আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ.।

রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল ভিয়েতনাম সফর, হ্যানয়ের সঙ্গে চুক্তি এবং ৫২ জাতি এশিয়া-ইউরোপ ফোরামে বাংলাদেশের সদস্যভুক্তি বেশ আনন্দের বার্তাবহ ও মর্যাদাপূর্ণ। ভিয়েতনামের শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুবিধা দেয়ার ঘোষণা প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পারস্পরিক স্বার্থে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশ উন্নয়নের অংশীদার হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের ফোরামে গত ৩ নভেম্বর ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আকাক্সক্ষার কথা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও আর্থিক উন্নয়নের পরিবেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলে দু’দেশের উন্নয়নের অংশীদারিত্ব এবং সমৃদ্ধির সহযোগিতা ও সহভাগিতা বাড়বে। ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম, ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ভিসিসিআই) কার্যালয়ে মধ্যাহ্ন ভোজপূর্ব বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক আহ্বান প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের উদ্যমী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, উদ্যমী উদ্যোক্তা ও সক্ষম ব্যবস্থাপকদের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ লোকের বয়স চল্লিশ বছরের নিচে। তারুণ্যদীপ্ত জ্ঞানশক্তিই এদেশের উন্নয়নের ভিত্তি।

দক্ষিণ-এশিয়ায় ভারতের পর বাংলাদেশই ভিয়েতনাম থেকে সর্বাধিক পণ্য আমদানি করে। অথচ আশিয়ানভুক্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রফতানি কম। বাংলাদেশের দক্ষ ও স্বল্পমূল্যের জনশক্তি কাজে লাগাচ্ছে বহু দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশের সুবিধা থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের উদার বিনিয়োগ নীতি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশেষত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমান সুযোগ, জাতীয়করণ ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বচ্যুতির বিরুদ্ধে আইনগত সুরক্ষা, মূলধন ও লভ্যাংশ প্রত্যাবাসনের নিশ্চয়তা, পাঁচ থেকে সাত বছরের কর অবকাশের সুবিধা, যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি শুল্ক সুবিধা, রফতানি প্রণোদনা, শতভাগ মালিকানায় ব্যবসা পরিচালনা ও নির্বিঘেœ বিনিয়োগ প্রত্যাহারের সুবিধার বিষয়গুলো ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের নিকট তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে নিরাপদ ও উদার বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার আকর্ষণীয় বাজারের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিয়েতনামের স্বাধীনতা ও বিপ্লবের সংগ্রামী নেতা হো চি মিনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং হ্যানয় মেমোরিয়ালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বীরদের সশ্রদ্ধ স্মরণ করেন। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ৪টি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠানের পর কর্মকর্তারা দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং অন্যান্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নওয়েন ট্যান ডাং চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বাক্ষরিত চুক্তিসমূহের মধ্যে একটি হলো কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার ২০০৪ সালে ঢাকায় স্বাক্ষরযুক্ত সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ বৃদ্ধি। বাংলাদেশের পক্ষে কৃষি সচিব আব্দুল হামিদ আর ভিয়েতনামের পক্ষে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী নওয়েন থি জুয়ান থু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বিজনেস কাউন্সিল এবং ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সহযোগিতা সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

দুটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে একটি স্বাক্ষরিত হয়েছে ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভিয়েতনাম ট্রেড প্রমোশন এজেন্সি (ভিয়েট্রেড) এবং বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মধ্যে। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর উভয় রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী চুক্তির সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে উভয় দেশের সহযোগিতা জোরদারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানের আশা প্রকাশ করেন সংবাদ সম্মেলনে। দুই থেকে চার নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল ভিয়েতনাম সফরের পর লাওস পিপল্স ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকে যান। সেখানে ৫ থেকে ৬ নভেম্বর নবম এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।

