আমি যা আছি তাই ভালো। :) এবার ঈদে কিছু রান্না করব না করব না করেও আম্মুকে বললাম কিছু সলিড মাংস আলাদা করে রাখতে। অনেক রেসিপি খুজে মনে হল হাড়িকাবাব রান্না করা যায়-সব ইনগ্রেডিয়েন্টস হাতের কাছেই আছে। তবে যেহেতু মেরিনেট করে রাখার একটা ব্যাপার আছে তাই আগেই যদি মেরিনেট করে রাখা যায়,রান্না করতে বেশিক্ষন লাগবে না। যাই হোক,আসুন মূল রেসিপিতে যাওয়া যাক।
ইনগ্রেডিয়েন্টসঃ
হাড় ছাড়া গরুর মাংস – ১ কেজি
টক দই – আধা কাপ
পেয়াজ বাটা – ১ কাপ
পেয়াজ কুচি – ২ টেবিল চামচ (বেরেস্তার জন্য)
রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
কাচামরিচ বাটা – ১/২ চা চামচ
জয়ত্রী বাটা – ১/৪ চা চামচ(ইচ্ছা)
জায়ফল বাটা – ১/৪ চা চামচ(ইচ্ছা)
গোল মরিচের গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া – ১ টেবিল চামচ
জিরা বাটা – ১ চামচ
ধনে গুঁড়া(টেলে গুড়া করা) – ২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া – ১ চা চামচ
কাচামরিচ – ২ টা(ইছামত)
চিনি – ১ চা চামচ(স্বাদ অনুযায়ী)
ভিনেগার (অথবা লেবুর রস) – ১ টেবিল চামচ
তেল – দেড় কাপ
তেজপাতা – ২ টি
এলাচ – ৩ টি
দারুচিনি – ৪ টুকরা
লবংগ – ৪/৫ টি
স্বাদমতো লবন
প্রস্তুত প্রণালীঃ
হাড়ি কাবাব করতে হবে দুই ধাপে। ১ম ধাপে প্রস্তুতি পর্ব, মাংস মেরিনেট করে ২য় ধাপে রান্না করতে হবে।
১ম ধাপ -
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বাটিতে মাংসের টূকরাগুলোতে আস্ত কাচামরিচ আর ভিনেগার বাদে বাকী সমস্ত মশলা এবং অন্য উপকরণগুলো দিয়ে ভাল করে মেখে নিন মেরিনেট করার জন্য। ভাল করে মশলা মাখানো হলে এবার ভিনেগার (অথবা লেবুর রস) মেশান।
এ অবস্থায় মাখানো মাংস ২ ঘন্টা (৫-৬ ঘন্টা রাখলে আরো ভালো)ফ্রিজে রাখুন (ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না)।
২য় ধাপ –
রান্নার জন্য এবার হাড়িতে(আমি একটি নতুন হাড়ি নিয়েছিলাম আম্মুর বাকা ভ্রু দেখা সত্ত্বেও,হাজার হোক হাড়ি কাবাব রান্না করছি) দেড় কাপ তেল দিয়ে গরম হলে পেয়াজ কুচি দিয়ে বাদামী করে ভেজে বেরেস্তা করুন। হাফ বেরেস্তা আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখুন পরে কাবাবের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে।
এবার হাড়িতে বাকি তেলের উপর মেরিনেট করা মাংস ছেড়ে দিয়ে খানিকক্ষন নাড়ুন। কয়েক মিনিট পরে আস্ত কাচামরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে দিন।
নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে দিয়ে পাতিলে ঢাকনা তুলে দিয়ে চুলার আচঁ কমিয়ে দিন। এ অবস্থায় রান্না হয়ে মাংস সিদ্ধ হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে দিবেন। মাংস সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে আরেকবার নেড়ে দিন, তুলে রাখা বেরেস্তা দিয়ে কিছুক্ষন দমে রাখুন। কিছুক্ষন পর মাংসের উপর তেল উঠে এলে কাবাবের হাড়ি চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন।
হাড়ি কাবাব তৈরি। দারুন স্বাদের এই হাড়ি কাবাব নান দিয়ে খাইতে জোস লাগে। আমি সব কিছুর সাথেই ট্রাই করছি। সবার সাথেই ভালোই যায়
পিক: ::নাই। খাওয়া শেষে মন হইলো একটা পিক তুল্লেই পারতাম।
বাট ততক্ষনে সব আমাদের পেটে:
টিপ্সঃ
১)গরুর রানের মাংস হলে ভালো হয়। চর্বি না থাকাই ভালো।
২)এটাতে অনেকখানি অয়েল ইউজ করা হয় তাই যারা ডায়েট করছেন তাদের জন্য বেটার না।
৩)পেয়াজ অনেকখানি লাগবে। পেয়াজ ছিলে কিছুক্ষন পানিতে রাখলে চোখে বেশি ধরবে না।
অথবা কয়েক বারে কাটতে পারেন।
৪)গরম মসলা একটু হাল্কা করে ভেজে পিষে দিলে আরো ভালো হয়। (আমার কাছে বেটার মনে হয়েছে)
৫)সব মসলা দিয়ে অনেকখন ধরে মাখলে স্বাদ বেশি ভালো হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।