আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসংজ্ঞায়িত জৈবিক চাহিদা(১৮ +)

দেশটা আমাদের। এর জন্য ভাল কিছু করতে হলে আমাদেরই করতে হবে। Mail:rabiul@gmail.com আমার বন্ধু রহিম। দেখতে বেশ সুন্দর। মাস্টার্স পাশ করেছে কিন্তু দেখলে মনে হয় মাত্র অনার্স এ মাত্র উঠেছে।

ঢাকায় মেসে থাকত মোহাম্মদপুরে। মাস্টার্স পড়াকালীন তাদের মেসে এক ছেলে উঠে কিরণ নামে। সেই ছেলেটি তখন সদ্য ইন্টার পাস করেছে। জাপানে যাওয়ার চেষ্টা করছিল এবং এক সময় সে জাপান চলে যায়। মেসে থাকাকালীন সে ছেলের মা মাঝে মাঝে মেসে ছেলেকে দেখতে আসত।

সে সূত্রে রহিমের সাথে কিরণের মায়ের পরিচয়। কিরণের পরিবারের গল্প সেখান থেকেই শুনা। কিরণেরা এক ভাই এক বোন। বাবা ইঞ্জিনিয়ার। বাবা তাদের ফেলে আর এক বিয়ে করায় কিরণের আম্মা বোনসহ তারা ছোটবেলা থেকেই আলাদা থাকে।

তারা কোন আত্নীয়র সাথে যোগাযোগই করেনা। কিছুটা লজ্জায় কিছুটা অভিমানে। আত্নীয়রা সবাই কিরণের মায়ের বিপক্ষে। ছোটকাল থেকেই কিরণ আর তার বোন এই ভাবে বড় হয়েছে। এখন বোন ৯ম শেনীতে পড়ে।

কিরণ জাপান থেকে পরিবারের জন্য টাকা পাঠায়। সে টাকা দিয়ে ফ্যমেলী বেশ ভালভাবে চলে যায়। আমার বন্ধু রহিম মাস্টার্স পাশ শেষে বিদেশের জন্য ট্রাই শুরু করে এবং অবশেষে সে সুইডেনে চলে যায় ২০০৭ সালে। সে অবশ্য সুইডেন থেকেই কিরণের পরিবারের সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করত,তাদের খোজ নিত। ২০০৮ সালে বন্ধু একবার দেশে আসে বিয়ে করার জন্য।

সে বার আর বিয়ে করতে পারেনি। ২০০৯ সালে বিয়ে করার জন্য চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ১৬ই আগষ্ট রোজার কয়দিন আগে সে দেশে আসে। নতুন বাসা ভাড়া নেয়া হয় মোহাম্মদপুরে। দিন বেশ ভালই যাচ্ছিল বন্ধুর। বিয়ের জন্য পাত্রীর সিভি দেখত।

পাত্রী দেখতে দেখতে হয়রান। পছন্দ হচ্ছিল না। বন্ধু দেখতে সুন্দর হওয়াতে সমস্যা আরো বেশী হচ্ছিল। এমন সময় জাপান থেকে বন্ধুটির ফোন। তার পরিবারের ঈদের জন্য জরুরী টাকা দরকার।

যেহেতু রহিম বিয়ের জন্য ভাল টাকা নিয়েই দেশে এসেছে। তাই রহিম যদি আপাতত কিরণের পরিবারকে কিছু টাকা দেয় তবে কিরণ এক মাস পরেই তার টাকা পাঠিয়ে দিবে। কিরণের মা ঢাকা এসে রহিমের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাবে। রহিম সানন্দে রাজী হয়ে যায়। রহিম কিরণের মায়ের কাছে ফোন দেয়।

যেহেতু কিরণরা ছোটবেলা থেকেই আত্নীয় থেকে বিচ্ছিন্ন তাই রহিম তাদেরকে এই ঈদ তাদের বাসায় করে যেতে বলে। কিরণের মা বল্ল কিরনের ছোট বোনকে নিয়ে উনি আসবেন। আমরা বন্ধুরা ভাবছিলাম কিরণের ছোট বোন নিয়ে যেহেতু উনি আসছেন হয়তো উনার মেয়েকেও আমাদের পছন্দ হয়ে যেতে পারে। আমরা বন্ধুরা শয়তানি করে ইচ্ছাটুকু রহিমের মায়ের সামনে তুলতেই মহিলা ভয় পেয়ে গেলেন। রহিমের মা কোন মতেই এত কম বয়সি মেয়ে তার ছেলেকে বিয়ে করাবেন না।

আবার কিরণের আম্মার মেয়ে সহ তাদের বাসায় আসার খবর ও থাকার খবর শুনে রহিমের আম্মা মহাচিন্তিত হয়ে পড়লেন। আমরা এদিকে মহিলার চিন্তা দেখে মনে মনে হাসছিলাম। যথারীতি উনি কিরণের ছোট বোনকে নিয়ে রহিমের বাসায় আসলেন। তখন ঈদের আর ৭ দিন বাকি। কিরণের মায়ের বয়স হবে আনুমানিক ৩৮ বছর আর কিরণের ছোট বোনের বয়স হবে ১৫ বছরের মতো।

