ঘটনা ১: এক দামিনী কয়েক মিনিট ধর্ষিত হওয়াতে প্রায় দেড়শ'
কোটি মানুষের একটা দেশের ভিত্তি কেঁপে যেতে দেখেছি। অথচ মাত্র ১১ বছরের একটা মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে বানিয়ে টানা ৫৫ দিন ধর্ষণ করায় বেশি হলে এখন দেড়শ' মানুষের মুখ দিয়ে একটু 'চুক-চুক' শব্দ ছাড়া তেমন কিছুই শুনি নাই। মানব-বন্ধনের উপস্থিতিও আশংকা জনক। তাও ভালো, 'চুক-চুক' শব্দটা বোরিং না, শুনতে ভালোই লাগছে। ও হ্যা, তার থেকে আর কী বেশি হবে শুনি? আর খুব বেশি হলে লোকাল থানায় একটা মামলা,তাই তো? কিছুদিন পরে সেই ফাইলটায় চকবার আইসক্রিমের মত জমে যাবে এক প্রস্থ ধূলার মেটে রংয়ের আস্তরণ।
এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
ঘটনা ২: সম্প্রতি, স্কুল ড্রেসের ইসুটা নিয়ে ব্লগে/মিডিয়াতে উত্তাল অবস্থা চলতে দেখলাম। সামুতেই শয়ের উপরে পোস্ট আর কমেন্ট। বিস্তর আলোচনা। শেষমেষ কোনরকম একটা সমাধান।
ঘটনা ৩: অতি সম্প্রতি, লক্ষ্মীপুরে যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মেয়েটি। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতিদিনের মত বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় রাখালিয়া মাদ্রাসায় পড়তে যায় প্রথম শেণীর শিশুটি। মাদ্রাসা ছুটি হলে শিক্ষক নুর ইসলাম তাকে ডেকে নিয়ে যায় তার কক্ষে, এ সময় শিশুটি পাশবিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার বিকেলে তার মা বাদী হয়ে শিক্ষক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রায়পুর থানায় একটি মামলা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকরা জানান, প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে, হায়দারগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযুক্ত নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত নুর ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী।
উপরের তিনটি ঘটনাই আলাদা আলাদা। কখনো কখনো আমাদের মাথাব্যথা চারা দিয়ে উঠে আবার মাঝেমাঝে নিশ্চুপ থাকি।
এভাবে কখনই সমাধান হবে না। শিশু নির্যাতন আইন বা*ছা* এর আইন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। আইন পরিবর্তন করার দাবী জানাচ্ছি। আমরা বার্মিজদের সমস্যার পথ খুজি, ইরানিয়ানদের সততার উদাহরণ দেই, ইন্ডিয়ানদের সমস্যা নিয়ে সময় কাটাই, পাকিস্থানিদের ফলো করার উপদেশ দেই মাগার নিজেদের সমস্যা সমাধানের সময় আমরা চোখ কান বন্ধ করে রাখি. আর ভাবি সমাধানের জন্য কেউ না কেউ তো আছেই.
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড আর শিশু ধর্ষণের শাস্তি সপরিবারে মৃত্যুদন্ড করা হোক। ধর্ষকের বীজ সমূলে বিনষ্ট করা হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।