সুরেশ কুমার দাশ ঃ
৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে নির্বিচারে গণহত্যা সংগঠিত করে। পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যার রেকর্ডও বটে। বাংলাদেশে লাখ লাখ বাঙালির ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। অসংখ্য বাঙালি নারীর সম্ভ্রম হানি করে। মূলত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতার কোন সীমা পরিসীমা ছিলনা।
সেই বর্বরদের হটিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করে। এই অর্জন এতটাই বিশাল তা আমরা প্রত্যেকে উপলব্ধি করি।
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী পাকিস্তানী সেনাবাহিনী মহান ১৬ ই ডিসেম্বরে বাংলার মাটিতে নাকে খত দিয়ে , পরাজয়ের কালি- ঝুলি মেখে এদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
এতটাই বাংলাদেশের অর্জন, যা এ জাতির শৌর্য-বীর্য ও অহঙ্কারের। আমেরিকার মত একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিরোধিতার পরও আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি আমাদের বীরত্ব ও সাহসিকতার।
কিšত্তু পরি¯ি’তি এমনই - পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার বাংলাদেশে আসলেন। আর আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনি তাকে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার জন্য তার সরকারকে ক্ষমা চাইতে বললেন। আর হিনা রব্বানি মুহূর্তের মধ্যে নাকচ করে দিলেন। অর্থাৎ তিনি অতীত ভুলে ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে বললেন। তারা ক্ষমা চাইতে রাজী নয়।
অতীতে পাকিস্তানের কোন কোন সরকারের দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরলেন। এটুকুই। এতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপুমণি আর কোন বাক বিতণ্ডা করলেননা। যদি বলা হয় ওই সময় বাক বিতণ্ডার সময় নয়, তাহলে এত বিশাল বিষয়টা এত হালকা পরিবেশে তিনি উত্থাপন করলেন কেন? যা হিনা রব্বানি খার কাছে কোন গুর“ত্ব পেলনা। আসলেই কি সেটা গুর“ত্বপূর্ণভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন তিনি।
এ ধরনের কথা বলার জন্য তার কোন কৌশলে ,কতক্ষণ বা কত সময় ধরে কথা বলা দরকার। বা কোন সময়ে, কোন পরিবেশে এ ধরনের বিষয় উত্থাপন করতে হয় তা কি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জানা আছে। নাকি খবরের জন্য কোন প্রসঙ্গ ছিল না বলেই তিনি এ বিষয়টাকে প্রসঙ্গ করেছেন। এতবড় একটা বিষয়ে কথা বলার জন্য নিশ্চয়ই আনুষ্ঠানিকতার দরকার আছে। আনুষ্ঠানিকভাবে হয় ইসলামাবাদে না হয় ঢাকায় এ ব্যাপারে তাদের সরকারের মতামত জানাটা কি উচিৎ নয়।
কারণ ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলেও সেটা যথাযোগ্য সম্মানের সঙ্গে এড়িয়ে যেতে হবে। কিšত্তু তিনি কি সেই সম্মানটা রক্ষা করলেন। আমার মধ্যে বার বার খটকা লাগছে!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।