কিরণের ছোট বোন ৫ম ও ৮ম শেণীতে বৃত্তিপ্রাপ্ত। ভাল ছাত্রী। দেখতেও যথেষ্ঠ সুন্দর। যদিও ৯ম শেণীতে পড়ে কিন্তু দেখতে মনে হয় অনার্স ৩য় বর্ষতে আছে। যাহোক এক সাথে বন্ধুর বাসায় আমি,কিরণের মা,তার বোন ও বন্ধুর মা সহ ইফতারী করলাম।

বন্ধু মায়ের চিন্তা হল ঘরে শুধু রহিম আর ঊনি। কিরণের আম্মা কোথা থেকে তার এত বড় মেয়েকে নিয়ে এসেছে। মনে হয় আসলেই তার ছেলেকে এই মেয়ে গছিয়ে দিয়ে যাবে। কিরণের আম্মা আবার এই সবের কিছুই জান্তেন না। এক দিন,দুই দিন,তিন দিন এই ভাবে দিন যাচ্ছিল।

রহিমও তার মায়ের সাথে শয়তানি করত। বলত মা কিরণের বোনকে খুব পছন্দ হইছে,একেই বিয়ে করব। আমরাও শয়তানি করতাম। সব কিছুই চলত কিরণের মায়ের আড়ালে। বন্ধু তার মাকে বল্ল ‘মা চল কিরণ আর তার বোনকে আমাদের গ্রামের বাড়ী দেখাতে নিয়ে যাই’।

বন্ধুর মা এতে আরো ভয় পেয়ে গেল। সত্যি কি তাহলে.। । …। ।

এই সব শয়তানির ভিতরে বেশ ভালই চলছিল। এর ভিতর আমরা কিরণের মা,তার বোন,বন্ধুর মা,বোন,বোন জামাই,ভাগিনা ও আমরা বন্ধুরাসহ ঈদের পর কক্সবাজারে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। সে অনূযায়ী একটা প্রাইভেট কার ও একটা মাইক্রবাসও ভাড়া করা হল। সেখানে কোথায় থাকব কি কি করব ওই সব নিয়ে আমরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। ২০০৯ সালে রোজার ঈদ হয়েছে ২১-০৯-২০০৯ তে।

১৮-০৯-২০০৯ তারিখ। ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। রহিমের গাজীপুরে ১০ কাঠা জমি ছিল। সেখানে বাঊন্ডারী দেয়ার জন্য সকালে বের হলাম দুই বন্ধু মিলে। ।

দেখি সকাল থেকেই রহিম একটু গম্ভীর। কি যেন শুধু ভাবে। বুঝতে পারছিলাম না । রাতে ওকে যখন বিদায় দেই তখনও আমরা খুব হাসিখুসি ছিলাম কিন্তু সকাল হতে না হতেই কি এমন হলো বুঝতে পারছিলাম না। বন্ধুকে কয়েক বার জিজ্ঞাসা করেও কোন উত্তর পেলাম না।

ভাবলাম পাত্রী দেখছে। হয়তো এইটা নিয়ে কোনভাবে চিন্তিত বা ওর আম্মার সাথে কিরণের বোন নিয়ে দুষ্টামি করাতে ওর মা হয়তো কিছু বলেছে। সারা সকাল কজের ঝামেলা শেষ করলাম আমিই। শ্রমিক ঠিক করা,তাদের টাকা দেয়া,কাজের তদারকি করা ইত্যাদী নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম আর বন্ধু শুধু কার সাথে জানি ফোনে প্যচাল নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আসার পথেও বন্ধু গম্ভীর।

কোন প্রশ্ন করেও কোন উত্ত্র পাচ্ছিলাম না। বুঝলাম ভালো কোন ঝামেলা। যা হোক দুপুরে বন্ধুর সাথেই ওদের বাসায় গেলাম। বাসার অবস্থা কেমন জানি থম থমে মনে হল। কিরণের আম্মা,তার বোন,বন্ধুর আম্মা,আমি এক সাথেই দুপুরের খাবার খেলাম।

সবাই চুপচাপ খেলাম। তারপর বন্ধু দেখি কিরণের মাকে রেডি হতে বল্ল। কিরণের মাকে টাকা দিয়ে দিল। ঊনার সাথে বাহিরে যেয়ে কিরণের মা আর তার বোনকে রিকশায় উঠিয়ে দিল। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।

কিরণের মা আর তার বোনতো আমাদের সাথে কক্সবাজারে যাওয়ার কথা ছিল। সে জন্য আমরা প্রাইভেট কার ও একটা মাইক্রবাসও ভাড়া করলাম। বন্ধুর মাকে জিজ্ঞাসা করেও কোন উত্ত্র পেলাম না। ২১ তারিখ ঈদ হলো। ২৩-০৯-২০০৯ তে আমরা কার ও মাইক্রবাস নিয়ে বন্ধুর বোন,বোন জামাই,ভাগীনা আর আমরা চার বন্ধু মিলে কক্সবাজার রওনা হলাম।

