আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগলে কি না করে আর মানুষে কিনা খায় !

সাবান খেকো মানুষের খাদ্যের তালিকায় ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, তরিতরকারি থাকে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই খাদ্যের তালিকায় ৩২ বছর ধরেই যদি থাকে সাবান! তবে কেমন হবে? আসলে এইটা হোঁচট খাওয়ার মতই কথা। আর এই ধরনের অবাক করার মতো কাজ করেই চলেছে প্রতিদিন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দত্তপুর গ্রামের সাবান খেকো আব্দুল করিম। পৃথিবীতে অনেক ধরনের মানুষ আছে। তাদের মধ্যেও আছে অনেক ব্যতিক্রম! আর এই ব্যতিক্রমী মানুষগুলোর অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাজ সব মানুষের কাছে আশ্চর্যের খবর হিসাবে ধরা দেয়।

যে মানুষগুলো এই ধরনের কাজ করে তারা আমাদের চোখে নিঃসন্দেহে অন্যান্য মানুষ থেকে আলাদা। তেমনি এক মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে। তিনি এমন অবাক করা কাজ প্রতিদিন করে চলেছেন যে সেই কাজের জন্য তার এলাকার সব মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন পরিচিত। তার খাদ্যের তালিকায় ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, তরিতরকারির পাশাপাশি রেখেছেন সাবান, আর এই তালিকা একদিনের জন্য তৈরি করেননি। ৩২ বছর ধরেই খেয়ে চলেছেন সাবান! ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার দত্তপুর গ্রামের এই মানুষটির নাম আব্দুল করিম।

তার খাদ্যের তালিকায় প্রতিদিনের জন্য চাই সাত সাতটা সাবান। ভাবতেই অবাক লাগে মানুষ যেখানে সাবানের ফেনা মুখে গেলেই কম করে হলেও ২/৩ বার মুখে পানি ঢেলে মুখ পরিষ্কার করে ফেলে আর আব্দুল করিম সেখানে সেই সাবান খাচ্ছেন নিয়মিত। গোসল করার সময় সাবানের সেন্ট ভালো লাগায় তার সাবান খাওয়া শুরু হয়। প্রথম প্রথম গোছলের সময় সাবানের ফেনা খেতেন। তারপর একদিন নিজের ইচ্ছায় মনের উপর জোর করে তার সাবান খাওয়া।

সাবান খেয়ে সেদিন ভালো লাগায় আর অন্য কোন খাবার নয়। প্রতিদিন বেড়েই চলে তার সাবানের লিষ্ট। আগে অর্ধেকটা সাবান হলেই চলে যেত, এখন লাগে সাতটা। প্রতিদিন সাত সাতটা সাবান। তবে সব সাবান তিনি খান না।

আগে যে কোন সাবান খেলেও একদিন লাইফবয় সাবান খাওয়ার পর তার ভালো লেগে যায়। তারপর থেকে ২২ টাকার মূল্যের লাইফবয় সাবানটি তার প্রিয় হয়ে যায়। এই সাবানটি তার সংগ্রহে থাকে ২/৩ ডজন। আব্দুল করিমের কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডে ছোট্ট একটি খাবারের দোকান আছে। ঐ দোকানে বসেই সাবান খান তিনি।

তবে তিনি সাবান খান গোসল করার আগে। সাবান খাওয়ার এই দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরেই করিম সাবান খান তা এলাকার সবাই জানে আর এর ফলে আব্দুল করিম সবার কাছে অতি পরিচিত। পাশের চা বিক্রেতা নূরজাহান বলেন ঘটনাটি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না। তবে তার এ ধরনের সাহসের জন্য তাকে পুরস্কৃত করা উচিত।

ডাক্তারও তাকে সাবান থেকে নিষেধ করেছিলো কিন্তু কার নিষেধ কে মানে? আব্দুল করিম তার সাবান খাওয়া বন্ধ করেননি। আর এই সাবান খাওয়া যতদিন বাঁচবেন চালিয়ে যাবেন। এখন এটি তার সয়ে গেছে। আব্দুল করিম বলেন, সাবান না খেলে ভালা লাগে না। পায়খানাও পরিষ্কার হয় না।

মোটকথা শান্তি পাই না। সকাল-সন্ধ্যায় লাইফবয় সাবানই চাই, না হলে একদম চলে না। কেরোসিন খেকো পেট্রোল বা কেরোসিন না খেয়ে একদিনও কাটাতে পারেন না চীনের চেন ডেজুন। প্রতি মাসে তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার কেরোসিন লাগে ডেজুনের। ব্যথানাশক হিসাবেই গত ৪৩ বছর ধরে তিনি কেরোসিন খেয়ে আসছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, এই ৪৩ বছরে প্রায় দেড় টন কেরোসিন খেয়ে ফেলেছেন তিনি। ৭১ বছর বয়সী ডেজুন এখনো দিব্যি সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের মতো কাজ করতে পারেন। এই অদ্ভুত মানুষটার কেরোসিন খাওয়ার শুরুটাও অদ্ভুত। ১৯৬৯ সালের কথা। একদিন হঠাত্ করে প্রচন্ড কাশি শুরু হলো ডেজুনের।

সঙ্গে বুকে ব্যথা। কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছিল না। গ্রামের মুরব্বীরা বললেন, তার যক্ষ্মা হয়ে থাকতে পারে। তাকে অল্প করে কেরোসিন খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তারা। মুরব্বীদের এই ‘পরামর্শ’ শুনে চেন একদিন খেয়েই ফেলল এক কাপ কেরোসিন।

সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পেটে প্রচন্ড বেদনায় জ্ঞানই হারিয়ে ফেললেন। এক ঘণ্টা পর যখন তিনি জেগে উঠলেন অনুভব করলেন ভালো লাগছে। পরে অবশ্য চেনকে পেট্রোল থেকে কেরোসিনে চলে আসতে হয়েছে। ২০০১ সালে চেনদের পুরো গ্রামে বিদ্যুত্ সংযোগ দেয়া হলো।

গ্রামে আর কেরোসিন পাওয়া যায় না। ঝামেলায় পড়ে যান চেন। কী আর করা, কেরোসিনের বদলে পেট্রোল খাওয়া ধরলেন। চিকিত্সকরা বলছেন, চেনের শরীরের এমন অবস্থা হয়েছে যে তিনি কেরোসিন খেলে ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পান। এটা তার শরীরের হয়তো ব্যথানাশক হিসাবে কাজ করছে।

চীনের শুইজিয়াং পৌরসভায় একটি পাহাড়ের ছোট কটেজে বাস করে ডেজুন। View this link View this link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.