কামাল পঁচিশ বছর বয়সী যুবক। এই ফকিরের দেশে ফকির হয়ে জন্ম নিলে যা হয় আর কি, স্ত্রী সাজেদা আর তিন বছর বয়সী পুত্র সাদেকুলকে ঝিনাইদহের গ্রামের বাড়িতে রেখে জীবিকার খোঁজে বিদেশ পাড়ি দেয় সে। হ্যাডম বেশি ছিলো না, দুবাই কাতার যেতে পারেনি। উচ্চবিত্ত ফকিরদের মতো কানাডা অষ্ট্রেলিয়ার কথা তো স্বপ্নেও কোনদিন সে চিন্তা করে না। তার দৌড় পাশের দেশ ভারত পর্যন্ত।
তারপর এক দীর্ঘ কাহিনী। কামালের জন্য চরম বেদনাদা
য়ক, দাদাদের জন্য রগরগে আনন্দপ্রদায়ক। মুম্বাই শহরে নিয়ে অপারেশন করে কামালের পুরুষাঙ্গ ও অনডকোষ কেটে ফেলা হয়। নিয়মিত ইনজেকশনের মধ্যে দিয়ে স্ত্রী হরমোন ঢুকানো হয় তার শরীরে। সিলিকন ঢুকিয়ে তার বুক বড় করা হয়।
হরমোনের প্রভাবে শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতে থাকে, চুল হয় লম্বা, দাড়ি মোঁচ আর উঠে না, গাল হয়ে উঠে মসৃণ। এরপর আড়াইটা বছর ধরে ব্যাঙ্গালোরের এক হোটেলে বন্দী করে তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানো হয়। আড়াইটা বছর যাবত তার উপর উপগত হয় অজস্র ভারতীয় বাবু। তার নাম রাখা হয় মিস নিহা। আড়াই বছর ধরে বাবুদের তৃপ্তি দিতে বাধ্য হয় পতিতা হয়ে বন্দী থাকা নিহা ওরফে কামাল।
এ বর্ণনা লিখতেও গা শিউরে উঠে। কিন্তু এটা আমার বানানো না, ঘটনাগুলো ঠিক এভাবেই গতকাল আর আজকের মানবজমিন ও সমকালে এসেছে।
কামাল বাংলাদেশের নিয়তির অগ্রিম নিদর্শন। কামাল এইদেশের ভবিষ্যতের ছবি। দাদারা এই দেশের শৌর্য বীর্য ধ্বংস করে ফেলেছে।
এদেশের গর্ব করার মতো কিছু আর নেই, এমনকি সেনাবাহিনীও ধ্বংস হয়ে গেছে। মোরাল নষ্ট হয়ে গেসে। দিনের পর দিন ষ্টার প্লাস, জলসা, বলিউড, শাহরুখ খান সালমান খান কাত্রিনা কাইফ আর সানি লিওনের ইনজেকশন দিয়ে দিয়ে শিলা কি জওয়ানীর হরমোন ঢুকানো হয়েছে জাতির মননে। পোলাপান এখন দেবুনেয়ারে একাউন্ট খোলা নিয়ে গল্প করে, এয়ারটেলের এড দেখে ধুমায়া মোবাইল কিনে। ভাবীরা দলে দলে শারদীয়া পুজা উপলক্ষে কল্যাণময়ী দিদি সেজে ছবি তুলে পত্রিকায় টিভি চ্যানেলে প্রতিযোগিতা মারায়।
এখন দাদারা এসে ঘোড়া দিয়ে যান। বাঙালাদেশী জাতির উপর বাবুরা টিপাইমুখ তিস্তা ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি বংশদনড দিয়ে নিয়মিত উপগত হন।
কামাল নিজে নিজে গিয়ে পতিতা বনে যায়নি। আদম ব্যাবসায়ী দালাল, অপারেশনকারী ডাক্তার, হরমোন পুশকারী পিম্প এরা বিশাল একটা চক্র। বাংলাদেশ নিজে নিজে ভোগ্যা হয়ে উঠেনি।
আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রী আর বুদ্ধিজীবি সাংবাদিকরা ধরে নিয়মিত পালিশ করে দেশটাকে লাগানোর যোগ্য করে তুলেছেন। এখন দাদাদের মজা লুটার পালা।
কামালের খবর প্রথম যেদিন পত্রিকায় আসে সেদিন এক বাংলা ব্লগে এ খবর নিয়ে পোষ্ট আসার পর তাতে ভাদাদের চরম আষ্ফালন ও লাফালাফি দেখা যায়। তারা দলে দলে মন্তব্য করতে থাকে, এ খবর ভুয়া। গতকাল দেশের সব প্রধান পত্রিকায় খবর আসার পর তারা হারিয়ে গেসে, বোবা হয়ে গেসে।
দাদাদের তুলনায় ভাদারা কামালের জন্য বেশি ক্ষতিকর। আগেকার দিনে লুচ্চা রাজাদের হারেমে খোজার দল থাকতো। বাংলাদেশের এই ভাদারা হলো খোজার দল, দেশটা ধর্ষিত হচ্ছে, আর এই খোজার দল নির্লজ্জ উপভোগের সাথে চাটামী করে যাচ্ছে।
সূত্র
মানবজমিন পত্রিকার লিঙ্ক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।