"ভাত পাই না তো কি হইসে চা তো কম দামেই পাওয়া যায়। " এই ছাপোষা তৃতীয় বিশ্বের মানুষের মুখের কার্বোহাইড্রেট(ভাত) যাদের আন্তরিকতার উপড় নির্ভরশীল অথবা কথাটা এই ভাবে বলা যায় যে, অধিকাংশ দেশের অন্দরমহলে যাদের নাক না গলালেই নয় সে আমার পরাশক্তির দেশ আম্রিকা। তো ঘটনা হল যে, আম্রিকাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হইতেসে; আমাদের একটু চা না খেলে কি হবে? এই জন্যই আমাদের গলি অগলিতে যে চা এর দোকান অবস্থিত সেখানে হাতি আর গাধা নিয়া খুব তর্কাতর্কি চলতেসে। এই উপলক্ষে আমি আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। কয়া বসলাম এদের দুই পার্টির সিম্বল গাধা আর হাতি কেন? কেউ কেউ বলতেসে যে আম্রিকা তো গাধার দল তাই মনে হয় এই সিম্বল দিসে।
কিন্তু যেখানে আম্রিকা পুরা বিশ্ব কাপাইতেসে সেখানে নিজেদের গাধা মনে করার কথা না। অথবা এমন হতে পারে যে অন্য দেশগুলাকে গাধা বানাইতেই এরা এই সিম্বল ব্যবহার করতেসে - এই ব্যাখ্যাও অনেকে দিলো। আমাদের বিষয় হচ্ছে আমরা নিজদেরকে অশহায় ছাড়া আর কিছু মনে করতে পারছি না। কিছুদিন আগে মানুষজন বলছিল যে আম্রিকা বলে এখন আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার মেশিন বানাচ্ছে। ইরানের ভুমিকম্প তার একটা ফল।
হইতে পারে কিন্তু আমার কাছে সন্দেহ লাগে যে আমরা যতটা ভাবি আসলে কি ততটাই। এর উত্তর কেউই দিতে পারবেনা। যে প্রযুক্তি আমাদের বাতাসের মধ্যে দিয়ে আমার কথা ১০০০ কি,মি, দূরে পৌছিয়ে দিতে পারে তাকে নিয়ে আমার তর্ক না করাই ভালো। কিন্তু যে বলতে চাচ্ছিলাম সেটা হল আসলে এই গাধা আর হাতির পিছনে কারনটা কি?
গাধাঃ তার নাম হল ডেমক্রেটিক ডঙ্কি (গণতন্ত্রী গাধা)
১৮২৮ সালের নির্বাচনী প্রচারনাকালে ডেমক্রেট এন্দ্রিউ জ্যাকসনকে Jackass (গাধা) বলে গালি দেন তার প্রতিপক্ষ। তার প্রতিপক্ষের গালিকে উল্টো কাজে লাগান তিনি।
গাধা একটি সাহসী ও অটুট মনবলের প্রানি হিসাবে চিহ্নিত করে তার প্রচারনা কার্য চালান। পরে সেটা ডেমক্রেটিক পার্টির সিম্বল হয়।
*বর্তমান ডেমক্রেটিকরা গাধাকে বুদ্ধিমান ও সাহসী প্রানি হিসাবে উপস্থাপন করে*
হাতিঃ ইনার কোনো বিশেষ নাম নাই। সাংবাদিক ন্যাস্ট ১৮৭৪ সালে হারপার'স উইক্লি নামের পত্রিকাতে একটা ছবি আঁকেন যেখানে দেখা যায় একটি গাধা চিড়িয়াখানার সব প্রানিদের ভয় দেখাচ্ছে শুধু একটা হাতি তার সামনে দাড়িয়ে আছে। এখান থেকে গপ বা রিপাবলিকানরা তাদের সিম্বল হিসাবে হাতিকে উপস্থাপন করে।
*হাতি দ্বারা তারা শক্তিশালি ও সম্মানিত বুঝায়*
আপাতত যা বুঝতে পারলাম যে এই কারনেই যদি তাদের সিম্বল গুলা এসে থাকে তাহলে আসলে তারা তাদের সিম্বলগুলা দিয়ে খুব একটা চিন্তা করার খোরাক বানায় না। আমরা শুধু শুধু আম্রিকার ১ ডলারের পিছনে পড়ে আছি। আসেন ভাই নিজেরা পড়াশুনা করি, মানবিকতা বৃদ্ধি করি হুদাই নাচানাচি বন্ধ করে সুন্দর স্বাভাবিক মানুষ হই। দেশের কথা ভাবি, নিজের পরিবারের কথা ভাবি। মাইনশেরে নিয়া ভাইব্বা এত লাভ নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।