ইট-পাথরের এই নগরী ছেড়ে, সমাজের সব পংকিলতাকে পেছনে ফেলে, প্রকৃতির খুব কাছে, দূর দিগন্তে ডানা মেলে উড়তে চাই আমার প্রথম ভ্রমন: বান্দরবান (১ম পর্ব)
দ্বিতীয় দিন...
১৫.১০.২০১২ - উদ্দেশ্য রেমাক্রি
সকালে উঠেই খেয়েদেয়ে রওয়ানা দিলাম, মং খাই নৌকা ঠিক করে দিলেন। আমাদের সাথে গাইড হলেন মং খ্লা নু, (সে এক মজার মানুষ, স্হানীয় একটি এনজিও তে ভাল জব করে)। নৌকা দুটি একসাথেই ছাড়ল, আমাদের চোখের সামনে তখন প্রকৃতি তার রূপের ডালা উজার করে দিয়েছে।
দুপুর একটা নাগাদ আমরা তিন্দু পৌছালাম, তিন্দু বাজারে নেমে খেয়ে নিলাম। আমাদের জন্য আগে থেকেই রান্না করা ছিল।
জুমের ভাত, ঝর্ণার মাছ আর পাহাড়ি পরিবেশ, সবকিছু অনন্য লাগছিল। আবার রওয়ানা দিলাম।
জুমের ভাততিন্দু বাজার থেকে নামার সময়
এবার বড়পাথর পৌছে দেখি আমাদের সাথের মানে মং খাই এর দলটির নৌকা নষ্ট হয়েছে। আমাদের নৌকা থামিয়ে মাঝিরা গেল ওদের হেল্প করতে। এই ফাকে মং খ্লা নু নদীর ঐপার একটা ঝরনার কাছে গেল আর তাই দেখে আমার বুনোদল থেকে ৩ টা পানিতে ঝাপ দিল।
ফলাফল, ২ জন ওপারে পৌছাল আর ১ জন ডুবে গেল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী, সময়মত মং খাই পানিতে ঝাপিয়ে পরে তাকে উদ্ধার করলেন, ততক্ষনে সে আধমরা প্রায়। (এটাতে অবশ্য একটা ভাল হয়েছিল যে পরবর্তী ভ্রমন গুলোতে ওরা বাধ্য ছেলের মত ছিল)।
বড় পাথর
বিকালের দিকে বন্দ পাহাড় পাড়ি দিয়ে আমরা রেমাক্রিতে পৌছালাম।
বন্দ পাহাড়
কখনও নৌকায়আবার কখনও পায়ে হেটে।
যখন রেমাক্রির ছোট ঝরনাটায় নামলাম সারাদিনের ক্লান্তি শেষ হয়ে গেল। (আমার আর আমার কলিগের চেয়ে আমার ভাই আর ওর বন্ধুরা অনেক বেশী ক্লান্ত ছিল, কারন অনেকখানি পথ ওদের নৌকা দড়ি দিয়ে টেনে পার করতে হয়েছে)। শেষে নৌকা আমাদের রেমাক্রি বাজারে নামিয়ে দিয়ে সেদিনকার মত বিদায় নিল।
রেমাক্রি
আমাদের থাকার জায়গা হল স্হানীয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে। ভাবছিলাম এমন ভরা পূর্ণিমার রাতে শংখ নদীতে গোসলের সুযোগ হাতছাড়া করা যায়না।
যেইভাবা অমনি সেটা কাজে লাগালাম। রাতে বনমোরগের মাংস দিয়ে খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে গেলাম।
ভয়ংকর!!! সুন্দর আর খরস্রোতা শংখ নদী।
[চলবে...] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।