ এবং অন্যান্য প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘মেজর জলিল রচনাবলী’। আসুন এই মহান দেশপ্রেমিকের জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহন করি।

সেই সাথে স্বৈর শাসকদের উৎখাত করে শোষণহীন গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলি। আল্লাহর কাছে এই মহান দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। পেশাজীবী-কর্মজীবী-শ্রমজীবী জনগন এক হও । লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।