আগে সংবাদটি পড়ুন।
.............................................
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যানগুলো বাজারে ছাড়া হয় গত মাসের ২৫ তারিখে। 'চেন গুয়াংবিয়াও : অ্যা নাইস গাই' শিরোনামের ক্যানগুলোর প্রতিটির দাম মাত্র ৫৬ টাকা। সব ক্যানের ওপরই লেখা আছে_তারিখ, কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, ক্যানের ভেতরে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদার্থ নেই।
ক্যানগুলোর ভেতরে কি আছে জানেন? বাতাস! যাকে বলে একেবারে বিশুদ্ধ, নির্মল, স্বাস্থ্যকর সমীরণ।
চেন হলফ করে বলেছেন, ক্যানগুলোতে হাওয়া ভরা হয়েছে জিয়াংজি প্রদেশের জিংগ্যাং পাহাড় থেকে। এ এলাকার বাতাস বিশুদ্ধ। চিকিৎসকরা রোগীদের স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য এখানে ঘুরে আসার পরামর্শ দেন। বৈচিত্র্য আনার জন্য তাইওয়ানের বাতাসও ক্যানে ভরে বিক্রি করছে চেনের কম্পানি।
চেন গুয়াংবিয়াও কোটিপতি ব্যবসায়ী। নতুন নতুন ব্যবসা ফাঁদায় তাঁর জুড়ি নেই। এ বছরের আগস্টেই আইডিয়াটি মাথায় এসেছিল। তবে বাতাস বিক্রির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অসংখ্য নেতিবাচক মন্তব্য এলো ইন্টারনেটে।
অনেকে আবার বাতাসের মতো জিনিস বিক্রি করার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে কোনো কিছুই নতুন ব্যবসাটি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি চেনকে। তিনি উল্টো যুক্তি দিয়েছেন, 'চীনের বাতাস খুবই দূষিত। তাই সবারই তাজা হাওয়া খাওয়া উচিত। আমি তো মানুষের উপকারই করছি।
নাকি?'
চেন গুয়াংবিয়াং ক্যানের ওপর লিখে দিয়েছেন বাতাস খাওয়ার উপায়, 'ক্যান খুলে বড় করে দম নিয়ে মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলুন বা ক্যানের ফুটোয় নাক রেখে বড় করে শ্বাস নিন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফুসফুসে ঢুকে পড়বে একরাশ তাজা হাওয়া। ' ভাববেন না, একবার খুলে ফেললেই বুঝি বাতাস বেরিয়ে যাবে। যদি কেউ রয়ে-সয়ে বাতাস খেতে চান, সে ব্যবস্থাও আছে। বিশেষ ধরনের মেশিনের মাধ্যমে বাতাসকে সংকুচিত করা হয়েছে এবং তারপরই ঢোকানো হয়েছে ক্যানের মধ্যে।
ফলে ক্যানের ওপরের অংশে হালকা বাতাস থাকলেও নিচের দিকে জমা আছে ভারী বাতাস। চেন নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ক্যানের বাতাস এতই ভারী যে, ঢাকনা না থাকলেও বাতাস উড়ে যাবে না। রয়ে যাবে ক্যানের ভেতরেই। নকল এড়াতে প্রতিটি ক্যানের ওপর নিজের হলোগ্রামযুক্ত ছবিও সংযুক্ত করেছেন চেন।
কেবল বাতাস বিক্রিই নয়, খালি ক্যান কিনে নেওয়ার এক দারুণ অফারও তিনি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেছেন, ১০ বছর পর প্রতিটি ক্যান কিনে নেবেন আকর্ষণীয় মূল্যে। প্রতিটি খালি ক্যান তখন ৫৬ টাকা দাম ধরে কিনে নেওয়া হবে।
শুরুতে বাজারে ছাড়া হয়েছে মাত্র এক লাখ ক্যান। প্রথম দফায় যে পরিমাণ ক্যান বাজারে ছাড়া হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে খুশিতে আটখানা হয়ে চেন এখন বিদেশের বাজারেও তাজা বাতাস ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন।
সুত্র: কালের কণ্ঠ, ১৩ অক্টোবর, ২০১২
এবার যায়গায় বসে আওয়াজ দেন কার কার প্রয়োজন। কষ্টকরে আমাদের কাছে আসতে হবে না। বাড়িতে বসে অর্ডার করুন।
http://www.renesacomputer.com/
http://www.facebook.com/Renesacomputer
হোম ডেলিভারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।