বন্ধুর গম্ভীরতা কোনভাবেই যাচ্ছিল না। কক্সবাজার এ সকালেই পৌছে গেলাম। হোটেলে ঊঠে ঘুম দিলাম। দুপুর ১২ টার দিকে সৈকতে গেলাম। বন্ধুরা সবাই সাগরে নেমে গেল।

আমার নামার প্রস্তুতি ছিল না তাই সব বন্ধুরা তাদের ফোন আমার কাছে দিয়ে গেল। আমি সৈকতের খাটিয়ায় শুয়ে শুয়ে গান শুনছি। খুব ভালো লাগছিল। দেখি রহিমের ফোন বাজছে। অপরিচিত নাম্বার।

কিছুক্ষন পর পর ফোন শুধু বেজেই যাচ্ছে। আমি ধরছিলাম না। হঠাত দেখি এস এম এস আসল। দেখি ওই অপরিচিত নাম্বার থেকেই আসছিল। এই বার কেনো জানি কৌতুহল হল।

এস এম এস এ লিখা ‘প্লীজ তুমি বিয়ে করো না। এই সব কোন ব্যপার না’। আমারতো কৌতুহল আরো বেড়ে গেল। আমি ওর ইনবক্স এ দেখি ওই নাম্বার থেকে আরো এস এম এস এসেছে। ওই গুলোও দেখলাম।

দেখি আরেকটাতে লেখা ‘প্লীজ তুমি অমত করো না। প্লীজ ,প্লীজ’। আরেকটাতে লিখা ‘তুমি রাজী হয়েই দেখো না। এত ভয় পেয় না। কোন ব্যপার না।

কেঊ টের পাবে না’। এই বার তো আমার গম্ভীর হওয়ার পালা। আমি তো কিছুই বুঝতে পারলাম না। এর মধ্য দেখি আবার ওই নাম্বার থেকে ফোন। এই বার আমি ফোন ধরলাম।

দেখি মেয়ের কন্ঠ। হ্যলো বলার আগেই দেখি বলে উঠল রাগ করছো নাকি?আমি বল্লাম সরি আমি রহিম না। ও সাগরে। ফোন কেটে দিলাম। কন্ঠটা কেমন জানি আমার চেনা মনে হল।

এই বার রহিমকে ডাকলাম। ও আসল। ওকে সরাসরি সব বল্লাম এবং সরাসরি ঘটনা বলতে বল্লাম। ও যখন বুঝল আমি ঘটনার অনেক কিছুই জেনে ফেলেছি তখন ও বল্ল ঘটনা বলবে তবে আমি ওর বিদেশ যাওয়ার আগে যাতে কাঊকে না বলি। কোন বন্ধুকে বল্লে খুব খারাপ ঘটনা ঘটবে।

খুনোখুনিও হতে পারে। ও যা বল্ল সেটা হলো কিরণের মা ওকে কন্ট্রাক ম্যরেজ করতে বলেছে তিন বছরের জন্য। ও যাতে এখন অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে না করে। ও যাতে রাজী হয়। কেঊ জানবে না।

কিরণের মা এখনো ঢাকাতে এক হোটেলে আছে। বাড়ী যায় নি। শুনে আমি হতভম্ব। এই ধরণের ঘটনা শুনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ও বল্ল দেখ কিরণ জাপানে আছে।

আমি যদি ওর মায়ের এই কথা ওকে বলি কিরণ ওর মাকে খুন করবে। এই জন্য কাঊকে কিছুই বলতে পারছিলাম না। তুইও কাঊকে বলিস না। বন্ধুরা জানলেও তা কিরণের কানে চলে যেতে পারে। এই ঘটনাকে আমি আসংজ্ঞায়িত জৈবিক চাহিদা ছাড়া আর কি বলব।

বাংলাদেশে এই ধরণের ঘটনা ঘটা সম্ভব বলেও তো আমি বিশাস করতে পারছিলাম না। যা হোক বন্ধু বিদেশ যাবার পর ওর মাকে আর আমার আম্মাকে আমি ঘটনা বলেছি। ওনারা যে কমেণ্টস করেছেন সেটা এখানে উল্লেখ করার মত না। তবে বন্ধুর মা ২০১০ সালেই বন্ধু আবার দেশে আসলে ছেলেকে তাড়াতাড়িই বিয়ে করিয়ে দিলেন। আমাকে একদিন মুচকি হেসে বল্লেন আমিতো তাও ভাল সন্দেহ করেছিলাম(কিরণের বোনকে) কিন্তু ঘটনা দেখি আমার সন্দেহের চাইতেও খারাপ ছিল।

তবে আমি আমার অন্য সার্কেলের কিছু লুল বন্ধুকে ঘটনা বলেছিলাম তারা দেখি মহিলার ফোন নাম্বার পাবার জন্য খুবই পীড়াপীড়ি করে ছিল। এমন কি ভাল হোটেলে ভাল খাওয়ানোর লোভ তো ছিলই। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।