১৭ বছর আগে গঠিত এশিয়া-ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক ফোরাম (এএসইএম) গঠিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থের ভিত্তিতে সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের আর্থ-রাজনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা বিনির্মাণ ও সম্পর্ক উন্নয়ন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র লাওসে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফোরামের অনুষ্ঠান। উক্ত ফোরামে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড নতুন সদস্যপদ লাভ করে। এএসইএম-৯ সম্মেলনের চেয়ারম্যান ও লাওসের প্রধানমন্ত্রী থংসিন যাম্বাভং আনুষ্ঠানিকভাবে ফোরামে বাংলাদেশ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডকে অভিষিক্ত করে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়েছেন লাওসের প্রেসিডেন্ট চোম্মালি সায়াসোন, অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট জুলিয়া গিলার্ড, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হায়ম্যান ভ্যান রমপই, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে ম্যানুয়েল বারোসো, পাকিস্তানের পারভেজ আসারাফ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে সানন্দ অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশকে ফোরামের সদস্যভুক্ত করার সহযোগিতা প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবেলা করে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য বৈশ্বিক সমঝোতা প্রক্রিয়া পরিকল্পনার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া বর্তমান ও আগামী দিনের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে এএসইএম-এর অধীনে ব্যাপক পরিসরে কৃষি গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি অনুষ্ঠানের শেষ দিনে বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সংকট, দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার প্রতি গুরুত্ব দেন। এতে ফোরামের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেল এবং ইতিবাচক ভাবমূর্তি ও সহযোগিতা লাভের নতুন ক্ষেত্র প্রসারিত হলো। এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে নানারূপ বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও দুই মহাদেশের আর্থিক আন্তঃনির্ভরতা সুদৃঢ়ভাবে বিদ্যমান। বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে সহযোগিতা, সমস্যা মোকাবেলা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা লাভের ভিত্তি এতে বাড়ল এশীয় দেশগুলোর। একই সমান্তরালে এশিয়া-ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোর সুসম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে কর্মকা- বাড়ল।

পারস্পরিক সমঝোতা, শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বিকাশে ৫২টি রাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থের ভিত্তিতে ৫২ জাতির এশিয়া-ইউরোপ সম্মেলন সফল হয়। এ সম্মেলনের স্লোগান ছিলÑ ‘শান্তির জন্য বন্ধুত্ব, সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্ব’। ৫২ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ও উপস্থিতির মাধ্যমে বিরাট সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভিয়েনতিয়েনের ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ৫ নভেম্বর, দুপুর ২টায়।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন : ‘বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে এ জোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ জোটের সদস্য হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ’ এশিয়া ও ইউরোপের ৪৮টি দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে আসেম-এর যাত্রারাম্ভ হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্নে ৪৮ সদস্যের মধ্যে এশিয়ার ১৯টি এবং ইউরোপের ২৭টি রাষ্ট্র ছিল। ইউরোপীয় কমিশন ও এশিয়ান সেক্রেটারিয়েটকেও-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য করা হয়।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১ ও ২ মার্চ। ২০১০ সালের ৪ ও ৫ অক্টোবর ব্রাসেলসে এ জোটের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত আসেমের সম্মেলনে উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রুনাই, বুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, কোরিয়া, লাওস, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালটা, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইনস্, পোল্যান্ড, রাশিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম রয়েছে। এসব রাষ্ট্রের সঙ্গে এবার বাংলাদেশ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড যুক্ত হলো মর্যাদাসহ। বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসেমের সম্মেলনে অংশগ্রহণ, বাংলাদেশের সদস্যভুক্তি একটি মর্যাদাপূর্ণ ও ইতিবাচক ঘটনা।

বাংলাদেশ এ জন্য গৌরবময় অবস্থানে উন্নীত হলো এবং এশিয়া-ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মর্যাদা, নিরাপত্তা, শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীদারিত্বমূলকভাবে একযোগে করার সুযোগ পেল। সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক সম্প্রসারণের ক্ষেত্র প্রসারিত হলো। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৬ দফা এএসইএম ঘোষণা গৃহীত হয়। এশিয়ার ২০টি দেশ আর ইউরোপের ২৯টি দেশ মিলে এসব ঘোষণার বাস্তবায়ন করলে উন্নয়ন, শান্তি, নিরাপত্তা, সহযোগিতা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোতে। শত্রুপক্ষের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী বলিষ্ঠ উদ্যোগ আর নেতৃত্বে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।