আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরবানির এই আনুষ্ঠানিকতা কি শুধু পশু হত্যায় সীমাবদ্ধ থাকবে ?

আজ আমি এক এসেছি, সাথে আজ কেউ নেই, তবু আমার পা কাঁপছে না আমার কন্ঠ আজ সুদৃঢ় বিশাল গরু ছাগলের হাটে গরু আর মানুষ একাকার হয়ে গেছে। যে দিকে তাকাই শুধু মানুষ আর গরু। মাঝে মাঝে আবার ছাগলও দেখা যায় কিছু। কুরবানির ঈদ অতি নিকটে। ঈদুল আযহায় এই পশু কুরবানি নিয়ে কিছু নাস্তিকতো গালাগালি করে মুসলিমদের গুষ্ঠি উদ্দারের মহান উদ্দেশ্যে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন।

আমি নাস্তিক না। আমি ঐসব কথা বলবো না। আমার আঙ্গিকটা ভিন্ন। মুসলিম প্রধান আমাদের এদেশে আমরা ঈদ বা অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব বেশ ঘটা করে পালন করি। আনুষ্ঠানিকতা পালনে আমরা কোন কমতি রাখি না।

নতুন জামা-জুতা(যেখানে থাকতে হবে আধুনিকতার ছোঁয়া), সুস্বাদু ও রকমারি খাবার, হিন্দি-ইংরেজী গানের আয়োজনে কানের পর্দা ফাটানোর ব্যবস্থা, আতিথেয়তা ইত্যাদি কোনটাতেই আমরা অপূর্ণতা রাখি না। ছোটবেলায় দেখতাম টিভি চ্যানেলগুলো (বা শুধু বিটিভি) তিন বা চার দিনের ঈদ উৎসব পালন করতো। তাও এখন সাত-আট দিনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্মীয় উৎসবগুলোর গুরুত্ব এখন আনুষ্ঠানিকতায়, ধর্মীয় শিক্ষা যেন পরিত্যাজ্য। তাই আমরা দেখি রোযার মাসে যেখানে সংযম পালনের কথা, সেখানে অসংযমিতা, অমিতব্যয়ীতা ও উচ্ছৃংখলতা।

সেই সাথে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব, খাদ্যে চরম মাত্রার ভেজাল, দূর্নীতি ইত্যাদি তো রয়েছেই। আর কুরবানির ঈদে যে পশু কুরবানি করা হবে সেই পশু আনার পথে বাঁধা, ডাকাতি আর নিরাপত্তা বাহিনীর চাঁদাবাজি সবই যেন নিয়মিত হযে পড়েছে। গরুর হাটের ইজারা নিয়ে দূর্নীতি, জবর দখল, যাতায়াত পথে অবৈধ হাট স্থাপন, অবৈধ পথে ভিন্ন দেশীয় পশু আমদানি ইত্যাদি ও আছে। তাছাড়া রয়েছে পশু কুরবানির পর চামড়া নিয়ে দূর্নীতি। এই সমস্ত ঘটনা দেখে তো কখনো কখনো মনে হয় ধর্ম কি এসেছিল মানুষকে নৈতিকতা শিখাতে নাকি দূর্নীতি করার সুযোগ করে দিতে।

ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে নিশ্চয়ই মানুষের জন্য রয়েছে শিক্ষা। ধর্ম মানুষকে বিভিন্ন সূক্ষ্ম বিষয় শিখাতে এবং সামাজিক সম্প্রীতি বাড়াতে এসব ধর্মীয় উৎসবের বিধান দেয় এবং বারংবার উৎসব পালনের মাধ্যমে বিষয়গুলো আমাদের বারংবার মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু সেই সব ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দিয়ে আমরা যদি উৎসবগুলোকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি তাহলে মূল উদ্দেশ্য কি ব্যর্থ হবে না? কুরবানির মূল শিক্ষা বাদ দিয়ে এই আনুষ্ঠানিকতা কি শুধু পশু হত্যা নয়? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.