আবর্জনাকে রবীন্দ্রনাথ প্রশংসা করলেও আবর্জনাই থাকে।
আজ বাংলা গানের কিংবদন্তি বাউল লালন সাঁই’র ১২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৯০ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে লালন সাঁই’র বয়স হয়েছিল ১১৬ বছর। ১৭৭৪ সালে ঝিনাইদহ জেলার শোলাকিয়া উপজেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন লালন।
জন্ম ঝিনাইদহে হলেও সেখানে খুব বেশি দিন বসবাস করেননি। ছোটবেলাতেই চলে আসেন কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া জেলার ছেউরিয়াতেই বেড়ে ওঠেন তিনি। সেখানে থাকা অবস্থায় সংগীতের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। নিয়মিত চর্চা করতে থাকেন গান।
তখন থেকেই মাটি এবং মানুষের গানকেই বেছে নিয়েছিলেন লালন। অত্যন্ত অল্প সময়ে তিনি নিজের সৃষ্ট গানের মাধ্যমে পৌঁছে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের খুব কাছে। মূলত কথা-সুর-সংগীতের মাধ্যমে গানে নিজস্ব একটি ধারা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন লালন সাঁই। এ কারণেই সাধারণ গানপাগল মানুষ তাকে বাউল সম্রাট উপাধিতে আখ্যায়িত করেন। বলা চলে লালন সাঁই’র হাত ধরেই বাউল গান সর্বসাধারণের কাছে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
একেবারেই প্রচারবিমুখ লালন সাঁই তার দীর্ঘ সংগীত জীবনে অসংখ্য বাউল গান সৃষ্টি করেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এমনকি বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছেও লালনের গান আধুনিকতার প্রতীক হিসেবেই ধরা দিয়ে আসছে। মাটি, মানুষ, প্রকৃতি, জীবনবোধ, ধর্ম, প্রেম এবং দেশের কথাই বেশিরভাগ সময় ওঠে এসেছে লালনের গানে। লালনের গানের সংখ্যার তেমন কোন প্রামাণিক দলিল নেই। তবে তার সৃষ্ট গান অসংখ্য হওয়ায় সব গান সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।
লালন সাঁই’র গান উপমহাদেশ ছাড়িয়ে সারা পৃথিবীতেই প্রশংসিত হয়েছে ব্যাপকভাবে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরেই লালনের গান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে। রবীন্দ্রনাথ লালনের গান সংগ্রহ করে ১৯২২ সালে ভারতীয় পত্রিকার হারামনি শাখায় চারভাগে ২০টি গান প্রকাশ করেন।
- মানবজমিন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।