বাংলানিউজের রংপুর জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ বাপ্পীকে ‘তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন রংপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেন। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বাপ্পীর মোবাইল ফোনে দাপ্তরিক মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে এ হুমকি দেন তিনি।
ওসি হুমকি দিয়েই ক্ষ্যান্ত হননি। সাজ্জাদ বাপ্পীকে ‘তুলে আনতে’ তার বাসায় পুলিশও পাঠিয়েছেন ওসি আলতাফ হোসেন।
“তুই কত বড় সাংবাদিক হয়েছিস, তোর বাংলানিউজ, তোর সম্পাদক কী করবে, আমার জানা আছে, ওরকম সম্পাদককে আমরা পকেটে রাখি, পুলিশের কাছে কী থাকে জানিস না? একেবারে বুক বরাবর দেবো, তাতেই শেষ।
তোর সাংবাদিকতাও শেষ হয়ে যাবে। তুই দেখেছিস আমি পা ধরেছি? পুলিশ কখনো কারো পা ধরে না। আমাদেরই পা ধরে সবাই। আমরা সরকারি লোক। আমরা হলাম লাইসেন্স করা” এসব কথা বলেই মোবাইল ফোন রেখে দেন ওসি আলতাফ হোসেন।
মঙ্গলবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে বাপ্পীর বাসায় সাদা পোশাকে ২ জন পুলিশ যায় বলে জানিয়েছেন বাপ্পীর স্ত্রী শম্পা হোসেন। বাপ্পীর পরিবারের আশঙ্কা, পুলিশ তাকে যেকোনো সময় ‘তুলে নিয়ে’ যেতে পারে।
মঙ্গলবার বাংলানিউজে আপলোড হওয়া ‘রংপুরে শিবিরের তাণ্ডব: পা ধরেও রেহাই পাননি ওসি’ শীর্ষক প্রতিবেদন তৈরির জন্য ওসি আলতাফ হোসেন সাজ্জাদ বাপ্পীকে তুলে নেওয়ার হুমকির পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেন।
এ বিষয়ে বাংলানিউজের ঢাকা অফিস থেকে ওসি আলতাফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে ওসি বাংলানিউজকে বলেন, “শিবিরকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেছিল। তবে বাপ্পী ওই ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবেদন করেছেন, তা সঠিক নয়।
”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজে ওর বিচার করবো। বাপ্পী একজন শিবিরকর্মী। ও নিজেই বোমা মেরেছে। ”
সাজ্জাদ বাপ্পী জানান, ওসি তাকে টেলিফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেছেন। তুই-তুকারি করেন।
এক পর্যায়ে তার কাছে জানতে চান, তিনি কোথায় আছেন।
বাপ্পী জানান, পুলিশের হুমকির কারণে তিনি এখনও বাসায় যাননি। তার ধারণা, পুলিশ তাকে যেকোনো সময় তুলে নিয়ে যেতে পারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।