আমি অতি সাধারণ মানুষ মহানবী (স) রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক খেজুর গাছের সাথে দুইটা ছোট নাবালক বাচ্চা দড়ি দিয়ে বাঁধা। তিনি ওদের জিজ্ঞেস করলেন-কেন তাঁদের বেধে রাখা হয়েছে। ওরা বলল- আমাদের বাড়িতে ৭ দিন ধরে চুলা জ্বলে না। ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে আমরা আজকে এই গাছের নিচে পরে থাকা ২টা খেজুর দুজন খেয়েছি।
এতে এই গাছের মালিক জনৈক ইহুদি আমাদের বেঁধে রেখেছেন। আপনি আমাদের মুক্ত করুন।
এই দুই নাবালক বাচ্চা ছিল এক গরীব সাহাবীর দুই ছেলে। মহানবী (স) তাদের আশ্বাস দিলেন তিনি তাদের মুক্ত করবেন। তিনি মসজিদে নববীতে এসে কাঁদতে লাগলেন এই দুই বাচ্চার কথা চিন্তা করে।
আবুবকর (রা) এসে বললেন- আপনি কেন কাঁদেন? আমাকে বলেন। আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও আপনার দুঃখ দূর করব।
মহানবী (স) কিছু বলেন না। ওমর (রা) এসে বলেন- আপনি কেন কাঁদছেন? আমাকে বলেন। জীবন দিয়ে হলেও আপনার এই কান্না আমি থামাব।
মহানবী (স) তাও কিছু বলেন না। কাঁদতে থাকেন। উসমান (রা) এসে একই প্রশ্ন করেন। মহানবী (স) সব ঘটনা খুলে বলে তাকে বলেন- তুমি কি পারবে এই দুই বাচ্চাকে মুক্ত করতে? ঐ খেজুর গাছটা আমার নামে কিনে দিতে পারবে?
অবশ্যই পারব, উসমান (রা) বলেন। এরপর উনি ঐ খেজুর গাছের মালিকের কাছে গিয়ে বলেন যে তিনি এই গাছটা কিনতে চান।
ইহুদি মালিক বলেন- এইটা তো আমার জমির ভিতরেই। আমি এটা বিক্রি করব না।
উসমান (রা) জোর দিয়ে বলেন-তোমাকে অবশ্যই এটা বিক্রি করতে হবে। হবেই হবে।
ইহুদি বলে-এক শর্তে আমি তা বিক্রি করতে রাজি।
-কি শর্ত?
-তোমার যে একশ খেজুরের একটা বাগান আছে ঐটা আমার নামে লিখে দিতে হবে।
-ঠিকাছে। এখনই আমি তোমাকে দলিল করে দিচ্ছি ঐ বাগানের। উসমান (রা) ঐ বাগানের দলিল করে দেন ঐ ইহুদিকে। ইহুদিও বিনিময়ে ঐ একটা খেজুর গাছ উসমান (রা) এর নামে লিখে দেয়।
দলিল হাতে পেয়ে উসমান (রা) বলেন-ইহুদি, অনেক বড় লোকসান করলা। তুমি যদি আমার পুরা সম্পত্তিও যদি এই একটা খেজুর গাছের বিনিময়ে চাইতা, আমি তাই লিখে দিতাম।
এরই নাম নবীর প্রতি প্রেম! এরই নাম নবীর প্রতি ভালোবাসা!!
আমাদের কি এর কিয়দংশ ভালোবাসাও নবীর (স) প্রতি আছে??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।